আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লাগবে না আর বৈদ্যুতিক তার

ধরুন ঘরের মাঝখানে কোনোরকম তারের সংযোগ ছাড়াই জ্বলছে একটি বৈদ্যুতিক বাতি। মনে হতে পারে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির বিষয়! আসলে তা নয়। ওয়াই-ফাইয়ের মতো তারবিহীন এক বিদ্যুত্ স্থানান্তরের প্রযুক্তিতে এই বাতিটি জ্বলছে।

বৈদ্যুতিক তারের কোনোরকম ব্যবহার ছাড়াই এক স্থান থেকে অন্যস্থানে বিদ্যুত্ প্রবাহের পদ্ধতি উন্নয়নে কাজ করছে মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ওয়াইট্রিসিটি।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা কেটি হল সম্প্রতি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে হালের ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির মতোই ঘর-বাড়িতে তারবিহীন প্রযুক্তির বিদ্যুত্ ব্যবস্থার প্রচলন শুরু হবে।

এ ছাড়াও এই প্রযুক্তি নতুন ও উদ্ভাবনী চিকিত্সা যন্ত্রপাতি তৈরিতেও কাজে লাগানো সম্ভব। বার্তা সংস্থা সিএনএন সম্প্রতি ওয়াইট্রিসিটি নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

কেটি হল জানিয়েছেন, ওয়াইট্রিসিটি মূলত ওয়্যারলেস ‘রেজোনেন্স’ বা তারবিহীন অনুনাদ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। এই প্রযুক্তিতে বাতাসে বিদ্যুত্ ছড়িয়ে দেওয়ার পরিবর্তে বিশেষ চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে।

কেটি হল জানিয়েছেন, ওয়াইট্রিসিটি মূলত একটি ‘সোর্স রেজোনেটর’ বা বৈদ্যুতিক কয়েল তৈরি করে।

এর সঙ্গে পাওয়ার যুক্ত করলে তা চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে। এর কাছাকাছি যদি আরেকটি কয়েল আনা যায় তখন এটি থেকে বৈদ্যুতিক চার্জ উত্পন্ন হয়।

কেটি হল দাবি করেন, তারবিহীন বিদ্যুত্ স্থানান্তরের এই পদ্ধতিটি নিরাপদ। ওয়াই-ফাই রাউটার যেভাবে কাজ করে এ পদ্ধতিটিও সেই একইরকম।

কেটি হল আশা করছেন, ভবিষ্যতে তারবিহীন বিদ্যুত্ স্থানান্তর তারবিহীন ইন্টারনেট ব্যবহারের মতোই সহজ হবে।

সব কিছু যদি ওয়াইট্রিসিটির পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটে, তবে মোবাইল ফোন পকেটে রেখেই তা চার্জ দেওয়া সম্ভব হবে, ল্যাপটপের জন্য আলাদা চার্জার লাগবে না, টেলিভিশনে কোনো তার যুক্ত করতে হবে না।

 

ওয়াইট্রিসিটি সম্পর্কে আরও জানা যাবে এই লিংকে  http://www.witricity.com/pages/company.html 

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.