আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাইনাস দেওয়ার মেশিন চাই

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

যারা সাইন-ইন ছাড়া পোস্ট পড়ে তারা প্লাস-মাইনাচ দিতে পারে না। যারা সাইন-ইন কইরা পোস্ট পড়ে তাদের নাম "সাম্প্রতিক যারা ব্লগ দেখেছেন" এই লিস্টে উঠে যায়। তবে এইখানে একটা আজিব তেলেসমাতি দেখা যায়। এই তেলেসমাতি ঘটে "মাইনাস মেশিন" এর কল্যাণে। ধরেন লাস্ট পাঠকের নাম "এ"।

তারপরে একটা পোস্ট দিলাম এবং সেইটা যারা পড়লো তাদের নাম যুক্ত হইতে থাকলো 'এ" র পরে। এমন কইরা পাঁচজনের নাম যুক্ত হইলো। তাদের মধ্যে দুইজন মন্তব্য করলো। একজন প্লাস দিলো। তারমানে পাঁচজন সাইনড-ইন পাঠকের মধ্যে চারজন এখনও মাইনাচ দিতে পারে।

কিন্তু পোস্ট দেইখা টাসকি খাইয়া যাইতে হয়। সেইখানে সাতটা মাইনাচ শোভা পাইতেছে! একটা মাইনাচ-মেশিন যে এই ভোজভাজি প্রদর্শন করায় - সেইটা বুঝতে পারতেছিলাম। অনেকে আকার ইংগিতে এইটা বলেছিলও। তবে ফাইনালী মাহমুদুর রহমান রুবেল রহস্য উন্মোচন করলো। এ-টিমে তারা কে কি করতো ইত্যাদি নানা তথ্য দিলো একদিন।

মাইনাচ দেওয়াটাও তাদের আন্দোলনের একটা অংশ। কোন একটা প্রোগ্রাম বা সফটওয়ার থেকে কম্পিউটার রিস্ট্রার্ট করে বা রিফ্রেশ করে টার্গেটেড পোস্টে ঢুকে মাইনাচ দেয়ার বাটনটা খুঁজে পাওয়া যায় এবং যে নিক থেকে মাইনাচ দেওয়া হলে তার নাম "সাম্প্রতিক যারা ব্লগ দেখেছেন" এই লিস্টে উঠবে না। এইভাবে মুহূর্তের মধ্যে অসংখ্য মাইনাচ দেওয়া সম্ভব। তবে বেশী দিলে আবার ধরা খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বইলা এই মেশিনডা একটু বিশ্বাসযোগ্যভাবে ব্যবহার করতে হয়। শুনে আমি বেশ চমকিত হইছিলাম।

আমার মনে আছে সে বলেছিলো এই মাইনাচ-মেশিনটা সুশান্তের সরবরাহ করা। ভাবছিলাম যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে এই মাইনাচ-মেশিনের প্রয়োগরে সমর্থন করা যায়। এখন তো মাইনাচ খাইতে খাইতে আমার জীবন-যৈবন বুড়িগঙ্গার ওয়েস্ট ওয়াটারে ভাইসা গেলো। মনে হইতেছে এই মাইনাচ মেশিন এখন সুশান্তের হাত নাই - অনুমান করি সে এইটা একটা মহৎ কাজের জন্য আবিষ্কার করেছিলো কিন্তু যাদেরকে দিছে তারা সেটাকে এখন নিজেদের খেয়াল খুশীমত অপব্যবহার করতেছে। বেচারা সুশান্ত! এখন আমারও একটা মাইনাচ-মেশিন চাই।

যাদের পোস্ট পছন্দ হবে না তাদের সেই মেশিনে চড়ে মাইনাচ দিতে চাই। নইলে আমার পোস্টে যে পরিমাণ মাইনাচ পড়তেছে অচিরেই বুড়িগংগার পানি খাইয়া আত্মহত্যা করতে হবে। মনে রাখবেন, আত্মহত্যার জন্য বুড়িগংগার এক আউঞ্চ পানিই যথেষ্ট।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.