একট হাসি, অলস দুপুর, এক ফোঁটায় জলের পুকুর।
আমার দোস্ত'র একটা কোঁকড়া চুল ওয়ালী আছে, দেড় ফুটি। সেই দেড় ফুটি তারে রীতিমত দৌড়ের উপরে রাখে। আজ তার সাথে সেটা নিয়েই কথা হচ্ছিল। আর সেই দেড় ফুটির নানান কীর্তি কাহিনী।
দোস্ত আমার স্বঘোষিত বুড্ডা, সে পারলে আমার সাথে সেই দেড় ফুটির মত করে।
আর তখনই আমার কোঁকড়াচুলওয়ালীর আমার ঘরে আগমন। (আমার কোঁকড়াচুলওয়ালীর নাম, কোঁকড়াচুলওয়ালী একি মানুষই রেখেছেন। কারণ, আমাদের দুই দোস্তের সব কিছু সমান সমান থাকতে হয়, নাইলে সুনামি হওয়ার পসিবিলিটি আছে । আরেকটা কারণ অবশ্য আছে, দুই জনের গল্প শুনে আলাদা করাটা কঠিন, কার কথা হচ্ছে ।
)
> নাহিন, তুমি কি করো?
আমি মনিটর থেকে মহা বিরক্তভাবে মুখ তুলে বললাম, খই ভাজি।
ফিক করে হেসে দিলো। আমি আরেকটু ভাব নিবো কিনা ভাবছি, দেখি পিচ্চি টুক টুক করে হেঁটে জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমার জানালাটা তার আবার হেব্বি পছন্দ। এ কথা-সে কথার ফাঁকে দেখলো পাশের ওয়্যারহাউসের সামনে অনেক মোটর সাইকেল রাখা।
আমাকে প্রশ্ন করলো দেখেছি কিনা? আমি হ্যাঁ বলতেই পাল্টা প্রশ্ন কয়ট আছে ?
বলে নিজেই গোণা শুরু করলো , এক, দুই, তিন... আট, নয়, দশ, ওরে বাবা অনেকগুলা।
আমি বোকা হয়ে দুই মিনিট তাকায় তার কান্ড কীর্তি দেখলাম।
বুঝলাম, আমার কোন আশাই নাই।
আমার কোঁকড়াচুলওয়ালী দেড় ফুটি না, এবং তিনি যে দেড় ফুটি নন, বরং চার ফুট সাড়ে তেরো ইনচি এটা তারে দেখে বুঝতে হয়। এমন করে ঘুরে বেরাবে, দেখলে মনে হবে ছোট একটা বাচ্চা পুতুলের সংসার খেলছে।
এইতো সেদিন দেখি মুখ ভার। বেড়াতে যেতে চেয়েছিলো।
আমি বললাম যাও। তখন হিসেব করা শুরু করলো, এটা সমস্যা,সেটা সমস্যা- এটা করতে হবে, সেটা করতে হবে। যখন বললাম যাও, আমি দেখতেসি সব।
তিড়িং করে যা লাফটা দিলো আমি রীতিমত চমকে তাকায় ছিলাম, করে কি??
তবে, আমার কোঁকড়াচুলওয়ালীটা অনেক লক্ষী, আমার থেকেও। আর, আমার যত আব্দার, তার কাছেই, যত আহলাদ, দুষ্টুমি সব।
আমার পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু , আমার অস্তিত্বের সবটুক আমার আম্মু।
আমার কোঁকড়াচুলওয়ালী সিনিয়র।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।