ফেলে দেওয়া মাল, কেউ নেই ধারে কাছে, বাতাস এলে উড়ে সব তালগোল,এখনই ঠিক সময়,লুঠ তো করতেই হবে। হা হা হা...
দূরে দূরে বিষাদে তিমিরে অট্টহাস্যে, বেশ ক্লান্ত। কাশেম-সেতুর বাসায় দাওয়াত সিল। এ্যাই ফিরলাম। হাপুস-হুপুস ভিজতে জিজতে ঠিক করলাম, ফুকোওকার জন্য একটা চিঠি দেব।
গুগুলে ম্যাপ দেখি নাই, এর আগে। টেম্পারেচার মিলাই নাই। সামার বলসো সামার। বললে এয়ারপোর্টে চাদর-জ্যাকিট, ও কে। কার সোয়েটার পরে সামার কাটাস্সো, ঠিক আসে।
গুগুলে একটা টাওয়ার এল, সমুদ্রের মত একটা হালকা-পাতলা ব্যাপার, সুজির পায়েসের মত, ক্লাস নাইন-টেন। তখন ওমন হালকা-ফাতলাই সিলাম আমি। আজ ঝড় শুরু হল। বেশ ওয়েদার। সবাই চিন্তিত।
কেউ বলতাসে, ১০,০০০ মরবে কেউ বলতাসে ১০ ফুট পানির তলায় সব, খুলনা ও সুন্দরবন।
আজকাল লিখতে ভাল লাগে না, একদম। খাতা মাঝে সাঝে নেড়ে-চেড়ে রাখি। সাদা পাতা কি সুন্দর, আর আমি বড়োজোর দুই লাইন লিখি। একটা সিগারেট ধরাই।
পেন আর খুঁজে পাই নাইক্যা। খুজতে খুজতে দেখি একটা লম্বা টাওয়ার, বাড়িগুলো টালির মত ঢাল চালে সবুজ পাতার আসন বিছানো। গুগুলের ছবিগুলো অনেকটা ঐরকম, আচ্ছা একটাও পাখি নেই ঐদেশে? শহরের সব কিছু আস্তে আস্তে ফ্রোজেন হয়ে যাচ্ছে। লোকেরা কাদা পসন্দ করে না। আজ বৃষ্টিতে নিশ্চই বাজার প্যাচপ্যাচে, আজ অনেকদিন পর হাওড়ার কথা মনে পড়ল।
অনেকদিন। একটা রাস্তা দখল করা বাজার। পিচের রাস্তার মাঝামাঝি একটা ল্যাম্পফোস্ট।
আমার ঘরের কোণে কাপড়ের একটা স্তূপ। কোণ সরিয়ে সেটাই ক্রমশ ঘর হয়ে দাড়িয়েসে।
আমার ঘর। আমার ঘর। দুই বারই আমি লিখিসি। রাতে ঘুমাইতে ইস্সা হয় নাইক্যা। আই হ্যাভ এভরি রাইটস টু ডিসটর্ট আ লাংগুয়েস।
বাংলাভাষাটা সব গু-মুতের মত হয়ে গেসে। একটা পরীক্ষার হল। নজরুল সমেত সবাই দেখলাম শুধু লিখতাসে। আমি দেওয়াল দেখি। কিছু রসায়নের সমীকরণ সেখানে পেন্সিলে লেখা, আর তার ওপরে চুনকামের দাগ সদা(সদাই লিখিসি) মেঘের মত, উড়সে মৃদু গতিতে।
খুবই ইস্লো। সবাই হাসতাসে, উত্তর বোধহয় কমন পাইসে। সেল ফোন বাজতাসে, কেউ ধরতাসে না। এক সময় বিরক্ত হয়ে ঘর জুড়ে পানি পড়া শুরু হইল।
ব্লগ জিনিসটা বেশ বিরক্তিকর ঠেকতাসে।
পাঠশালার গাসের সমস্ত আম শ্যাষ। আমারে ৬ টা দিসিল। ৪ডা খাইসি, অলরেডি। কসুরলইত্যি অহনো আনি নাইক্যা। ইতসা করতাসে না, তুমি যখন কইসো, একদিন আনবানে।
সবি ফাঠামু। আজকাল রান্না করার ফরে সবি তোলা হয়, সাগোলভাই, ফটাফট সবি তুলে। সে বসর ৫ বাদে এড্ডা রেস্তোরা দিবে, মেনুতে কি কি সবি যাবেনে তা আমরা সামনের মাসে ডিসাইড করে ফ্যালব। আমার তো এখন লিখতি একদম ভাললাগতাসে না, তা কয়দিন ভাবতাসি রান্না-বান্না করবো। মাছও তো আসে সেইরকম।
কাল আমরা মদ খাইসি। মাসুদ-কাঁকন, সাগোলভাই, অ্যানি আফা, অ্যাপোলোভাই, এক বোতল টিচার্স খাওয়া হল। টোপসে ফ্রাই আর মাশরুম উইথ স্ম্যাশড ফিস দিয়ে। মাসুদ ভাইএর রিকোয়েস্টে ওডার নাম দিসি, সাতায় মাছের সাতু।
তুমি কবে আসবা।
দিন হুনতাসি। রামকানাই সুগাড় করসি। ইস্নিপ্সে আফলুড করতি ফারিনাইক্যা। বেটার তুমি আইস্যা হুন। চিটাগাংএ টুটুল মিয়ার সনে দেখা হয় নাইক্যা, সুনি মিয়াও তহন শাহবাজপুর।
মারিয়া মায়োরে খুব দেখতি ইস্যা করতিসিলো। ফয়সলরে কই নাই। তুমি আলি মারিয়ার লগে দেখা করে আসবোনে, সেটাই বেটার। সেদিন মিহির সেনগুপ্তরে বলতাসিলাম, বর্ণমালার বাইরে আর আমাগো কিসু এক নাইক্যা। এহন সংস্কৃত, সান্ধ্যভাষা বহুদূর,এহেনে এগুলো য্যান জাস্ট ঘাসের মত গজাইসে।
অ, আ, ক, খ। টাইপগুলান কেন এমন দেখতে হইল, ভাবসো? "ক' টা তো "গ্স' এর মত দেকতে কিসু হইতে ফারত। এগো কাসে, লিপির ব্যবহার কাস্তের মত। ঐ ধান কাটার সময় লাগে। ফ্ল্যাগেও লাগায় কেউ কেউ।
সহজপাঠে নন্দলালের ইলাস্টেশন দেখলে কিসুটা আইডিয়া মাথায় আসে। আমি আগেও লিখেসি। "ই' আর 'ঈ' এর তফাত কি খালি খালি এই খালি এই খালি করে কইলে হবে? উচ্চারণ তো পরের ব্যাপার। আগে দেখতে হবে না কেমন করে সেডা তৈরি হল? এরা হায় কোনদিনই বিড়ালের তালব্য শ দেখতিই ফাবে নাইক্যা।
যাই হোক এইসব তো লিখতে চাইনি।
ব্লগ লেখা তো আরো ঝামেলার। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে অন্ধকার ধানমন্ডি থেকে পান্থপথ আসতে এতটা বিরক্ত হওয়ার কথা ন্যইক্যা। মদও খাইনাইক্যা, তবু ফুরফুরে থাকার কারণ অবশ্যি একটা ঝড়, যে কেবলই বলতাসে এটা তোমার দেশ না, দেশ না।
তাড়াতাড়ি চলে এসো। ভাল লাগতাসে না, গুগুলের সবিগুলাও ফসন্দ হয়নাইক্যা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।