আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে হেটেছি এতোটা দূর!

যালিম হয়ে বেচে থাকার চেয়ে মযলুম হয়ে মরাও উত্তম
আগামীকাল পহেলা বৈশাখ, বাংলা বছরের প্রথম দিন। বাঙ্গালীদের জন্য এক উৎসবের দিন। আগামী কাল উপলক্ষে আজ একজনের কথা স্মরন করবো,তিনি আমাদের কবি গূরু । বাংলা কাব্যকে যিনি দিয়ে গিয়েছেন অতুলনীয় সমৃদ্ধি আর ঐশ্বর্য। আমি বলবো তিনি বাংলা কাব্যের ক্ষতি করেই গেছেন! কিভাবে? সব উনিই লিখে ফেলেছেন অন্যরা লিখবে কি? কি লিখেনাই কবিগুরু? আর সবচে মজার ব্যাপার তিনি বৃষ্টি আর চাদনী রাত নিয়ে এতো বেশি লিখেছেন যে অন্যদের আর লেখার কিছু বাকী নাই!চাদনী রাত যে বনে গিয়ে দেখতে হয় এটা উনিই বলে গেছেন! "আজ জোছনা রাতে সবাই গেছে বনে!" আমার মনে হয় রবীন্দ্রনাথ না থাকলে বাংলা সাহিত্য বা কাব্যে রোমান্টিকতার অভাব হতো।

এতো এতো গান শুনি কিন্তু ঘুরে ফিরে রবীন্দ্র সঙ্গীতই সেরা। "সখী বয়ে গেলো বেলা, শুধু হাসি খেলা সে কি আর ভালো লাগে", "ভেঙ্গে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে"। অনেক ছোটবেলায় পত্রিকায় পড়েছিলাম, অনেক লেখক-কে প্রশ্ন করা হয়েছিলো তাদেরকে তাদেরকে নির্বাসন দিলে তারা কোন বই সাথে নিয়ে যাবে? বেশিরভাগই বলেছিলো "গল্পগুচ্ছ"। আমি "গল্পগুচ্ছ" পুরোটা পড়তে পারিনি, তবে যতটুকু পড়েছি অসাধারন লেগেছে। আর "শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ"-কথাটার মধ্যেও কাব্য আছে! এবার বলি দুঃখের কথা, বঞ্চনার কথা।

এক সময় এই উপমহাদেশে ঢাকা, আর কোলকাতাই ছিলো একমাত্র সমৃদ্ধ জনপদ। আজকের মুম্বাই আর ব্যাঙ্গালোর কিছুই ছিলোনা তখন। কিন্তু আজ মুম্বাই আর ব্যাঙ্গালোর কোথায় উঠে গেছে,আর কোলকাতা কোলকাতাই রয়ে গেছে। মুম্বাই, ব্যাঙ্গালোরের মতো উন্নতি কোলকাতার হয়নি। গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী একবার দুঃখ করে বলেছিলেন, "আমি বাঙ্গালীতো তাই মাঝে মাঝে ঈর্ষা হয়, যে আমি পাঞ্জাবী হলে হয়তো আমার গান দেশ বিদেশে আরো ছড়িয়ে পড়তো।

কিন্তু আমি বাঙ্গালী বলেই সেটা হয়নি। একটা 'বৃদ্ধাশ্রম' বা একটা 'দশ ফুট বাই দশ ফুট' গান লেখার মতো ক্ষমতা 'ডালের মেহেন্দী'দের হয়নি। " আর একজন ব্যাক্তির কথা বলতে হয়-সত্যজিৎ রায় । বাংলা চলচিত্র নির্মানে যার ছিলো অসাধারন দক্ষতা। বাংলা গানের মতো এতো সুন্দর গান আর কোন ভাষায় আছে? "আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে হেটেছি এতোটা দূর"।

এতো সুন্দর লাইন আর কোথায় আছে? ও হ্যা, বাংলা কাব্যকে যিনি পূর্নতা দিয়ে গিয়েছেন তিনি হলেন জীবনান্দ দাশ । প্রথম আলো ব্লগ
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।