শব্দ থেকে নৈঃশব্দ্যের দিকে
তুমি এখন চুয়ে পড়া জল- কালো ব্লাউজ থেকে বিন্দু বিন্দু
ঝরে পড়ছো অসুস্থ বৃক্ষের ডালে। টুপটাপ
পড়ে চলছো
ভেদহীন স্মৃতিহীন গন্তব্যহীন;
কয়েকটি বির্বণ শতাব্দি ধরে আমাদের প্রিয় প্রগতি
মুচকি হেসে চলে যায়, তার পিছু ধাওয়া করে
যে সমস্ত কবিরা
অথবা উন্মুল ব্যাভিচারি উদ্বাস্তুর দল
পৌঁছে যায় গন্তব্যে, হে সোনালী মহিলা, তুমিও তাদের
সংরক্ত পংক্তিমালার লক্ষ্য বিন্দুতে ছিলে একদা।
একদা এ শহরেও থমথমে হরতাল ছিল
রাস্তার মোড়ের পিকেটিং,
লাল কার্পেট, সবুজ ওড়না আর
সচিবালয়ের বহুল চর্চিত
টেলিফোন জুড়ে
নয়নাভিরাম দৃশ্যের মতো বেড়ে ওঠেছিল
অভিনব সমরনীতি রাষ্ট্রনীতি আর
নিরঙ্কুশ অর্থশাস্ত্র-
এবং
তোমার উরুসন্ধিতে প্রোথিত ছিল কবিতা;
একদা ঐ ছায়াদায়ি গ্রীবার অতুল আহ্বানে
চব্বিশোত্তীর্ণ ছোকরার দল
রোদ থেকে বৃষ্টির ঠিকুজি খুঁজে নিত;
তোমার অঙুলি হেলনে অদৃশ্য হয়ে যেতো
জনবহুল সড়কের প্রতিটি স্পিডব্রেকার-
একদা তুমি জেনেছিলে, উত্থিত শিশ্নই কবিতা
অদৃশ্য থেকে ক্রমশ দৃশ্যায়মান যে দৃশ্য
স্মৃতিপাঠ বিকেলের নামে সেই দৃশ্যের
দিকে আমি সমস্ত চুম্বন ফিরিয়ে নিচ্ছি
আজ আমি আমার সমস্ত চুম্বন ফিরিয়ে নিচ্ছি;
টুপটাপ বেদনা রহিত শব্দরাশিতে ঘোষিত হয়
তোমার ভেদহীন দিনমান। তুমি এখন নিজেরই
শরীর থেকে বিন্দু বিন্দু ঝরে পড়ছো …
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।