যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
সকালের চকচকে রোদ দেখে
দুম্ করে মনটা হঠাৎ, ভীত হয়ে ওঠে!
অথচ নারকেল গাছের পাতায় তখন --
রৌদ্রের সিম্ফনীর তালে তালে,
নেচে চলেছিলো দোয়েলেরা, শালিকেরা সব!
জানি, এমন সময় শুধু আনন্দ করাই চলে,
সাথে হয়ত খানিকটা প্রার্থনা বড়জোর;
এমন দিনে, সব ঝেড়ে ফেলে দিতে হয় --
ভয়ভীতি, আশংকা আর অস্থিরতার বোধ।
তবুও মন, ভীত সে হয়েওঠে,
আশংকা আর উৎকন্ঠার দোলাচলে।
আজ রোদ; কাল তবে বৃষ্টি?
পরশু ঝড়? ঘূর্ণিঝড়?
তোরশু মেঘের গভীরে বজ্রনিনাদ?
বন্যা, ভূমিধ্বস, ভূমিকম্প, হাহাকার, কান্না, ক্ষুধা, রিলিফ ওয়ার্ক?
তারপর -- আবারও রোদ?
ধীরে ধীরে সব থেমে আসবে, নতুন প্রভাতের ঘ্রাণে?
তারপর?
শেষ কোথায়!
হাইড্রোজেন কি হিলিয়াম হবেনাকো কভু!
আকাশের ব্যপ্তিতে, বাতাসের দোলে,
সাগরের ঢেউয়ে, আর পথিকের পথে --
দেখি আমি এক এক অদৃশ্য মারেফতি সাইন কার্ভ।
যেন জল্লাদের কঠোর হাতের মাংসপেশীর
সংকোচন আর প্রসারনের সাথে সাথে --
চাবকায়! ভীষণভাবে!!
মূহুর্তের নিস্তারের পরপরই
ততোধিক রূঢ় হয়ে ধেয়ে আসে --
সপাং সপাং সাইন কার্ভের ঢল।
আকাশ, সমুদ্র, জল, স্থল, জল্লাদের মঞ্চ,
পৃথিবীর সবকোণ, সব পথ, সব নদী -- একাকার!
নিষ্ঠুর ঢেউ আর কিছু নিরাপদ ঊর্মিমালায়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।