পশ্চিমবঙ্গকে পিছিয়ে দিতে চায় বিরোধীরা: জ্যোতি বসু
পশ্চিমবাংলাকে পিছিয়ে দিতে চায় কংগ্রেস ও তৃণমূল। ওরা রাজ্যের শিল্প গড়ার কাজে বাধা দিচ্ছে, উন্নয়নের সব কাজেই বাধা দিচ্ছে। এমনকি বেকার যুবকদের কাজের সুযোগ তৈরি করতেও ওরা বাধা দিচ্ছে। এরাজ্যের মানুষ ওদের ক্ষমা করবেন না। গণশক্তি-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে একথা বললেন প্রবীণ জননেতা জ্যোতি বসু।
তিনি এই সাক্ষাৎকারে দেশ ও রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। বলেছেন, কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউ পি এ এবং বি জে পি-র নেতৃত্বে এন ডি এ, যে নীতির ভিত্তিতে দেশ চালিয়েছে তা সাধারণ মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে। তাই তৃতীয় মোর্চাই এখন দরকার। মানুষ তার পক্ষেই রায় দেবেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন অজয় দাশগুপ্ত।
প্রশ্ন: গত লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় একটা সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রেক্ষিতে এবারের নির্বাচন হতে চলেছে। বামপন্থীরা গতবার কংগ্রেসকে সমর্থনের কথা বললেও এবারে কংগ্রেস এবং বি জে পি, উভয়কেই পরাস্ত করার আহ্বান জানিয়েছে। এরকম পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের কারণ কি?
জ্যোতি বসু: এটা ঠিকই, গতবারের তুলনায় পরিস্থিতির অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনের পর আমরা কংগ্রেসকে সমর্থন করেছিলাম কেন্দ্রে সাম্প্রদায়িক শক্তি বি জে পি-কে ঠেকাতে। বি জে পি-র নেতৃত্বে এন ডি এ আবার ক্ষমতায় এলে দেশকে আরেকটা গুজরাট বানিয়ে ফেলতো।
গুজরাটে আর এস এস-বি জে পি পরিকল্পনা করে মুসলমানদের গণহত্যাব করেছে রাজ্য সরকারের মদতে। আমরা এটা সারাদেশে হতে দিতে চাইনি। সেজন্যই কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউ পি এ সরকারকে আমরা সমর্থন করেছিলাম। এটা একটা অভিনব ব্যাপার ছিল। যে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আমরা চিরকাল লড়াই করে এসেছি, এখনও লড়াই করছি, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে তাদেরকেই আমাদের সমর্থন করতে হয়েছিল।
কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে, আমাদের এই সমর্থন নিঃশর্ত ছিল না। সাধারণ ন্যুনতম কর্মসূচী রূপায়ণের শর্তেই বামপন্থীরা ইউ পি এ সরকারকে সমর্থন করেছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।