আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুমিল্লায় নজরুলের অসংখ্য স্মৃতি অবহেলিত। সংরক্ষণ করা না হলে কালের গর্ভে হারিয়ে যাবে এগুলো

সময়কে কাধে নিয়ে চলো বন্ধু
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের তারুন্যের দূরন্ত সময় গুলো কেটেছিল কুমিল্লায়। প্রেম, প্রণয়, পরিণয় এবং বিচ্ছেদের তেতো বেদনা, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, আড্ডা, মিছিল, গ্রেফতার ও কারাবরণ সব মিলিয়ে এই কুমিল্লাকে ঘিরে কবির রয়েছে মধুর ও তিক্ততার স্মৃতি। আর এই স্মৃতিগুলো কুমিল্লার মানুষের কাছে যেন অমলিন। কবির দীপ্ত পদচারনা কুমিল্লাকে করেছে মহিমান্বিত। ১৯২১সালের বসন্তে (এপ্রিলে) কুমিল্লা রেলষ্টেশন দিয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম প্রথম কুমিল্লা শহরে প্রবেশ করেন।

১৯২১ সালের এপ্রিল থেকে ১৯২৪ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত কবি ৫ বার কুমিল্লায় আসেন। সবমিলিয়ে ছিলেন এগারো মাস। তার এই সফরের সাক্ষ্য হয়ে আছে দোলনচাপা, অগ্নিবীনা, ছায়ানট, ঝিঙ্গেফুল, পুবের হাওয়া প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ। কুমিল্লা তাকে আগুনের পরশমনি দিয়েছিলেন বলেই তিনি বাজাতে পেরেছিলেন অগ্নিবীনা। তিনি উদিত হয়েছিলেন ধুমকেতুর বিষ্ময় নিয়ে।

আবার তার বিজয় কেতন লুটিয়ে পড়েছিল এই কুমিল্লার চরণতলে। ছবিটি কুমিল্লা শহর থেকে নজরুল এভিনিউ হয়ে গোমতী হাসপাতাল সংলগ্ন সেনবাড়ীতে যাবার মাঝপথে ১৯৮৪সালে স্থাপিত একটি ফলক। কবি যখন কুমিল্লায় আসেন তখন এই শহরের প্রখ্যাত রাজনৈতিক বসন্ত কুমারের বাড়িতে আড্ডা দিতেন, গানের আসর বসাতেন। বসন্ত কুমারের বাড়ীর লাইব্রেরীতে কবি বই পড়তে সময় কাটাতেন। ফলকটিতে বসন্ত কুমারের স্ত্রী হেম প্রভাকে উৎসর্গ করে কবির লেখা দুটি ছন্দ দেখা যাচ্ছে।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে ফলকের সামনে একটি ডাস্টবিন। কুমিল্লায় কবির স্মৃতিকে ধারন করতে এতো ফলক তৈরী হয়েছিল যা দেশের আর কোথাও নেই। কিন্তু সেই ফলকগুলো আজ পড়ে রয়েছে অযত্ন আর অবহেলায়। অনেক স্থানে ফলকগুলো তুলে নেয়া হয়েছে। কবির জন্মজয়ন্তীতে আমাদের দাবী এই ফলকগুলো যথাযথ সংরক্ষণ করা হোক।


 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     বুকমার্ক হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.