বাস্তবতা ফেরী করে বেড়াচ্ছে আমার সহজ শর্তের সময়গুলোকে
আরো কয়েক মাস চলে গেল। ইউনিভার্সিটি লাইফের শেষের দিকে আমি। বিদেশে উচ্চশিক্ষার নেওয়ার তাগিদে এরইমধ্যে স্কলারশিপের জন্য অ্যাপ্লাই করেছি বেশ কয়েক জায়গায়। কাশফিয়ার সাথে আগের মতোই নিয়মিত কথা হচ্ছে, দেখা হচ্ছে। তবুও ভালোবাসার কথা বলা হয় না।
সেই সময় ইউনিভার্সিটির কালচারাল ক্লাব একটা আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কাশফিয়া আগ্রহ নিয়ে সেই আলোচনা অনুষ্ঠান দেখতে আসলো। কালচারাল ক্লাবের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমাকে বক্তব্য রাখতে হলো। বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগঘন ভাষায় অনেক কিছুই বললাম। সমাজের অন্ধ সংস্কার ভাঙ্গার কথা বললাম, সংস্কৃতির ভূমিকার কথা বললাম।
সমাজের সংস্কারের অর্গল ভেঙ্গে মুক্ত দুয়ারের প্রত্যাশার বানী শুনালাম। এক পর্যায়ে খেয়াল করি শ্রোতাসারিতে কাশফিয়া মুগ্ধ হয়ে আমার কথা শুনছে। অনুষ্ঠান শেষে দুজনে একসাথে বেরিয়ে হাটতে হাটতে চারুকলার দিকে চলে আসলাম। হাটতে গিয়ে আনমনেই হাত বাড়িয়ে কাশফিয়ার হাতটা ধরলাম। তার আপত্তি না পেয়ে হাত ধরেই হাটতে লাগলাম।
চারুকলার সিরামিক্স বিল্ডিংয়ের সামনে বেশ নিরব এলাকা। অদুরে দু’একজন শিক্ষাথী ড্রয়িং এর কাজ করছে। তখন পড়ন্ত বিকাল। লাল সূর্য লেপ্টে আছে পশ্চিম আকাশে। শেষ বিকালের আলোতে কাশফিয়াকে চমৎকার লাগছিলো।
তখন ভাবছি, আজকেই কাশফিয়াকে ভালোবাসার কথা বলার সবচেয়ে উত্তম দিন। কাশফিয়ার দিকে একমনে তাকিয়ে আছি এমন সময় সে বললো-
তুমি আজকে অনেক সুন্দর করে বলেছো। আচ্ছা সত্যি করে বলোতো, তুমি কি মন থেকে এইসব চিন্তা ধারণ করো?
আমি চুপ করে থাকলাম। কাশফিয়াই আবার শুরু করলো।
তোমাকে অনেকবার বলেছি আমার পরিবারের কিছু অজানা কাহিনী আছে।
কোনদিন কাউকেই বলিনি। আসলে বলার মতো কাহিনীও না। কিন্তু আজকে তোমার বক্তব্য শুনে মনে হলো তোমাকে বলতে পারি। তাছাড়া বিষয়গুলো তোমার জানা দরকার।
আমি ছোট করে বললাম-হুমম, বলো।
কাশফিয়া শুরু করলো। হয়তো তোমার কাছে শুনে বেশ আশ্চর্য্য মনে হতে পারে বিষয়গুলো। খুব ছোট থাকতে আম্মুকে রেখে আব্বু বিদেশ পাড়ি জমান। আব্বুর সঙ্গে আমার খালাও চলে যান। আম্মুকে ডিভোর্স দিয়ে দেন আব্বু।
তখন কতোইবা আমার বয়স। মাত্র সাত বছর। আমার বড় ভাইটার বয়স তখন দশ বছর। আমাদের দুই ভাইবোনকে নিয়ে আম্মু তখন অনেক বিপদে পড়েন। কি করবেন ভেবে উঠতে পারেন না।
কয়েকমাস খুব কষ্টে দিন কাটে আমাদের। তখনই আম্মুর সাথে একজনের পরিচয় হয়। নিজেকে ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেন। শুরুর দিকে সেই লোকটি আমাদের পরিবারকে খুব সাপোর্ট দেন। আম্মুও দিনে দিনে উনার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন।
এক পর্যায়ে সেই লোককে আম্মু বিয়ে করেন। বিয়ের পর বেরিয়ে আসে লোকটির আসল চেহারা। সেই কাহিনী আম্মুর জীবনের বেদনার কাহিনী, অন্ধকার জীবনের কাহিনী। লোকটির বন্ধুদের অবাধ যাতায়াত বাড়তেই থাকে আমাদের বাড়িতে। পার্টির নামে চলতে থাকে মাতলামি।
