বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
কবি হাইমে সাবিনেস। কবিতায় তিনিও দয়ালকে ডাকেন। হাইমে সাবিনেস-এর দয়ালের নাম তারুমবা।
লাতিন আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। চিয়াপাস প্রদেশটি মেক্সিকোর একেবারেই সর্বদক্ষিণে। টাক্সটলা গুতিয়েরেজ তারই রাজধানী শহর। ১৯২৫ সালের ২৫ মার্চ টাক্সটলা গুতিয়েরেজ এ মেক্সিকোর সবচে জনপ্রিয় কবি হাইমে সাবিনেস-এর জন্ম । বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পেনের সাহিত্য নিয়ে পড়বার আগে তিন বছর মেডিকেলেও পড়েছেন সাবিনেস।
সরকারি চাকরি করেছেন কিছুকাল। ব্যবসা করতেন । লালনও। রাজনীতিও করতেন সাবিনেস। লালন অবশ্য আত্মার রাজনীতি করেছেন।
সাবিনেস এর কবিতায় উঠে আসে পরাবাস্তব চিত্রকল্প, মেক্সিকোর পার্বত্য-প্রকৃতি, মেক্সিকোর শহুরে মানুষের নিত্যদিনকার দিনযাপন এবং ঈশ্বর। ঈশ্বর অবশ্য তৈরি করে নিয়েছেন সাবিনেস-নাম দিয়েছেন তারুমবা। লালনের যেমন-দয়াল। কবিতার শেষে - লালনের মতন তারুমবা তথা দয়ালকে ডাকেন সাবিনেস । কাজেই, তাঁর কবিতার স্বর কখনও গম্ভীর কখনও শ্লেষাত্বক।
কবি বলেই সম্ভবত কোণঠাসা আদিবাসী ইনডিয়ানদের প্রতি অশেষ সহানুভূতি ছিল সাবিনেস-এর।
দশ খন্ডে হাইমে সাবিনেস-এর কবিতাসমগ্র সমাপ্ত হয়েছে ।
কবি সাবিনেস-এর মৃত্যু ১৯৯৯ সালের ১৯ মার্চ ।
তারুমবা
তারুমবা।
আমি পিঁপড়েদের সঙ্গে যাই।
মাছির পায়ের চারিদিকে
মাটির ওপর দিয়ে যাই-যাই বাতাসের ভিতর দিয়ে।
যাই মানুষের জুতায়
খন্ডিত খুরে, যাই পাতায়, কাগজে;
আমি যাই যেখানে তুমিও যাও তারুমবা,
আমি এসেছি যেখান থেকে তুমি এসেছ।
আমি মাকড়শাকে চিনি।
আমি জানি তুমি তোমার সম্বন্ধে যা জান
এবং তোমার বাবা যা জানতেন
আমি জানি তুমি আমার সম্বন্ধে যা বলেছ
না জানার জন্য ভয় হয়
এখানে আমার পিতামহের মতন-
দেওয়ালের দিকে চেয়ে, ভালো ও মৃত;
আমি বাইরে গিয়ে এখন চাঁদের আলোয় হিসি করব।
তারুমবা, দ্যাখো, কেমন বৃষ্টির মত মনে হয়।
দিনের ঘরের ভিতরে
দিনের ঘরের ভিতরে ঢোকে মানুষ আর জিনিস ।
দুর্গন্ধলতা,
নির্ঘুম অশ্বেরা
চটুল সুর
জানালায় মেয়েদের পুতুল
তুমি আর আমিও ঢুকি তারুমবা।
ঢোকে নাচ, ঢোকে সূর্যও
ঢোকে ইন্সুরেন্সের দালাল
আর এক কবি।
পুলিশ।
আমরা সবাই আমাদের বেচতে যাচ্ছি তারুমবা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।