জাগো মানুষ আজ জাগো, ভেবনা তুমি বাঙালী কি বাংলাদেশী....কেটে যাবে রোদ ভাঙ্গবে আঁধার, আমি দেখব মাগো তোমার মুখের হাসি
আমি সামহ্যোয়ারে নতুন। বন্ধুদের কাছে এই সাইটের নাম অনেক আগে জানতে পারলেও, সময়-সুযোগের অভাবে সদস্য হতে পারিনি। এরপর প্রায় দু'সপ্তাহ পূর্বে অতিথি হিসেবে ১ম এই সাইটে ঢুকে কিছুটা থতমত খেয়ে যাই। বন্ধুদের মুখে অনেক প্রশংসা শুনে থাকলেও বাংলা ভাষার এত সুন্দর একটি ওয়েব সাইট হতে পারে এটা আমার জানা ছিল না। এরপর দুসপ্তাহ ধরে বিভিন্ন লেখা পড়লেও রেজিঃ করি মাত্র কয়েক দিন আগে।
কারণ, নিজের লেখার উপর খুব একটা আস্থা ছিল না। (এখন অবশ্য কিছুটা হয়েছে )
এ ক'দিনে বুঝেছি, সামহ্যোয়ারের এমন ব্লগার রয়েছেন যাদের লেখা অত্যান্ত উঁচু মানের। তবে সেই সাথে কিছু কিছু লেখাকে আপত্তিকরও মনে হলো। বিশেষ করে, কয়েক জন ব্লগার তাদের লেখায় হাগজাল, হাগু, ছাগুছিপ, ছাগু এ'ধরনের শব্দ ব্যবহার করেছেন---এই নামগুলো খুব খারাপ লাগল। মানুষকে ছাগু বা ছাগল, হাগু ইত্যাদির সাথে তুলনা করা সত্যিই খারাপ।
এসব কি গঠনমূলক লেখা হলো? আবার অনেক লেখায় দেখলাম কমেন্ট সেকশনে একই ছবি উদ্দেশ্যপূর্ণ ভাবে অনেকবার দিয়ে পুরো কমেন্ট সেকশন ভরিয়ে দেওয়া । অনেককে দেখলাম অসভ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে।
একদিন তো আমার নিজেরই বেড়াছেড়া লেগে যাবার মত অবস্থা। ছোট ভাইকে নিয়ে সামুর লেখাগুলো পড়ছিলাম। কিন্তু ন্যায়পথিক ও তামিম ইরফান নামক দুই ব্লগারের ব্লগে ঢুকে আমার তো বেগতিক অবস্থা।
এই দুই ব্লগার এমন দুই ছবিযুক্ত পোস্ট দিয়ে রেখেছেন যা সভ্য সমাজের অনুপযুক্ত। ছোট ভাইকে খুব গর্ব করে সামহ্যোয়ার সম্পর্কে বুঝাচ্ছিলাম, শেষে আমারই লজ্জায় পড়ার মত অবস্থা। পরবর্তীতে অবশ্য ন্যায়পথিকের ব্লগে সেই ছবি না দেখা গেলেও, তামিম ইরফান তার ছবিটি বহাল রেখেছেন View this link ।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এগুলোকে কি ভাল বা গঠনমূলক কাজ বলা যাবে? এসব কি ফ্রিডম অব স্পিচের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা যাবে? এসব কর্ম যারা করছেন, তাদের অনেককে বেশ ভাল মানের লেখক মনে হলো। তাদের লেখনি অত্যন্ত উঁচু মানের।
অথচ নিজ ক্ষমতার অপচয় করছেন তারা।
তাদেরকে আমি একটি কথাই বলব, বাংলাদেশের আজ বড়ই দুর্দিন। এসময় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশের পাশে দাঁড়াতে হবে। অপচয় করবার সময় আমাদের হাতে নেই, এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। কিছু সময় নষ্ট করা মানে কিছু অনাহারীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া, কারণ আমাদের দেশের কয়েক লক্ষ মানুষ এখনো দিনে একবেলা খেতে পায়না, ২০% মানুষ চরম দারিদ্রসীমার নীচে, উত্তরাঞ্চলের অর্ধেক মানুষ প্রতিটা মূহুর্ত মঙ্গার কালো হাতে নিঃশেষ হবার থেকে বাঁচার জন্য লড়ে যাচ্ছে।
আর এই সময়ে আপনারা নিজেদের মধ্যে বিভেদ তৈরী করছেন!!!
আমার কথাগুলো একটু চিন্তা করবেন আশা করি। ভালো থাকবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।