আজও নিজের মাঝে অসাধারণতার ছাপ খুঁজে বেড়াই কিন্তু প্রতিবারই নিজেকে খুব সাধারণরূপে আবিষ্কার করি। মন্দ কি...ভালই তো আছি।
উত্তম কুমার এর আসল নাম অরুণ কুমার চাট্যার্জি। তিনি ১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন আহিরিতলা, উত্তর কোলকাতা। উত্তম কুমার এর বাবার নাম সাতকারি চ্যাট্যার্জি ও মা চপলা দেবী।
তারা দুই ভাই বরুণ কুমার ও তরুণ কুমার। উত্তম কুমার ও তরুণ কুমার একসাথে অনেক গুলা ফিল্ম এ অভিনয় করেছে। এগুলো হচ্ছে সপ্তপদী, সোনার হরিণ, মায়া মৃগ, দেয়া নেয়া, জীবন মৃত্যু, ধন্যি মেয়ে, সন্ন্যাসী রাজা, অগ্নীশ্বর ও মন নিয়ে। উত্তম কুমার এর বউ এর নাম গৌরি চ্যাট্যার্জি। তাদের একমাত্র ছেলে গৌতম চ্যাট্যার্জি ক্যান্সার এ আক্রান্ত হয়ে ৫৩ বছর বয়সে মারা যান।
উত্তম কুমার এর নাতি গৌরভ চক্রবর্তীও চলচ্চিত্রে অভিনয় করে। তার অভিনীত চলচ্চিত্র গুলো হচ্ছে ভালোবাসার অনেক নাম, ইতি, রং মিলান্তি, পথের শেষ কোথায় ও কৃষ্ণকান্তের উইল।
উত্তম কুমার অভিনীত প্রথম ছবি দৃষ্টিদান মুক্তি পায় ১৯৪৮ সালে। তিনি মোট ২০৯ টা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছে। এর মধ্যে ৩৯ টা ব্লকবাস্টার হিট, ৫৭ টা সুপার হিট ও ৫৭ টা এভারেজ হিট করে।
উত্তম কুমার সবচেয়ে বেশি অভিনয় করেছে সুচিত্রা সেন এর সাথে। তাদের জুটির প্রথম ছবি সাড়ে চুয়াত্তর। তারা একসাথে ৩০ টা ছবিতে অভিনয় করেছে। তাদের জুটির শেষ ছবি প্রিয় বান্ধবী। তাদের বিখ্যাত ছবি গুলো হচ্ছে সাড়ে চুয়াত্তর, অগ্নি পরীক্ষা, শিল্পী, স্বপ্তপদী, পথে হলো দেরি, হারানো সুর, চাওয়া পাওয়া, বিপাশা, জীবন তৃষ্ণা, সাগরিকা, ত্রিজামা, সবার উপরে, ইন্দ্রাণী, সূর্য তরণ, রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত, একটি রাত, গৃহদহ, কমললতা, হার মানা হার, আলো আমার আলো।
তাদের জুটির শেষ ছবি প্রিয় বান্ধবী।
সুচিত্রা ছাড়াও সুপ্রিয়া দেবী, সাবিত্রী চ্যাট্যার্জি এর সাথেও তার ছবি গুলো জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। উত্তরায়ণ, চিরদিনের, অগ্নি সংসার, শুন বরনারী, কাল তুমি আলেয়া, লাল পাথর, শুধু একটি বছর, অন্ধ অতীত, মন নিয়ে, বিলম্বিত লয়, ভোলা মাইরা, সন্ন্যাসী রাজা, বন পলাশীর পদবলি, জীবন মৃত্যু, বাঘ বন্দীর খেলা, অভয়ের বিয়ে, হাত বাড়ালেই বন্ধু, দুই ভাই, কুহক, নিশি পদ্য, ভ্রান্তিবিলাস, মোমের আলো, কলঙ্কিত নায়ক, ধন্যি মেয়ে, মৌচাক ইত্যাদি জনপ্রিয় ছবি গুলো উত্তম-সুপ্রিয়া ও উত্তম-সাবিত্রী জুটিকে জনপ্রিয় করে তোলে কিন্তু কোন জুটিই উত্তম-সুচিত্রা এর জুটিকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি।
তিনি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ছাড়াও আরও ১৪ টি অ্যাওয়ার্ড পান।
ওগো বধূ সুন্দরী ছবিতে অভিনয় করার সময় ১৯৮০ সালে তার হার্ট অ্যাট্যাক হয়।
তাকে বেলেভিউ ক্লিনিক এ ভর্তি করানো হয়। ডাক্তাররা ১৬ ঘণ্টা চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেননি। ১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই ৫৩ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।