আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিলভিয়ার উপন্যাস



কবি সিলভিয়া প্লাথ-এর দ্য বেল জার (Thr Bell Jar) একটি উপন্যাস আছে। উপন্যাস থাকে উপন্যাসের মতো। মাঝে আমি কে? যে নিজেকে ভাবে বেলজারপ্রেমিক, সিলভিয়াপ্রেমিক। ভেবে সে উপরে লেখে দি বেল জার, তারপর লাইন লাইন লিখে যায় কী সব, ভেবে যে আলতাফমতো (পশ্চিমভজনা হয়ে যাচ্ছে ভেবেও লজ্জা না পেয়ে) কেউ পড়ে দেখতেও পারে। আমি তো পড়তাম যদি এমনকি আবদুস সালাম বা জলিল মিয়াও (দুটোই কাল্পনিক নাম) লিখতেন বেল জার বা সিলভিয়া উপরে এবং নিচে দশটিও পঙক্তি! একটি লাইনও আমি খুঁজে পাই না আমার আমি বেলজারপ্রেমিক বলে যে নিজেকে ভাবি।

It was a queer, sultry summer, the summer they electrocuted the Rosenburgs, and I didn’t know what I was doing in New York লাইন লাইন লিখে যেতে ইচ্ছা করে সিলভিয়ার নিজেরই বসানো শব্দগুলো। সেইসব শব্দগুলোও, যে সব দেখে ভেবেছি, ছিঃ এই সবও বেরল সিলভিয়ারই হাতে! কলম থেমে যায় বাইরের আমার। এসথার। এসথার গ্রীনউড। কারো পক্ষেই না বোঝা সম্ভব নয় যে এই এসথারই সিলভিয়া।

সুরেলা, নরম এক নাম। যেমন সিলভিয়া, তেমনই এসথার। অনুভূতিপ্রবণ তো অনেকে, কিন্তু এসথারের মতো কে? চিন্তারই শুরু এই ছাপানো বইটিতে execution দিয়ে--- The idea of being electrocuted makes me sick, and that’s all there was to read about in the papers---gogle-eyed headlines staring up at me on every street corner at the fusty, peanut-smelling mouth of every subway......I thought it must be the worst thing in the world. ভেবে একটু অবাকই লাগে এসথার নামের আড়ালের কবি বলবেন, মেকস্ মি সিক, বলবেন, ইট মাস্ট বি দ্য ওয়ার্স্ট থিং ইন দ্য ওয়ার্ল্ড! বিশেষত সেই কবি যার একটি কবিতার প্রথম দুটি লাইন : Viciousness in the kitchen, the potatoes hiss! সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়টি কখন মানুষের জীবনের? আঠারো-উনিশ বছর কি নয়? আকুল জিজ্ঞাসায় যখন সে অধীর হয়ে থাকে? এসথার বলছে--- When I was nineteen, pureness was the great issue. Instead of the world being divided up into catholics and protestants or Republicans and Democrats or white man and black man or even man and woman, I saw the world divided into people who had slept with somebody and people who hadn’t, and this seemed the only really significant difference between one person and another. ভাবো এবার, দেশটি আমেরিকা, সময়টা পঞ্চাশের দশক, যৌনবিপ্লব শুরু হবে-হবে করছে, তখন একটি যুবতীর মনে উঠেছে এই আলোড়ন! স্লিপিং উইথ সামওয়ান তার কাছে ডালভাতের ব্যাপার তো নয়ই, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এই এসথারই উত্তেজিত হয়ে পড়ে তার কৌমার্যের দুঃসহ বোঝা মন থেকে নামাতে, খুঁজে বেড়ায়, প্রেমিক নয়, নিছকই একজন যৌনসঙ্গী যতক্ষণ না পায় এবং পেয়ে--- পেয়ে কী হয়? এ সময়কার রক্তাক্ত বর্ণনা আমি সবসেরা ঔপন্যাসিকদের লেখার সঙ্গে মিলিয়ে পড়তে বলি। এই সিলভিয়া স্বভাবতই খুব আবেগপ্রবণ।

