খোলা চোখে অচেনা কথা কাদের মোল্লার বিচারের রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এবং শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে অবস্থানরতদের প্রতি সংহতি প্রকাশের লক্ষে শনিবার স্টুটগার্টের বাংলাদেশীরা মিলিত হয়েছিল স্টুটগার্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। নতুন প্রজন্মের অপ্রতিরোধ্য শক্তি আর প্রবীণের অনুপ্রেরণা নিয়ে ঢাকার শাহবাগ থেকে শুরু হয়েছে বাংলার বিবেকের পুনর্জাগরণ। শাহবাগ যখন ধিরে ধিরে তৈরি হচ্ছিল প্রজন্ম চত্তরে তখন স্টুটগার্টের বাংলাদেশীরা ঘোষণা করল এই পুনর্জাগরনের সাথে সম্পৃক্ততা।
দুপুর ২ টা থেকেই শুরু হয় বিভিন্ন স্লোগান যুক্ত পোস্টার তৈরির কাজ। বিকাল ৫ টায় জাতীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী আরম্ভ হয় ।
বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে স্টুটগার্টের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ৬০ জন বাংলাদেশী এতে অংশ নেয়। অবস্থান কর্মসূচির মধ্যে ছিল রাজাকার বিরোধী পোস্টার, কাদের মোল্লার বিচারের রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সরূপ প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন। `তীর হারা এই ঢেঊয়ের সাগর পাড়ি দেব রে...। ´ গানের সাথে সাথে শেষ হয় প্রথম পর্ব। এর পর শুরু হয় সাক্ষাৎকার গ্রহন।
শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ তাঁদের অনুভুতি ব্যক্ত করেন। সকলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে তাঁদের নিজ নিজ বক্তব্য তুলে ধরেন। প্রত্যেকের বক্তব্য ভিডিও ক্যামেরায় ধারন করা হয়। পরবর্তীতে শুরু হয় আলোচনা পর্ব। আলোচনার এক পর্যায়ে ইঞ্জিনিয়ার মিনহাজ দিপন বলেন- ´রায় শুনে এতোটাই হতাশ যে, কিছু বলার ভাষাও যেন হারিয়ে ফেলেছি।
এতোগুলো হত্যা করেও যে ফাঁসির হাত থেকে বেঁচে যায়, কিভাবে সেই রায় আমরা মেনে নেই। কোন অবস্থাতেই এই রায় গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমি এই রায়ের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি´।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে স্বাধীনতার এই ৪২ বছর পর এসে গোটা জাতি যখন দল-মত নির্বিশেষে সঙ্ঘবদ্ধ, গন মানুষের এই গনজাগরণ সম্পর্কে ইউনিভার্সিটি অফ স্টুটগার্টের মাস্টার্স স্টুডেন্ট মুহাম্মাদ মনিরুজ্জামানের ধারনা এমন- ´´তরুণরা আজ জেগেছে, এই জাতিকে এখন আর কেউ দাবায় রাখতে পারবে না। এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ অন্যান্য সকল সমস্যা সমাধানে সবাই আগিয়ে আসবে।
আসলে সবার মনেই আলাদাভাবে আন্দোলনের শিখা ধিক ধিক করে জ্বলছিল। আজ তরুণরা একটা প্লাটফর্ম তৈরি করে তার পূর্ণতা এনে দিলো´´।
সাক্ষাৎকার দিতে ছোটোরাও কম গেল না - সবাইকে ছাপিয়ে ছোট্ট এহা, রিহা ও নাবিলার চিৎকার ``আর কোন দাবি নাই, রাজাকারদের ফাঁসি চাই``।
এর পর প্রজ্বলিত মোমবাতি হাতে নিয়ে ``মা গো ভাবনা কেন? আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে... তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি, তোমার ভয় নেই মা আমরা প্রতিবাদ করতে জানি...`` গানের সাথে সাথে মানব বন্ধনের মধ্যে দিয়ে ৭১ এর শহীদদের প্রতি স্রদ্ধা জানিয়ে সংহতি প্রকাশের কর্মসূচী শেষ হয়।
আমাদের কথা ভিডিও দেখুন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।