আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘাড়ের উপ্রে অনুভূতিশূণ্য-২[ফটুক ব্লগ]

মুক্ত কর ভয়/ আপনা মাঝে শক্তি ধর/ নিজেরে কর জয়।

গত ১৪ই মে একটা পোস্ট করেছিলাম আমাদের ইউনিতে ওয়ারফেজ আসা নিয়ে ঘাড়ের উপর অনুভূতিশূণ্য শিরোনামে। গতকাল আবার কনসার্ট ছিল। ৩ দিন ব্যাপি সিভিল ফেস্টিভাল। তার সমাপনী দিনে শুধুই কনসার্ট।

নন-ডিপার্টমেন্টাল প্রোগ্রাম। তাই আর পুরো অনুষ্ঠান দেখা হয়নি। এ নিয়ে বিস্তারিত না লেখাই ভাল!!! তারচেয়ে বরং নাহিন আপুর কথামত আরেকটা কনসার্ট রিভিউ দিই!!! কনসার্টে মোট ৮টা ব্যান্ড পারফর্ম করে। এগুলোর হল: backlash, inferno, defy, hammer cloth, rock amalgam, beside the mask, shadow of nightfall. এরসাথে আমাদের ব্যাচের ব্যান্ড crematic x আর বুয়েটের জাতীয় ব্যান্ড ”শিরোনামহীন” এবং সবশেষে warfaze. মাত্র গত সপ্তাহেই কনসার্টে লাফালাফি করে দুইদিন ঠিকমত মাথা ঘুরাইতে পারিনাই। তাই ঠিক কর্ছিলাম এবারের কনসার্টে সুশীল হব!! বসে বসে চুপচাপ কনসার্ট দেখব!! কিন্তু, ভাগ্যের ফের!! কনসার্ট শুরু হয় ঠিক ৩টায়।

তখন ছিলাম না। গেলাম ৬টার দিকে। তখন আমাদের ব্যান্ডের পারফর্ম্যান্স। নিচতলায় সিভিলরা। তাই, দোতলায় উঠে গিয়ে সুশীলায়তনের বদ্ধ বাতায়নে বসে বসে কনসার্ট দেখলাম।

এরপর বিরতি। শিরোনামহীনের তুহিন ভাই অসুস্থ। তাই আসতে দেরি হচ্ছে। এতক্ষণ বসে কি করব। তাই বাইরে চলে এলাম।

আর, আমার গতকালের সবচেয়ে বড় ভুলটা কর্লাম। শিরোনামহীন মঞ্চে ওঠার পর আমরা দোতলায় ঢুকতে গিয়ে দেখি বসা তো দুরের কথা, দাঁড়ানোরও উপায় নাই!!! কি করি, কি করি। সুন্দরমত স্টেজে যাওয়ার পথ ধরলাম। সেখানে জুনিয়র পোলাপান, আর পরিচিত পোলাপান। সোজা স্টেজের পেঁছনে।

সেখানে দেখি সিভিলের ছেলেরাই নাই। আমরা কয়েকজন আরামে আরামে স্টেজের পাশে বসে তুহিন ভাইর গান শুনতে লাগলাম। শুরুতেই ক্যাফেটেরিয়া এরপর নদী পাখি প্রথম গান থেকেই তুহিন ভাই’র গলার সমস্যা বোঝা যাচ্ছিল। কিন্তু, নিজেদের ভাইয়া বলে কথা, সেটা থোড়াই কেয়ার!! সবাই মিলে চিল্লা-চিল্লি করে গান তুলে দিচ্ছিল। কিন্তু, এই পর্যায়ে এসে একটু ফাঁকিবাজি!! ড্রামস-গীটার-কীবোর্ড সবগুলোর ভলিয়্যুম কমিয়ে গানের টেম্পো বাড়িয়ে দেন!! তাতেও শুনতে ভালই লাগছিল।

এভাবে.. বন্ধ জানালা সুর্য ভালোবাসা মেঘ বুলেট কিংবা কবিতা এই পর্যায়ে একটা ফাও গান ’মহিনের ঘোড়াগুলি’র ’পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে ’ তে তিনি ’তুহিন ভাই’ময়!! শিরোনামহীনের পারফর্ম্যান্স শেষ হয় বুয়েটের জাতীয় সংগীত ’হাসিমুখ ’ দিয়ে। এতক্ষণ ছেলেরা সবাই মিলে ’বাংলাদেশ ’ গানের জন্য অনুরোধ কর্ছিল। শেষমেষ ব্যান্ডের পারফর্ম্যান্স শেষ হলে তুহিন ভাই খালি গলায় গেয়ে শোনান গানটি। এরপর ওয়ারফেজ!! এদের নিয়ে আর কিছু বলব না। গত পর্ব পড়ে নেন।

শুধু কি কি গান কর্ছে এই লিস্টি দেই.. নেই প্রয়োজন অসামাজিক সময় অমানুষ যতদূরে একটি ছেলে জীবনধারা মুক্তি চাই মনে পড়ে বসে আছি মহারাজ এইটা কোন পোস্ট হইল?? পুরাই ফাঁকিবাজি.. এই কথা যেন কইতে না পারেন.. তাই, ফটুক দিলাম। [আমাদের অনুষ্ঠান আর গতকালের অনুষ্ঠানের] এইবার আমাদের ব্যান্ড.. এইখানে একটু পার্শিয়াল্টি আছে!! এদের ফটুক বেশি!! শিরোনামহীন ওয়ারফেজ এখন এরা যদি এরাম করা শুরু করে.. তাইলে?? তাইলে এরাম হইতারে.. কিন্তু, এরাম করলে?? এরাম হইবো না তো কি হইব?? যাউক্গা.. শেষ করি আমাদের অনুষ্ঠান দিয়ে.. আমাদের রং মারা-মারির গেঞ্জি [আমি এই অংশটা মিস কর্ছি। ] সামনে পেছনে আমরা.... [সকল ছবি আমাদের বন্ধু সাকিবের তোলা। ] উৎসর্গ: নাহিন আপু। উনি বলাতে এই পোস্ট।

এপু দি । যাওয়ার আগে ওনাকে বলে গেলাম, উনি দেখি মুখ ব্যাজাড় করা একটা ইমো দিলো!!! বি.দ্র.: মেজাজ খারাপ। কাল মাথা যতটা ব্যাথা কর্ছে, আজ এই পোস্ট তৈরি কর্তে আমার জান বাইর হইয়া গেছে!! এতগুলা ছবি বাছাই, আকার ছোট করা, নেটের এই ফালতু স্পিডের মাঝে আপলোড করা!!! গেলাম গা.. ঘুমাই কতক্ষণ!!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।