শহরে রাস্তার ধারে পদ্মফুলের পাপড়ির মতো ভারি সুন্দর করে কেটে বিক্রি হয় আমড়া। সঙ্গে দোকানি ছিটিয়ে দেন বিটলবণ। যানজটে আটকে থাকার বিরক্তি ঝেড়ে ফেলতে আমড়াকে সঙ্গী করেন অনেকে। তবে রাস্তার ধারে কাটা আমড়া না খেয়ে বাড়িতে গিয়ে কেটে খাওয়াই সবচেয়ে ভালো। কারণ, রাস্তার ধারের আমড়া খেতে গিয়ে এর সঙ্গে থাকা জীবাণুও খেয়ে খেলতে পারেন।
আষাঢ়ের শেষ থেকে আশ্বিন মাসের শেষ পর্যন্ত আমড়ার ভরা মৌসুম। কখনো কার্তিকেও পাওয়া যায়। তাই এই সময় রসনা বিলাসে আমড়াকে সঙ্গী করতে পারেন। সহজলভ্য এই ফল খাওয়া সত্যিই কি খুব জরুরি? জানতে চেয়েছিলাম পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক আলেয়া মাওলার কাছে। তিনি বলেন, আমড়ায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম আর আঁশ আছে, যেগুলো শরীরের জন্য খুব দরকারি।
হজমেও এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই তেল ও চর্বিযুক্ত খাদ্য খাওয়ার পর আমড়া খেয়ে নিতে পারেন; হজমে সহায়ক হবে। আমরা আমড়া কেন খাব, সে সম্পর্কেও আরও তথ্য দিলেন আলেয়া মাওলা।
আমড়ায় প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় এটি খেলে স্কার্ভি রোগ এড়ানো যায়। বিভিন্ন প্রকার ভাইরাল ইনফেকশনের বিরুদ্ধেও লড়তে পারে আমড়া।
এই মৌসুমে সর্দি-কাশি-জ্বর লেগেই থাকে। আমড়া এসব রোগে আক্রান্তদের মুখের স্বাদ ফিরিয়ে দেয়। সর্দি-কাশি-জ্বরের উপশমেও আমড়া অত্যন্ত উপকারী। শিশুর দৈহিক গঠনে ক্যালসিয়াম খুব দরকারি। ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস এই আমড়া।
শিশুকে তাই এই ফল খেতে উৎসাহিত করতে পারেন। এ ছাড়া এটি রক্তস্বল্পতাও দূর করে। কিছু ভেষজ গুণ আছে আমড়ায়। এটি পিত্তনাশক ও কফনাশক। আমড়া খেলে মুখে রুচি ফেরে, ক্ষুধা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
এ ছাড়া আমড়ায় থাকা ভিটামিন সি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। খাদ্যে থাকা ভিটামিন এ এবং ই এটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে দেহকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত থেকে রক্ষা করে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।