ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন যুবলীগের নেতা কর্মীদের পাহারার কারণে দরপত্রের ফরম (সিডিউল) কিনেও অধিকাংশ ঠিকাদার জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার তিনটি সড়ক পাকা কারণের একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আহবান করা দরপত্র দাখিলের শেষ দিনে এই ঘটনা ঘটে।
পৌর কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে (বিএমডিএফ) পৌরসভার অধীন তিনটি সড়ক পাকাকরণের একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য গত মাসের প্রথম দিকে জাতীয় প্রত্রিকার মাধ্যমে দরপত্র আহবান করা হয়। সড়ক তিনটি হচ্ছে- পৌর সভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের মৌলভী এয়াকুব সড়ক, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আবু নাছের চৌধুরী সড়ক এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল মোতালেব সড়ক। প্রকল্পের ব্যায় ধরা হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
দরপত্রের শিডিউলের মূল্য ধরা হয় প্রতিটি ৬ হাজার টাকা। নির্ধারিত সময়ে ৩১ টি সিডিল বিক্রি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার ছিলো দরপত্রের শিডিল জমা দানের শেষ দিন। কিন্তু সকাল থেকে ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পৌর ভবন এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেওয়ায় তাঁদের নির্ধারিত ব্যাক্তি বা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্যকোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দিতে পৌর কার্যালয়ে ঢুকতে সাহস পাননি। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে পৌর ভবনে পুলিশ মোতায়েন কারা হলেও তাঁরা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খিজির হায়াত খান জানান, মঙ্গলবার তিনি এলাকায় ছিলেন না। তবে টেন্ডার নিয়ে কি যেন সমস্য হয়েছে বলে শুনেছেন। তবে এর বাহিরে তিনি আর কিছু জানেন না বলে জানান।
পৌর মেয়র কামাল উদ্দিন চৌধুরী দরপত্র দাখিলে ক্ষমতাশীনদের প্রভাব বিস্তারের কথা স্বীকার করে বলেন গতকাল বুধবার বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি পুলিশও মোতায়েন করেছিলেন। কিন্তু কোন কাজ হয়নি।
৩১ টি দরপত্রের সিডিউল বিক্রি হলেও প্রভাবের কারনে জমা পড়েছে মাত্র ৫ টি। তিনি জানান, দরপত্র কমিটির প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে পরবর্তি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জাকের হোসাইন দাবি করেন, পৌর সভার দরপত্র জমাদান প্রক্রিয়ায় পুলিশের সামনে কোন অনিয়ম হয়নি। বরং পুলিশ নির্বিগ্নে দরপত্র দাখিলে সহায়তা করেছে।
#
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।