কত কিছু যে করতে চাই, তবুও কিছু করতে না পারার দায়ে মাথা খুঁটে মরি ।
কথোপকথন – ১
-দোস্ত দেখ।
--কী?
-ভাব ধরিস না। কতক্ষণ ধইরা ত দেখতাছস।
--ইয়ে মানে, মাইয়াটা আসলেই সুন্দর।
হে হে। তাই আর কী।
-তয় মাইয়াটার স্বভাব ভালা পাই না।
--কেন?
-আহ, দেখস না কী পড়ছে ? শার্ট – জিন্স পোলাগো ড্রেস না?
-- ওর শার্ট টা আমাদের মত না। কাটিং অন্যরকম।
ওইটা ফর গার্লস। জিন্সটাও ফর গার্লস।
-ত হইছে কী ? মাইয়া ফাউল।
-- অ, আরে ওর পিছেরটাকে দেখিস নাকি ?
- এইটা ত চরম, ভাই। কত কিছু দেখা যায়।
বুঝা যায়। টাইট জিনিস। আহা আহা।
--এখন কী শিখলা ?
-মামা, এইটাও ভালা না।
-- এই ত, বুঝছস।
শার্ট প্যান্ট পইরাও শালীন থাকা যায়, যদি মাইয়ার ইচ্ছা থাকে। আবার, সালোয়ার কামিজ পইরাও সব দেখান যায়, যদি মাইয়ার ইচ্ছা থাকে। কী জামা পড়ছে, সেইটা কথা না, কীভাবে পড়ছে সেটাই কথা।
- ভাবের কথা কইস না। ওর দিকে এমনে তাকাইয়া আছস কেন?
--হে হে।
সোন্দর লাগে তাই।
- তাকাবি না, খবরদার। ও আমার, ওরে আমি দেখুম।
--!??! যা ভাগ। ও আমার।
-দেখ, খুনাখুনী হবে কিন্তু!
--হ, তুই খুন হবি। সর। ও আমার।
[পরবর্তী ফলাফলঃ অজ্ঞাত ওই মেয়ের জন্য ভরা রাস্তায় কিঞ্চিত মারপিট। ]
কথোপকথন – ২
-কীরে, কী খবর ?
--ভাল।
-আরে আরে, কানে ইটা কী লাগাইচস? ফুঁটা করছস নাকি ?
-- হুঁ।
-এক কানে ২ টা ? আরেকটাতে ফুঁটা নাই কেন?
--আমার স্টাইল।
-ঘটনা কী? কবে করচস ?
-- ১ বছর হইল ত।
-কেন?
--আর্মিদের কলেজে ছিলাম। শার্টের উপরের বোতাম লাগাইতে কইত।
চেইতা মেইতা ইন্টার পরীক্ষা যেই দিন শেষ ওই দিন যায়া এই কাম করছি।
-ব্যাথা পাস নাই ?
--পাইছি। । তখন বুঝি নাই যে ব্যাথা পামু।
-অভদ্র, বাসাতে কিছু কয় না?
--হমমমম।
-কেমন ফ্যামিলি কিছু কয় না?
--হমমমম। দাঁড়ায়া থাকতে ভাল্লাগতেছে না। সামনে হাঁট।
-দাঁড়া, একটা সিগারেট ধরায়া লই।
--বাসাতে কিছু কয় না?
-জানলে ত।
জানেইনা এখনও সিগারেট খাই। জানে ছাইড়া দিছি।
--কেমন ফ্যামিলি পোলার খোঁজ নেয় না?
-হমমম। ইয়ে, ধূর, তুই ফাউল। বাসাতে আমার কত কিছু ধরব? এখন আর কিছুতে কিছু কয় না।
বড় হইসি না?
--ধরা খাইলে খারাপ হইব এমন কিছু কখনও করিই নাই। তাই এখন আর কিছুতে কিছু কয় না। বড় হইসি না?
-যা ভাগ। ত লগে কথা কইয়া মজা না।
--খেক খেক।
[খারাপের প্রকারভেদ আছে। একটা হল, খারাপ দেখায়, আরেকটা হল, খারাপ কাজ। কোনটা খারাপ দেখায় তা যুগের সাথে পরিবর্তন হয়। খারাপ কাজ সেটাই যেটাতে অন্যের ক্ষতি হয়। কিছু লোক প্রথমটা ঠেকানো নিয়ে ব্যস্ত থাকে, কয়েকজন ভদ্রলোক পরেরটা ঠেকানো নিয়ে চিন্তা করেন।
]
কঠিন কঠিন কথা অনেক হল। ঈশপ নাকি প্রতিটা মোরালের পরে একটা করে লোকাল কৌতুক বলতেন(শোনা কথা)। সেরকম কিছু পারি না। তবে কিছু একটা ত বলাই যায়।
তাই সবশেষে জুক্স।
ক্লাস থ্রিতে পড়া মেয়েটা তার শিক্ষিকাকে বলতেছে –
-ম্যাডাম, আমার আম্মু কী এখন আবার মা হতে পারবে?
-- বয়স কত উনার?
-৪০ বছর।
-- পারবে।
-ম্যাডাম,আমার আপু পারবে?
--বয়স কত?
-১৮ বছর।
--ম্যাডাম, আমি পারব ???
-- না গো খুকি। তুমি ত একদম ছোট।
এখনও তুমি পারবা না।
মেয়েটা তার পাশের ছেলেটাকে খোঁচা দিয়ে ফিস্ফিস করে বলল, “বেকুব কোথাকার, বলছিলাম না আমার বেলায় কোন টেনশন নাই। তখন ভয় পাইছিলা কেন? বেকুব। ”
আরেকটা শুনেন।
একটা চিড়িয়াখানায় ছাত্র ছাত্রীরা ট্যুরে গেছে।
-ম্যাডাম, ওটা কী জিরাফের বাচ্চা ?
--হ্যাঁ।
-বাচ্চা কীভাবে হয়?
--ইয়ে মানে, ইয়ে করে। মানে, ঠিকভাবে দুয়া করলে একটা বক পাখি একটা পোটলাতে করে বাচ্চাকে তা মায়ের কাছে পৌছে দেয়।
ক্লাস থ্রী এর দুটো মেয়ে নিজেদের মধ্যে ফিসফাস করতেছে, “তোর কী মনে হয়, আমাদের কী ম্যাডামকে সত্যিকার ব্যাপারটা খুলে বলা উচিত ?”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।