আমি হল বলরাম স্কন্ধে , আমি উপাড়ি ফেলিব অধীন বিশ্ব অবহেলে নব সৃষ্টির মহানন্দে এই কবিতাটির উপর নির্ভর করছে অনেক কিছু , হোকনা সে ছন্দ নকশা পাড়হীন বিধবার পরিধেয় সাদা থান শাড়ি না থাক এর অন্তমিলের চাতুর্য কিংবা অনুপ্রাসের সাংকেতিক দোলা না এর বুকে কোন স্পর্শকাতর বিস্ফোরক বা বিষাক্ত স্প্লিনটার ... বা সেই আশ্চর্য ম্যাজিক যা কাম্য ছিল কবিতার কাছে একদিন। এ কবিতার মধ্যে নাগরিক জীবনের যন্ত্রণার কথা নেই নেই পরকীয়া প্রেমের নিষিদ্ধ আনন্দ , দ্বন্দ্ব , খাঁচার ভিতর অচিন পাখির আধ্যাত্মিকতা নেই মরমি বাউল বা কোন আত্মমগ্ন কবির মনবৈকল্যের বিশ্লেষণ , এখানে রোমাঞ্চ নেই কোন রহস্য উপন্যাসের , অলৌকিক ঈশ্বরের প্রশস্তি গাথা বা সদ্য মৃত কোন প্রিয় বন্ধুর নির্জন কবরে সাজানোর যোগ্য এপিটাফ এটি নয়, কোন প্রতীক ব্যঞ্জনা নেই নেই এখানে শব্দের , নেই বাক্যের অন্তরালে সূক্ষ্ম কোন লুক্কায়িত বোধ। তবু, তবু যখন বঙ্গপসাগরের বুকে ঘনীভূত নিম্নচাপের প্রভাবে আকাশ সূর্যহীন , বন্দরে বন্দরে বিপদ সংকেত, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির উপর যখন নেমে আসছে অন্তহিন অন্ধকার, আমাদের সপ্নের চিত্রিত হরিনের গা থেকে যখন লাবণ্যময় চামড়া খুলে নিয়ে যাচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী বুট ব্যবসায়ির দল, তিরিশ লক্ষ শহীদের রক্ত দিয়ে লেখা সংবিধান যখন যথেচ্ছ নখরাঘাতে হচ্ছে ক্ষত বিক্ষত, স্বাধীনতা বিরোধী মন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় শকটে যখন আমাদের প্রানের পতাকা অনিচ্ছায় ঘুরছে বাতাসে , যখন সাড়ে পাঁচ কোটি ভূমিহীন কৃষক চুয়ান্ন হাজার বর্গমাইলের মধ্যেও সাড়ে তিন হাত কবরের মাটি খুঁজে পাচ্ছেনা, নিবিড় পাট চাষের বদলে যখন অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হচ্ছে নিবিড় কোটিপতির চাষ , আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো টিভির পর্দায় যখন পাশ্চাত্তের হাঙ্গর সংস্কৃতি এসে গিলে খাচ্ছে পদ্মার রূপোলী ইলিশ , যখন আমাদের শত্রুরা সংঘবদ্ধ , বন্ধুরা ঐক্য ভ্রষ্ট , তখন, তখন এই কবিতাটির উপর নির্ভর করছে অনেক কিছু......... ।এই কবিতাটির উপর নির্ভর করছে অনেক কিছু , হোকনা সে ছন্দ নকশা পাড়হীন বিধবার পরিধেয় সাদা থান শাড়ি না থাক এর অন্তমিলের চাতুর্য কিংবা অনুপ্রাসের সাংকেতিক দোলা না এর বুকে কোন স্পর্শকাতর বিস্ফোরক বা বিষাক্ত স্প্লিনটার ... বা সেই আশ্চর্য ম্যাজিক যা কাম্য ছিল কবিতার কাছে একদিন। এ কবিতার মধ্যে নাগরিক জীবনের যন্ত্রণার কথা নেই নেই পরকীয়া প্রেমের নিষিদ্ধ আনন্দ , দ্বন্দ্ব , খাঁচার ভিতর অচিন পাখির আধ্যাত্মিকতা নেই মরমি বাউল বা কোন আত্মমগ্ন কবির মনবৈকল্যের বিশ্লেষণ , এখানে রোমাঞ্চ নেই কোন রহস্য উপন্যাসের , অলৌকিক ঈশ্বরের প্রশস্তি গাথা বা সদ্য মৃত কোন প্রিয় বন্ধুর নির্জন কবরে সাজানোর যোগ্য এপিটাফ এটি নয়, কোন প্রতীক ব্যঞ্জনা নেই নেই এখানে শব্দের , নেই বাক্যের অন্তরালে সূক্ষ্ম কোন লুক্কায়িত বোধ। তবু, তবু যখন বঙ্গপসাগরের বুকে ঘনীভূত নিম্নচাপের প্রভাবে আকাশ সূর্যহীন , বন্দরে বন্দরে বিপদ সংকেত, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির উপর যখন নেমে আসছে অন্তহিন অন্ধকার, আমাদের সপ্নের চিত্রিত হরিনের গা থেকে যখন লাবণ্যময় চামড়া খুলে নিয়ে যাচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী বুট ব্যবসায়ির দল, তিরিশ লক্ষ শহীদের রক্ত দিয়ে লেখা সংবিধান যখন যথেচ্ছ নখরাঘাতে হচ্ছে ক্ষত বিক্ষত, স্বাধীনতা বিরোধী মন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় শকটে যখন আমাদের প্রানের পতাকা অনিচ্ছায় ঘুরছে বাতাসে , যখন সাড়ে পাঁচ কোটি ভূমিহীন কৃষক চুয়ান্ন হাজার বর্গমাইলের মধ্যেও সাড়ে তিন হাত কবরের মাটি খুঁজে পাচ্ছেনা, নিবিড় পাট চাষের বদলে যখন অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হচ্ছে নিবিড় কোটিপতির চাষ , আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো টিভির পর্দায় যখন পাশ্চাত্তের হাঙ্গর সংস্কৃতি এসে গিলে খাচ্ছে পদ্মার রূপোলী ইলিশ , যখন আমাদের শত্রুরা সংঘবদ্ধ , বন্ধুরা ঐক্য ভ্রষ্ট , তখন, তখন এই কবিতাটির উপর নির্ভর করছে অনেক কিছু.........
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।