আম্মু শুরুর দিকে কিছু বললেও পরের দিকে আর প্রতিরোধ করতে পারেন না। ততোদিনে আম্মু সেই লোকটির হাতের পুতুল হয়ে ওঠে। সেই লোকটি যেমন করে বলেন তেমন কাজ করতে হয় আম্মুকে। লোকটি আম্মুকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। সেই বয়স থেকেই আমাদের বাসায় অনেক অপরিচিত লোকদের নিয়মিত আগমন দেখছি।
লোকটির প্রতি সবসময় তীব্র ঘৃণা কাজ করে আমার। কিন্তু বিশ্বাস করো বাধ্য হয়ে বাসার ভিতরে লোকটাকে বাবা ডাকতে হয়। না হলে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করেন। শুধু পতিতাবৃত্তিতেই থেমে থাকে নি, আম্মুকে পর্নো ছবিতে অভিনয়ে বাধ্য করা হয়। আম্মু প্রায়শই কেঁদে কেঁদে তা বলেন।
কিন্তু এখন তিনি প্রতিবাদের ভাসা হারিয়ে ফেলেছেন।
এতোটুকু বলে কাশফিয়া থামলো। বিমর্ষ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালো। আমি বললাম-
এখন তাহলে তিনি ওইপথ থেকে ফিরে আসছেন না কেন?
কিভাবে পারবেন বলো? আম্মু এখন সেই লোকটার হাতের পুতুল হয়ে ওঠেছেন। তাছাড়া বাইরে থেকে সামাজিক স্ট্যটাস রক্ষার বিষয়টাও আছে।
আমাদের দুই ভাইবোনের বিষয় আম্মু সবসময়ই খেয়াল রেখেছেন। তারপরেও শেষ রক্ষা হয় নি। বড় ভাইটা ড্রাগ এডিক্টেড। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমার দিকে নজর গেছে সেই লোকটির বন্ধুদের। আম্মু অনেক বয়ে কয়ে আটকে রেখেছেন।
সবসময়ই কি যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি তোমাকে বলে বোঝাতে পারবো না।
কাশফিয়া আরো অনেক কথাই বলে গেল। আমি সব কথাই মনোযোগ দিয়ে শুনলাম। তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য নিজেও কিছু বললাম। কিন্তু ততক্ষণে আমি উপলব্ধি করছি নিজের ভিতরটা আস্তে আস্তে বদলে যাচ্ছে।
যেই আমি কিছুক্ষণ আগেই আলোচনা অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় সংস্কার ভাঙ্গার কথা বলে আসলাম সেই আমার মনেই ক্রমশ সংস্কার বাসা বাঁধতে লাগলো। কাশফিয়াকে ভালোবাসার কথা বলা হলো না। কথাগুলোর মুখের মধ্যেই আটকে থেকে গেল। কিছুক্ষণ পর বিদায় নিয়ে আসলাম। মনের ভিতরটা দৃঢ় হয়ে উঠলো কিভাবে জানি! এই সংস্কার আমার পক্ষে ভাঙ্গা সম্ভব না, এমন ভাবনাই দৃঢ় হলো।
নিজেকে তখন খুব ভন্ড মনে হতে লাগলো।
পরের কয়েকটা দিন কাশফিয়া ব্যস্ত ছিল তার পরীক্ষা নিয়ে। আমিও ব্যস্ত হয়ে উঠলাম। যোগাযোগের সুতায় কেমন যেন একটা টান পড়লো। বুঝতে পারছি আমাদের মধ্যে আস্তে আস্তে একটা মানসিক দুরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে।
এও উপলব্ধি করতে পারছি এই দূরত্বটা আমার তৈরি করা। মুখে সংস্কার ভাঙ্গার কথা বললেও বাস্তব জীবনে তা পারছি না। এভাবে ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা শেষ হলো, রেজাল্টও হয়ে গেল। রেজাল্টের কয়েকদিনের মধ্যে স্কলারশিপের নিশ্চয়তা পেয়ে গেলাম। ভিসার জন্য অ্যামবাসিতে দৌড়াদৌড়ি করে বেশ কয়েকটা দিন কাটলো।
তখনো কম করে হলেও মাঝেমধ্যেই কাশফিয়ার সাথে দেখা হয়, কথা হয়। উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ পাড়ি দেওয়ার আগের রাতটিতে কল করে কাশফিয়াকে বিদেশ যাওয়ার কথা জানালাম। শুনে প্রথমে খুব খুশি হলেও পরের দিন ভোরই চলে যাচ্ছি জেনে খুব মন খারাপ করলো। কেন আগে জানাইনি এ নিয়ে অভিযোগ করলো। কি জবাব দিবো ভেবে পাচ্ছিলাম না।
