আমার মাঝে তোমার আমি
অতীত ইতিহাস ও বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে উল্লেখিত এবং মানুষের মাঝে বহুল আলোচিত বিশ্বে এমন অনেক ঘটনায় ভিন্নরূপী এমন ধরনের কিছু প্রাণীর অস্তিত্বের কথা উল্লেখ পাওয়া যায়, যেগুলো হয়তো বাস্তব কিন্তু বিজ্ঞানে এখনো অনুদঘাটিত, যেমন- 'প্রাচীন গ্রিক বা রোমান লেখকদের বর্ণিত ভারতের অশ্বতুল্য দেহযুক্ত একশৃঙ্গ প্রাণীবিশেষ (Unicorn), পক্ষল ও আঁশযুক্ত এবং নিশ্বাসের সাথে অগ্নি নিঃসারক হিংস্র পৌরাণিক দানববিশেষ (Dragon), বিশালাকার দৈত্যদানব (Giant), উত্তমাঙ্গ স্ত্রীলোকের ন্যায় এবং নিম্নাঙ্গ মাছের লেজ সাদৃশ্য মৎসকণ্যা (Mermaid), দেব-দেবতা (Gods), স্বর্গদূত বা ফেরেশতা (Angel), পৃথিবীর ভিতরে বাহিরে এদের গমনাগমন, বেহেশত বা স্বর্গের বিষয়ে বর্ণিত যে সব জিনিস বা দ্রব্যাদির বর্ণনা পাওয়া যায় ইত্যাদি বিষয় প্রাচীনকাল হতে এত খুঁটিনাটিভাবে বলা হয়েছে যে, ভাবই যায় না যে এ সব অবাস্তব। এ সব বিষয়ের পিছনে কোন প্রমাণ নেই কিন্তু মানুষ দীর্ঘদিন ধরে মনে স্থান দিয়ে এসেছে, অনেকে প্রচন্ডভাবে এ সব বিশ্বাস ও করেছে। এর পিছনে কা কারণ থাকতে পারে তা অনেকেই জানে না। মাঝে মাঝে আজও খবর আসে, উত্তর আমেরিকার অমুক লেকে ড্রাগন দেখা গেছে, স্পেনের এক অরণ্যে স্বর্গদূত বা ফেরেশতা দর্শন দিয়েছেন, মধ্যরাতে শৃঙ্গযুক্ত অশ্বের দল দেখা গেছে আরব মরুভূমিতে, ইত্যাদি তথ্য পৃথিবীর উন্নত বিশ্বের নামকরা দৈনিক খবরের কাগজে বা পত্রিকাতেও ফলও করে ছাপা হয়েছে কালেভদ্রে। এটা সত্য যে বৈজ্ঞানিকদের দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালোচনা, পরিসংখ্যানে, গবেষণায়, যুক্তিতে যা পাওয়া যায় তা হলো এ সব জিনিস বা বিষয় না থাকাই স্বাভাবিক কিন্তু একই সময় একেবারে সুনির্দিষ্টভাবে এদের উপস্থিতি বা বাস্তবতাকে উড়িয়ে দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা বৈজ্ঞানিকদের মানস জগত থেকে।
অন্যদিকে বিজ্ঞান একটি বাস্তব নিয়মতান্ত্রিক বিষয়, আমাদের রূপকথার কল্পকাহিনীর তথ্য নয়। আবার পৃথিবীর আদিতে দার্শনিকরা এই সৌরমন্ডল, গ্রহ নক্ষত্র, সূ্র্য ও পৃথিবী সম্পর্কে যা কিছুই বলেছেন কোনো এক সময় দেখা গেছে- বৈজ্ঞানিকদের আবিষ্কারের আগেই তাদের দেয়া অনেক তথ্য আশ্চর্যজনকভাবে সত্যও হয়ে উঠেছে। কল্পজগত হতে এই দৃশ্যমান বাস্তবতার কথা বলা সম্ভব সেই সুক্ষ্ম যুক্তিবাদী চিন্তাকেও বাদ দেয়া যায় না।
(এটি পঞ্চাশ কোটি বছর আগের পায়ের ছাপ। আশ্চর্যের বিষয় হল সেই সময় পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব হয়নি)
(এটি পালেংকে পাওয়া সাড়ে তিন হাজার বছর আগের প্রাচীন শিল্পীর খোঁদাই করা চিত্র।
বিশ্বাস করা যায় তখনকার সময়ে মানুষ স্পেসশীপ দেখেছিল?)
অনাবিস্কৃত ওসব ঘটনাকে অলৌকিক কিংবা অতিপ্রাকৃতিক বলে চালিয়ে দেয়ার কোন মানে হয়না, যা ঘটে তা বাস্তব, হয়তো তার কার্যকারণ আমাদের অজ্ঞান; অথবা যার কারণ উদঘাটনে এবং গতিপ্রকৃতি জানতে আমাদের প্রকৃতিগত ও প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা আছে। অতএব ওসব বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে অগ্রসরমান বিজ্ঞানকে বন্ধ্যাত্বকরণের প্রয়োজন নেই। সময়ের বাস্তবতাকে জানতে প্রয়োজন মহাকালের মহাবিজ্ঞান, যাতে অলৌকিক কিংবা অতিপ্রাকৃতিক বলে কিছু থাকবে না- জীবন ও জগতের সব কিছুই ব্যাখ্যা করা যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।