চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা
যদিও খুব বেশি রকমের কষ্ট পেয়েছিল লোকটি তবুও সৌভাগ্যবানই ছিল লোকটি।
না বুঝে বক্তার দিকে তাকালাম।
হ্যা সত্যিকার অর্থেই প্রচন্ড রকমের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল লোকটিকে।
বৃত্তান্ত শুনার অপেক্ষায় রইলাম।
প্রথমেই স্ত্রীকে হারালেন তিনি।
ব্যবসা বানিজ্যে আগ্রহ হারালেন। একমাত্র ছেলে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিল গোটা দশ বছর আগে। দূর সম্পর্কের এক ভাগিনা তার সংসারে যোগ দিয়েছিল সে অনেক বছর আগে।
স্ত্রী বিয়োগের দুসপ্তাহের মধ্যেই মর্মান্তিক এক দূর্ঘটনায় প্রান হারাল তার ভাগিনাটি। একেবারেই একাকী হয়ে পড়েছিলেন।
তার অসুখে পড়লেন। ভয়ানক সে অসুখে একেবারেরই অচল হয়ে পড়লেন। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেন বাকী দুনিয়া থেকে। দেখাশুনার জন্য আপন কেউ নেই, পর্যাপ্ত অর্থও নেই চিকিৎসা করার। মর্মান্তিক এক দুরাবস্থা তার সাথী হয়েছিল, মৃত্যু অবধি।
অথচ এর আগের জীবনটি তার ছিল খুবই সুখের।
অর্থের প্রাচুর্য থাকলেও ছিমছাম সুন্দর একটি জীবন ছিল তার।
কোনরকমের দু:খ কষ্ট ছিল না তার। একজন মানুষের সুখী হওয়ার জন্য যা কিছু প্রয়োজন তার সবকিছুই কপালে জুটেছিল ভদ্রলোকের।
এবার দীর্ঘস্বাস ফেললেন বক্তা।
শেষ জীবনটা খুব কষ্টের হলেও খুবই সৌভাগ্যবান ছিলেন ভদ্রলোক। কেননা তার জীবনে কষ্টের যা কিছু ঘটেছিল, তার ব্যপ্তি ছিল মাসখানেকের মত মাত্র।
এবার আমি আস্তে করে শুধালাম, মৃত্যুকালে তার বয়স কত ছিল?
বক্তা মৃদু হেসে উত্তর দিলেন, ৭০ বছর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।