যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
বাবু বাল্বের ফ্যাক্টরী দিয়েছিল, নাম তার কোম্পানীর নামে, সেইফ বাল্ব। ফিলিপসের বাল্ব বাংলাদেশের সম্ভবত ৯০% মার্কেট দখল করে আছে। দশ লাখ টাকার মধ্যে ফ্যাক্টরী হয়ে গেলো। মাসে খরচ পঞ্চাশ/ষাট হাজার। মার্কেটিং এ লোক নিলো, বিভিন্ন দোকানে গিয়ে তার কাজ হলো বাল্ব বিক্রি করা।
মফস্বলে পাঠালো কয়েকজায়গায়।
কিন্তু গোল বাধলো বিক্রি বাড়াতে গিয়ে। বিজ্ঞাপন, প্রচারের জন্য যে পরিমাণ খরচ করতে হয় তা ঠিক ফ্যাক্টরী উৎপাদন খরচের চেয়ে দ্বিগুন-তিনগুন। তার প্রাথমিক হিসাবে এই খরচটা ছিল না। ফলে অর্থসংকটে পড়লো, ওদিকে আবার মার্কেটে বাকি থেকে যাচ্ছে।
ফলে প্রতিমাসেই খরচ বাড়ছে, বাড়তি অর্থসংস্থান করতে হচ্ছে।
বাল্ব ব্যবসার নাড়ী নক্ষত্র জানার পরেও কেবল বাড়তি অর্থ সংস্থান করতে না পারায় একসময় পিছুটান দিলো। ফ্যাক্টরী বিক্রি করে দিলো, ফিফটি পার্সেন্ট ইনভেস্টমেন্ট উঠে এলো কোনমতে।
এরপর থেকেই বাল্ব কিনতে গেলে ফিলিপস ছাড়া অন্য কি বাল্ব আছে সেটা দেখার চেষ্টা করি। বাংলাদেশে ফিলিপস ব্রান্ডের উৎপাদক ট্রান্সকম, সম্প্রতি তারা ট্রান্সটেক নামে নিজেদের একটা ব্রান্ডও বাজারে ছেড়েছে।
এ ছাড়া আছে সুপারস্টার নামে একটা দেশী ব্রান্ড। এদুটো ব্রান্ডই লোকাল - তবে ট্রান্সটেক যে ফিলিপসের ফ্যাক্টরীতে বা ঐ একই সুবিধা গ্রহণ করে উৎপাদন হয় বোঝা যায়। তবে এ দুটোর দামই ফিলিপসের চেয়ে কম।
দোকানীরা বললো, ফিলিপসের সাথে টেক্কা দেবার জন্য লোকাল ব্রান্ডগুলা অনেক পিছিয়ে আছে। ফিলিপসের রয়েছে সবচেয়ে বেশী ধরণের বাল্ব।
যদিও বাল্বের কোয়ালিটি বলে আসলে নাকি কিছু নাই, নন-ফিলিপস আইটেমগুলা যতদিন টেকে ফিলিপসও ততদিন যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।