বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
কখনও ঘুম ভেঙ্গে গেলে; অনেক রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে নিজের সচেতন ভাবটা টের পেয়ে ভারি অবাক হয়ে যায় সে। শোওয়ার ঘরে রাতজুড়ে ম্লান একটা নীল আলো জ্বলে; সন্তপর্নে বিছানা থেকে নেমে সেই আলোয় সিগারেটের প্যাকেট আর ম্যাচের বাক্সটা তুলে নিয়ে আরও বেশি সতর্ক হয়ে বিন্দুমাত্র শব্দ না-করে বেডরুমসংলগ্ন দরজাটা খুলে বারান্দায় এসে দাঁড়ায় সে। তখন হয়তো ছোট্ট বারান্দাটায় আবছা অন্ধকার কিংবা ফ্যাকাশে জ্যোস্না- বাতাস উথালপাথাল কি স্তব্দ।
ওপাশের বিল্ডিংয়ের দিকে তাকাতে তাকাতে সিগারেট ধরায় সে। কোনও কোনও জানালায় তখনও আলো জ্বলে থাকে । কান পাতলে টিভির আওয়াজও শোনা যায়।
কী ভাবে যেন টের পায় ও। উঠে আসে।
আলতো করে জড়িয়ে ধরে পিছন থেকে। কয়েকটা কথা বলে-কন্ঠস্বরে স্পষ্ট অনুযোগ। তখন তার দীর্ঘ নিঃশ্বাস পড়ে। জীবনের এইসব গাঢ় মমতার কথা ভেবে তখন তার দীর্ঘ নিঃশ্বাস পড়ে।
আজও সে সেভাবেই এসে দাঁড়িয়েছিল বারান্দায়।
এপ্রিল শুরুর ম্লান আলো ও গুমোট ছিল। ওপাশের বিল্ডিংয়ের জানালায় আলো ছিল। নিচের গলিটাও নিথর ছিল না-রিক্সার বেল, কুকুরের ডাক, কার যেন গান। সিগারেট ধরাতে যাবে-ড.রশিদের গুরুগম্বীর স্বরটা কানে এল-"সিগারেট আর খাবেন না। "
তার দীর্ঘ নিঃশ্বাস পড়ে।
আজও ও উঠে এসে আলতো করে জড়িয়ে ধরল পিছন থেকে। কয়েকটা কথা বলল - কন্ঠস্বরে অনুযোগ এনে।
তার দীর্ঘ নিঃশ্বাস পড়ল। ভাবছে, ড.রশিদের কথাট কী ভাবে সে ওকে বলে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।