আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মোট বিদ্যুৎ চাহিদার চারভাগের একভাগ মেটাবে সৌরশক্তি।

এই ব্লগে মৌলবাদী, রাজাকার এবং জামাত শিবিরের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।

২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের বিদ্যুৎ চাহিদার চারভাগের একভাগ মরুভূমিতে সৌরশক্তি ব্যবহার করে উৎপন্ন করা সম্ভব৷ বিকল্প জ্বালানি হিসেবে সৌরশক্তি ব্যবহারের সমর্থক বিভিন্ন পরিবেশবাদী ও জ্বালানি সংস্থার এক রিপোর্টে সোমবার এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে৷ পরিবেশবাদী গোষ্ঠী গ্রিন পিস, ইউরোপিয় সোলার থারমাল ইলেক্ট্রিসিটি এ্যসোসিয়েশন (ইএসটিইএলএ) এবং ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) তাদের রিপোর্টে বলেছে, বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ নতুন কাজ সৃষ্টি করবে এবং পরিবেশ পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়তে পারে৷ গ্রিন পিস ইন্টারন্যাশনাল-এর কর্মকর্তা এবং রিপোর্টটির সহযোগী লেখক সোয়েন টেস্কে বলেছেন, পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে সৌরশক্তি প্রকল্পই হচ্ছে ভবিষ্যতের বড় বিষয়৷ তিনি বলেন, এই টেকনোলজি মেঘমুক্ত সাহারা মরুভুমি বা মধ্যপ্রাচ্যের মত উত্তপ্ত অঞ্চলেই সম্ভব৷ ২৮ পাতার এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, চলতি বছর বিশ্বব্যাপী, কনসেনট্রেটিং সোলার পাওয়ার বা সিএসপি প্রকল্পের জন্যে ২ বিলিয়ন ইউরোরও বেশি বিনিয়োগ করা হবে৷ সিএসপি-র সবচেয়ে বড় স্থাপনাগুলো স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলে এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় নির্মাণাধীন৷ রিপোর্টে অত্যন্ত আশাবাদ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বিদ্যুৎ চাহিদার শতকরা ৭ ভাগ কনসেনট্রেটিং সোলার পাওয়ার মেটাতে পারবে এবং ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের বিদ্যুৎ চাহিদার চারভাগের একভাগই মিটবে সি এস পি থেকে৷ ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে হবে ২১ বিলিয়ন ইউরো এবং এরপর ২০৫০ সাল নাগাদ এই প্রকল্পে প্রতি বছর বিনিয়োগ করতে হবে ১৭৪ বিলিয়ন ইউরো৷ এর ফলে কয়েক লাখ মানুষকে কাজে নিয়োগ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে৷ সব কিছু যদি পরিকল্পনামত চলে তাহলে ২০৫০ সাল নাগাদ সৌর প্রকল্পগুলোর বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা দাঁড়াবে ১,৫০০ গিগাওয়াট৷ তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে বাংলা সংবাদ আমাদের দেশে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে সৌরশক্তি থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুৎ অনেক ভূমিকা রাখতে পারে। সরকার সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে চীনকে মডেল হিসেবে অনুসরন করতে পারে। আনন্দের সংবাদ এই যে বিশ্বে বর্তমানে সোলার প্যানেলের দাম অনেক কমেছে। আমাদের দেশেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় কমখরচে সোলার প্যানেল তৈরি করা সম্ভব। আমাদের মাথামোটা নীতি নির্ধারকেরা জয়নালের water fuel প্রযুক্তি (!!!!!!) উদ্বোধনে যতটা উৎসাহী সেই পরিমান উৎসাহ যদি সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়ায় প্রদর্শন করতেন তাহলে দেশের জনগন বিদ্যুতের লোডশেডিং এর যন্ত্রণা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পেত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।