চির অন্তরালে মহানায়িকা। অন্তরালে রিনা ব্রাউনের সেই মেজাজ, ‘আমাকে টাচ করবে না…’ বিশ্ববাসীর চোখের কোল ভিজিয়ে দূরে চলে গেলেও, শেষ দিনেও রয়ে গেল তাঁর স্পর্শ না করার মেজাজ। তবে আজ নয়, প্রথম থেকেই মহানায়িকার এই মেজাজের সঙ্গে বেশ পরিচিত টলিপাড়া। শুধু রূপ, লাবণ্য, অভিনয় নয়, এই অন্যমাত্রার মেজাজ দিয়েই শেষ অবধি ধরে রেখেছিলেন নিজের তারকা খচিত স্বভাবকে। তাই তো তিনি মহানায়ক উত্তমের পাশে মহানায়িকা।
তবে সুচিত্রা সেন, মহানায়কের পাশে নয়, থাকতে চেয়েছিলেন উত্তমের আগেই।
রমা থেকে তখন রুপোলি পর্দায় তিনি সুচিত্রা। একে একে বক্স অফিসে যাদু ছড়াচ্ছে সুচিত্রার মন ভোলানো হাসি। অন্যদিকে মহানায়ক উত্তমও জিতে নিচ্ছে বাংলার মন। ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিতে প্রথম জুটি বাঁধা।
তার পর ‘শিল্পী’, ‘হারানো সুর’। বাংলা চলচ্চিত্রের মসনদে তখন যেন দু’জনের রাজত্ব। উত্তম-সুচিত্রা। রুপোলি পর্দায় এই জুটির যাদুতে মুগ্ধ তামাম বিশ্ববাসী। কিন্তু হঠাৎ-ই বেঁকে বসে সুচিত্রার মেজাজ।
বিশ্বজুড়ে যখন উত্তম-সুচিত্রা নিয়ে মাতামাতি তখনই প্রযোজক ও পরিচালককে সুচিত্রা সেন জানিয়ে দিলেন তিনি আর উত্তমের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন না। সেই সময় চিত্রনাট্যের খাতায় পরিচালক অজয় কর ব্যস্ত ‘সপ্তপদী’ ছবির খসড়া লিখতে। সুচিত্রা সেনের মুখে এরকম কথা শুনে পরিচালক অজয় কর ছুটে গেলেন তাঁর কাছে, শোনালেন ‘সপ্তপদী’ ছবির গল্প। ছবির গল্প শুনে নাকি রাগ ভাঙতে শুরু করে সুচিত্রার। অন্যদিকে পরিচালকের মুখ থেকেই জানতে পারেন এই ছবির প্রযোজক মহানায়ক উত্তমকুমার স্বয়ং।
শর্ত রাখলেন মহানায়িকা। ছবির টাইটেল কার্ডে উত্তমের আগে যেন দেখনো হয় তাঁর নাম অর্থাৎ উত্তম-সুচিত্রা নয়, সুচিত্রা-উত্তম!
অজয় করের মুখ থেকে সুচিত্রার এই শর্ত শুনে নাকি সেই সময় বেজায় ক্ষেপে গিয়েছিলেন উত্তমকুমার। ঠিক করেছিলেন ‘সপ্তপদী’ ছবি তৈরিই করবেন না। মাথায় হাত পড়ল পরিচালক অজয় করের। প্রায় তিনমাস মতো পিছিয়ে গেল ‘সপ্তপদী’ তৈরির গোটা প্ল্যানিং।
শোনা গিয়েছিল এই ঘটনার পর উত্তম আর সুচিত্রার সর্ম্পকে ব্যবধান তৈরি হয়েছিল। শেষেমশ অজয় করের হাত ধরেই ফের মিলন ঘটে মহানায়ক-মহানায়িকার। তৈরি হল ‘সপ্তপদী’। সুচিত্রার কথা মেনে টাইটেল কার্ডে ভেসে উঠল সুচিত্রা-উত্তম নাম। আর বাদ বাকিটা ইতিহাস।
সূত্র ইন্টারনেট
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।