শেষে কাশফিয়া খুব করে অনুরোধ করলো যাওয়ার আগে তার সাথে দেখা করে যেতে। পরদিন খুব ভোরে ফ্লাইটের কথা বলে এড়িয়ে গেলাম। কাঁদতে কাঁদতে ফোন রেখে দিলো। পরদিন খুব ভোরে এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশনের কাচের রুমে প্রবেশ করে গেছি এমন সময় পিছনে তাকিয়ে দেখি রুমের বাইরে কাশফিয়া দাড়িয়ে আছে। আমার দিকে তাকিয়ে আছে একমনে।
হাত নাড়িয়ে বিদায় জানিয়ে ভিতরে চলে গেলাম।
বিদেশে গিয়ে পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেলাম। অনেকটা কাশফিয়া অধ্যায়কে নিজের স্মৃতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রয়াস। মাঝেমধ্যে ভাবি, কাশফিয়ার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ শুরু করবো। এইটুকু সংস্কার ভাঙতে না পারলে ভালোবাসার মূল্য কোথায়! পরমুহুর্তেই সমাজের কথা ভাবি, পরিবারের কথা ভাবি।
আগের ভাবনাগুলো শূণ্য হয়ে যায়। তারপরও প্রথম একবছর মাঝেমাধ্যে কাশফিয়ার সাথে যোগাযোগ হয়েছে। কখনো সখনো সে নিজেই আমাকে কল করেছে। এটা সেটা অনেক কথা হলেও ভালোবাসার প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেছি সযত্নে। দ্বিতীয় বছরের গিয়ে আমি পড়ালেখা নিয়ে অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।
কাশফিয়াও কেন জানি কিছুটা যোগাযোগ কমিয়ে দিল। এক পর্যায়ে আমাদের যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবেই বন্ধ হয়ে যায়। মাঝেমধ্যে ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের মাঠ ধরে যখন হেটে ডর্মে ফিরে আসি তখন কাশফিয়ার কথা হঠাৎ হঠাৎ মনে পড়ে যায়। পরমুহুর্তেই অন্য ভাবনায় ডুবে যাই। কাশফিয়াকে কল করা হয় না আর।
দুই বছর পর দেশে ফিরলাম। দেশে ফিরে কি মনে করে যেন কাশফিয়াকে কল করলাম। কিন্তু নাম্বার বন্ধ। আমিও খুব বেশি ভাবলাম না। কল করার চেষ্টা করেছিলাম, ঘটনা এখানেই সীমিত থাকে।
একরাতে একা একা ট্রেনে চড়ে বসলাম। চলে গেলাম চট্টগ্রামে। সেখান থেকে কক্সবাজার। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কাছেই একটা মোটেলে উঠে গেলাম। পরিকল্পনা হচ্ছে কয়েকদিন সমুদ্র সৈকতের পাশে থাকবো।
অনেকটা হুট করে করা পরিকল্পনা। দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় সমুদ্র সৈকতে হেটে বেড়াচ্ছি একা একা। হঠাৎ দেখি দুর থেকে একটা মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। টি শার্ট আর জিন্স পড়া। পোশাক দেখেই বেশ আধুনিকা মনে হয়।
আমি তাকাতেই আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো। ভাবতে লাগলাম-মেয়েটা আমাকে চিনে নাকি! কাছে আসতেই চিনে ফেললাম। এতোদিন পর হঠাৎ করে এভাবে দেখা হয়ে যাবে ভাবতেই পারি নি। দুজনেই হতভম্ব হয়ে গেছি। অনেকক্ষণ সামনাসামনি চুপ করে দাড়িয়ে থাকলাম।
নিরবতা ভেঙ্গে কাশফিয়া জিজ্ঞেস করলো-
দেশে ফিরেছো কবে?
এইতো একমাস হয়ে যাচ্ছে প্রায়।
ভালো আছো কিনা জিজ্ঞেস করবো না, জানি ভালো আছো..... অন্য খবরাদি কি?
চলছে। ছোট কথায় উত্তর দিলাম। তারপরই প্রশ্ন করলাম- তোমার খবর কি? কেমন আছো?
