সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সরকার যে পরিমাণ অর্থঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল, গত অর্থবছর (২০১২-১৩), শেষ পর্যন্ত তার এক-তৃতীয়াংশ পেয়েছে। এর মানে হলো, সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তবে আগের বছরের চেয়ে প্রকৃত বিক্রি বেড়েছে।
জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০১২-১৩ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের প্রকৃত বিক্রি হয়েছে ৭৭২ কোটি টাকার। অথচ সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে প্রকৃত ঋণ নেওয়ার কথা ছিল এক হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা।
২০১১-১২ অর্থবছরে প্রকৃত সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল ৪৭৯ কোটি টাকার।
নির্দিষ্ট সময়ে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে ওই সময়ে আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করার মাধ্যমে গ্রাহকদের মূল ফেরত দেওয়ার পর যা অবশিষ্ট থাকে, তাকেই নিট বা প্রকৃত বিক্রি ধরা হয়।
জানা গেছে, বিগত অর্থবছরে বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ২৩ হাজার ৩২৬ কোটি টাকার। একই সময়ে গ্রাহকদের সঞ্চয়পত্র ভাঙানো বা মূল পরিশোধ বাবদ খরচ হয়েছে ২২ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সঞ্চয়পত্রের প্রকৃত বিক্রি মাত্র ৭৭২ কোটি টাকা।
অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে জানুয়ারি মাসে দুই হাজার ৩২৪ কোটি টাকার। আর সবচেয়ে কম, এক হাজার ৬৪৬ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ডিসেম্বর মাসে। তবে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে যে অর্থ নিয়েছে সরকার, তার চেয়ে বেশি আসল পরিশোধ করেছে সেপ্টেম্বর, নভেম্বর, ডিসেম্বর ও এপ্রিল মাসে। এই মাসগুলো সঞ্চয়পত্র বিক্রি পরিস্থিতি ঋণাত্মক পর্যায়ে ছিল। জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের প্রথম দুই অর্থবছরে (২০০৯-১০ ও ২০১০-১১) সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ করেছিল সরকার।
২০০৯-১০ অর্থবছরে ১১ হাজার ৫৯০ কোটি টাকার প্রকৃত সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল। আর পরের বছর এর পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৫৬ কোটি টাকা। জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের মাধ্যমে বর্তমানে পরিবার সঞ্চয়পত্র, প্রতিরক্ষা সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, ছয় মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়। ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে প্রতিরক্ষা সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এতে আর নতুন বিনিয়োগ হচ্ছে না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।