আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের নারী শ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তভুক্ত করতে হবে



মে দিবসের দাবী অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের নারী শ্রমিকদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবদান অনেক। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদেরকে শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা শোষণ-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এসব শ্রমিকরা। মহান মি দিবসে আমাদের দাবী অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের নারী শ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তভুক্ত করতে হবে। শ্রমিকদের রক্ত পানি করে এই শহর গড়ে উঠেছে অথচ তাদের থাকার জায়গা নেই, কাজের নিশ্চয়তা নেই।

এই মানুষগুলোর জন্য কাজের নিশ্চয়তা ও সস্তা রেশনিং চালু করতে হবে। ঢাকা শহরসহ সারা দেশে কর্মরত বিপুল সংখ্যক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের ২০০৬ সালে প্রণীত শ্রম আইনের বাইরে রাখা হয়েছে । ফলে এসব শ্রমিকদের কর্মস্থল থেকে শুরু করে জীবন যাপনের সর্বক্ষেত্রে বঞ্চনা বেড়েছে আরও কয়েকগুণ। শিকাগোতে আট ঘন্টা কাজের দাবীতে সংগ্রাম করেছিল শ্রমিকরা। কিন্তু অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের নারী শ্রমিকদের সব সময় কাজ করতে হয়।

অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের এসব নারী শ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবেই উদ্যোগ নেওয়া দরকার । সামাজিকভাবে শ্রমজীবী নারীদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তির এবং আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহন করতে হবে। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের নারী শ্রমিকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা, নু্ন্যতম মজুরি নির্ধারনের পাশাপাশি নারী-পুরুষের মজুরি বৈষম্য দূর করা, চিকিৎসা, বাসস্থানের নিশ্চয়তা প্রদান এবং এদের শিশুদের শিক্ষা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের বিপুল সংখ্যক শ্রমিকের এইসব অধিকার প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নিতে হবে রাষ্ট্রকে।

হামিদুল ইসলাম হিল্লোলের মেইলে পাঠানো ১মের দাবি থেকে নেওয়া

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।