আমার আর খবর? আমার খবর জেনে তোমার কি হবে?
ঢাকায় এসে তোমাকে কল করেছিলাম। কিন্তু নাম্বার বন্ধ।
জেনে ভালো লাগলো। তারপরেও তুমি আমার কথা মনে করেছো।
আরো কিছুক্ষণ কাশফিয়ার সাথে কথা চললো। এক পর্যায়ে এখানে কার সাথে এসেছো জিজ্ঞেস করতেই বিমর্ষ হয়ে গেল কাশফিয়া। হঠাৎ কি হলো বুঝতে পারলাম না ঠিক।
কাশফিয়া বলা শুরু করলো-
এই বিষয়টা তোমাকে না বলতে পারলেই ভালো হতো। তারপরেও তুমি যেহেতু জানতে চেয়েছ বলি। এখানে এসেছি আমার তথাকথিত বাবার বয়স্ক এক বন্ধুর সাথে। লোকটির আনন্দের সঙ্গীনী হতে। তোমাকে তো একদিন আমাদের পরিবারের সব কথাই বলেছি।
আম্মা অনেক চেষ্টা করেও আমাকে রক্ষা করতে পারেন নি। তুমি বিশ্বাস করতে পারবেনা, কি তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে গত এক বছরে। যাকে বাধ্য হয়ে বাবা ডাকতাম সেই বাবাই এক রাতে......। এটুকু বলেই কাঁদতে শুরু করলো কাশফিয়া।
কাছে গিয়ে হাত ধরতেই আবার বলা শুরু করলো কাশফিয়া।
“তারপর থেকে বাবা নামক ঘৃণিত মানুষটার বয়স্ক বয়স্ক বন্ধুদের বিনোদনের সঙ্গীনী হতে বাধ্য করা হয়েছে আমাকে। প্রতিনিয়তই নিজের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে আছি। মাঝেমধ্যে ভাবি এরচেয়ে মরে যাওয়াই ভালো। ”
কাশফিয়াকে কি বলবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। সব কিছুর জন্য নিজেকে দায়ী মনে হতে লাগলো।
সেদিন যদি কাশফিয়াকে ফিরিয়ে না দিতাম তাহলে তাকে এমন সব ঘটনার মুখোমুখি হতো না। সমাজের শৃঙ্খলটা সেদিন ভাঙতে পারলেই কাশফিয়ার সুন্দর একটা জীবন থাকতো আজ। কিছুক্ষণ পর কাশফিয়া বললো-
যাই এখন। অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। যার সাথে এসেছি উনি ঘুমাচ্ছেন।
উঠে আমাকে না দেখলে রাগ করবেন।
বলেই হাটতে লাগলো কাশফিয়া। কিছুদুর গিয়ে আবার ফিরে আসলো। জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতেই তাকাতেই কাশফিয়া বললো-
তোমাকে একটা কথা জানাতে ফিরে আসলাম। আজকে এই কথাটা না জানালে হয়তো আর কখনোই জানানো হবে না।
তোমাকে আমি খুব ভালোবেসে ফেলেছিলাম; স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলাম। এখনো ভালোবাসি নিজের মতো করে। ঠিক আছে, যাই তাহলে।
আমাকে কিছু না বলার সুযোগ না দিয়েই হেটে চলে গেল কাশফিয়া। জীবনানন্দ দাশের জনান্তিকে কবিতার কয়েকটি লাইন তখন মাথায় ঘুরতে লাগলো।
তোমাকে দেখার মতো চোখ নেই-তবু
গভীর বিস্ময়ে আমি টের পাই- তুমি
আজও এই পৃথিবীতে রয়ে গেছ।
কোথাও সান্ত্বনা নেই পৃথিবীতে আজ;
বহুদিন থেকে শান্তি নেই।
নীড় নেই
পাখিরও মতন কোনো হৃদয়ের তরে !
পাখি নেই।
মানুষের হৃদয়কে না জাগালে তাকে
ভোর, পাখি, অথবা বসন্তকাল ব’লে
আজ তার মানবকে কী করে চেনাতে পারে কেউ।
কাশফিয়া, তোমার বাস্তবতাকে দেখার চোখ নেই আমার।
কিছু সংস্কার আমার দেখার চোখকে অন্ধ করে দিয়েছে। ভালোবাসার ভোর, পাখি অথবা বসন্তকাল কিভাবে চেনাবে আমায় মানবতাকে?
(সমাপ্ত)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।