যে-কারো-সঙ্গই তাই এসথারের তথা সিলভিয়ারই কাছে ছিল overwhelming কবিকুলে, লেখককুলে এমন আর কেউ ছিলেন কি না জানি না তো। সিলভিয়ার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বিখ্যাত ক্রিটিক এ অ্যালভারেজ টেনেছিলেন প্যারানোয়িআর প্রসঙ্গটি। ঋত্বিক প্রসঙ্গে প্যারানোয়িআ বিষয়ে সন্দীপনের লেখাটির উল্লেখ আর করতে চাই না। বারবারই না এনে পারিনি সে প্রসঙ্গ। বোঝে না কেউ কারোই কথা তবু যে কী অনর্গল বলে যায় আর শোনে, কেবলই কাছাকাছি চলে আসতে চায় একে-অপরের---এ রকম বুঝেও সিলভিয়া লেখে, একজন কবিরই মতো--- Then I decided I would spend the summer writing a novel. That would fix a lot of people. সবকিছু বুঝেও রাগ আর ঘেন্না হয় কবির, চাপা দিয়ে রাখা যায় না তার তীব্রতা।

বুঝে যে কান্নার নেই কিছু, হাসার নেই কারণ, চরম নির্বোধ হয়ে গিয়ে সহমানুষের জন্য কী যে করণীয় তা নির্ধারণ করাও যখন অসম্ভবপ্রায়, মানুষ পায় খুঁজে যে ভাঁড়টিকে তার জন্য খুব অবাক যে মানুষের কান্নাই পায়, এবং সে কাঁদে। কবির এই কান্না সান্ত্বনাহীন। যুদ্ধে পরাজয় এবং জাহাজডুবির পরের কান্নার কথা আমরা শুনেছি, শুনেছি নিম্ন, মধ্যবিত্তের সংসার তছনছ হয়ে যাওয়ার বা প্রেমিকের ব্যর্থ প্রেমের কান্নার শব্দ। কিন্তু যে ভাবে যে সমস্তটাই কৌতুক, সমস্তটাই প্রকৃতির খেয়ালখুশি আর প্রকৃতি ভাসছে হাওয়ার উপর, পরিষ্কার বুঝতে পারছে যে মানুষের সমস্ত চেষ্টা ও উদ্যমই ঊষর জমিতে পতিত বীজের মতো নিষ্ফল, বিশেষত দুই বিশ্বযুদ্ধ ও অসংখ্য হানাহানির মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষের নির্মম পরিণতি দেখার পর, তার কান্নার মধ্যে তো সে খুঁজে পাবে না কোনো অর্থ আর। গ্রন্থারম্ভের কিছুক্ষণ পরেই একবার আমরা এসথারকে কাঁদতে দেখি।

ফটো তুলতে গিয়ে ফটোগ্রাফার বলছে, দেখি হাসো তো একটুখানি। তার পরের ঘটনার বর্ণনা এসথারের--- At last, obediently, like the mouth of a ventriloquist’s dummy, my own mouth started to quirk up, “Hey”, the photographar protested, with sudden foreboding, “you look like you’re going to cry.” I couldn’t stop. I buried my face in the pink velvet facade of Jay Cee’s loveseat and with immense relief the salt tears and miserable noises that had been prowling around in me all morning burst out into the room. (সিলভিয়ারই একটি কবিতার দুটি পঙক্তি মনে পড়বেই এখানটায় : All morning/The morning has been blackening.) এতসব কথা বলতে হলো সিলভিয়ার মূল কথাটি তুলে ধরতে। মানে, আমার বিবেচনায়, ‘মূল’। (শব্দটি যদিও তার অর্থ হারিয়েছে এ কালে)। হায়, নিরাশার কথা কেউ পছন্দ করে না।

আশাবাদী হতে চায় সকলেই। এমন যে শঙ্খ ঘোষ, খুব বড়ো লেখক একজন, বলেন, কবিতায়, ‘কোনো যে মানে নেই সেটাই মানে। ’ এমন বললে অবশ্য কোনো কথা নেই। হতাশারও মানে বদলে যায় তখন। তবে সংবেদনশীল লেখকদের শেষের কথাটি মনে হয় হবে এমনটা : I knew I should be grateful to Mrs. Guinea, only I couldn’t feel a thing. If Mrs. Guinea had given me a ticket to Europe, or a round-the-world cruise, it wouldn’t have made a scrap of difference to me, because wherever I sat—on the deck of a ship or at a street cafe in Paris or Bangkok I would be sitting under the same glass bell jar, stewing in my own sour air. এমন উপলব্ধিকে শুধুই হতাশাসঞ্জাত আমি বলতে পারব না।

(সিলভিয়া প্ল্যাথের ইংরেজি এতই প্রিয় আমার যে অনুবাদ করে দিতে ইচ্ছা করল না। পারতামও না হয়তো ঠিক ঠিক বাংলায় আনতে। ) (রচনাকাল: ১৯৭৩)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.