লড়ছি প্রতিটি ক্ষনে নিজের মনের সাথে, জীবনের সাথে এবং সমাজের মানুষের সাথে শুধু অপেক্ষায় জয়ী হবার সম্ভবনা... এই মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবার সাথে সাথেই আর কিছু নাই। সমস্ত স্মৃতি, এই জীবনের সমস্ত অজ্ঞতা সেখানেই শেষ
এমন এমন একটা মুহুর্ত আসে যখন মনে হয় যা চাই তাই যেন হয়, হোক তা মিরাকল! হোক তা প্রিয় কিছুর বিনিময়েও বা হোক কোন নতুন শপথে, কিন্তু সে সময়টা বিধাতা কোন কথাই শোনেন না। তখন তিনি কোন প্রার্থনা কবুল করেন না, তিনি তার মত কাজ করেন। তিনি তখন সবচে বড় নিষ্ঠুর হন। আমার ভাইয়ের স্মৃতিগুলো প্রতিনিয়ত আমাকে স্বরণ করায়, যখনই মনে হয়, যেন আমি উম্মাদ হয়ে যাই, জ্ঞান বুদ্ধি কেমন যেন লোপ পায়, হঠাৎ করে চোখের কোনে চিক চিক করে উজ্জল হয়ে যায়, তখনই নিজেকে লুকিয়ে ফেলি, কিছু ভাল লাগে না।
বার বার বিরবির করে বলতাম, কোন কারনে ও যদি ভাল হতো, ওর কোন অপূর্ন চাওয়াটা যদি পূরণ করতে পারতাম। ওর অসুস্থ'র সময়ের কষ্টগুলো মনে হলে বিধাতার প্রতি খুব অভিমান হয়। আমি ভুলতে পারছিনা ওকে জড়িয়ে ধরে বলেছি, ভাই তুই ভাল হয়ে যাবি, আবার বাড়ি গিয়ে খেলাধুলা করতে পারবি, সামনে এইচএসসি তে তোর ভাল একটা রেজাল্ট চাই, কিন্তু .... কই কি থেকে কি হলো....... আল্লাহ এ কি করলো...... বাবা-কে হারানোর পর কেন তিনি আবার ভাইকে নিয়ে যাবেন? মাঝে মাঝে মনে হয় তিনি কি সত্যি আছেন? নাকি মানুষ নিজেদের মনকে শান্তনা দেওয়ার জন্যই এই ধর্ম সৃষ্টি করেছে! তিনি যদি থেকেই থাকেন তবে কেন এত কষ্ট দেন? কেন তিনি পুতুল খেলার মত আমাদের নিয়ে খেলছেন? আর আমরাই বা কেন তার খেলার পুতুল হলাম? তারপরও অন্ধবিশ্বাসে নামাজ পড়ি, বাবা ও ভাইয়ের রুহের মাগফেরাত কামনা করি, তাদের জন্য দোয়া করি।
রাশায়াত রহমান জিকো ভাইয়ের গত কয়েকদিনের স্ট্যাটাসগুলো দেখলে যে কারো খুব কস্ট পাওয়ার কথা। তার আকুতি মিনতি বিধাতা শুনেননি।
তার মা-কে নিয়ে গেছেন। জিকো ভাইর আম্মার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহ তার সকল গুনাহ মাফ করে দিন, তাকে জান্নাতবাসী করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।