আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্লগে ১বছরের আমলনামা ১ম কিস্তি

পাখি এক্সপ্রেস

ব্লগের ১বছরী ক্লাবে যোগ দিলাম। এখন ইতিহাস বলতেছে ১বছর ১দিন। ট্রাডিশনের প্রতি একটু সম্মান দেখানো উচিত (আসলে নিজেই দিতে উতলা হয়ে আছি)। একটা পোস্ট অন্তত দিতে হয়। এই এক বছরের কিছু বুলেট পয়েন্ট দিই।

বলতে পারেন আমলনামা। আমার পোস্টে প্রথম কমেন্টকারী : ব্লগার কালবেলা। ব্লগে প্রথম ভাব : একরামুল হক শামীম, যে আমাকে ম্যাসেঞ্জার ইউজ শেখায় প্রথম পাওয়া এসমএস ও ফোন : খুব্বই প্রিয় নিহন। আমার আদরের নাতি (ভাই)। ক'দিন হলো যোগাযোগ নাই প্রথম বন্ধুত্ব : বিশ্ব প্রেমিক রাতিফ (বর্তমানে লাইসেন্স প্রাপ্ত)।

একতরফা দাখিলার অংক কষে । অবাক হয়েছি প্রথম : সাজি আপুর ম্যাসেঞ্জার রিকোয়েস্ট। ব্লগের সেরা কষ্ট : অমি পিয়াল কর্তৃক ব্যান হওয়া এবং তামিম ইরফানের আমার ব্লগে না আসা। সেরা পাগলামি : ব্লগে আর না লেখার ঘোষনা দেয়া। সবচে বেশি অবাক করে : ব্লগার িনকো (নিকো)।

আমাকে ভালো লেখকে রূপান্তরিত করার অসম্ভব চেষ্টা তার মাঝে। আস্থার কন্ঠে পাওয়া প্রথম ফোন : কৌশিক ভাই। =========== ব্লগে আমার বেশকিছু পাওয়া আছে। এই ব্লগে আমার বন্ধু আছে, বোন আছে, ভাই আছে। ভালোলাগার লেখক আছেন।

নানা কারণে ব্লগার নিহন আমার মনে গেঁছে আছে খুব জোরালো ভাবেই। কিন্তু কেন, তা বলবো না। বন্ধুর নাম বললে প্রথমেই রাতিফ। শালা আমার পেছনে প্রচুর সময় দিয়েছে। আমাকে দিয়ে কবিতা লিখিয়ে ছাড়ছে।

ব্যক্তিগত লাইফে রাতিফের সাথে আমার অসম্ভব বোঝাপড়া। পরিচয়ের প্রথম দিকে তার সাপোর্টের উপকার সারাজীবন পাবো। ধ্রুব ভাইয়ের (রাতমজুর) কথায় আমার মাথায় হাত উঠে। আমার জীবনকে একটি নিশ্চিত গন্তব্যে নিয়ে যেতে এই লোকটার মাথাব্যাথা আমাকে অবাক করে। আমার রাজাকার বিরোধী সমস্ত লেখার পিডিএফ ভার্সন এবং ওয়ার্ড ফরম্যাটে করে আমাকে যেদিন পাঠান সেদিন আমার খুশিটা স্বাভাবিকের চাইতে একটুও বেশি হয়নি।

আমার আরেক বন্ধু রুবেল শাহ। গতকালও ফোনে কথা হয়েছে। দেশে যখন এসেছিলো আমার সাথে দেখা করতে এলে বাইট্টু এই পোলারে দেইখা অবাক হইছি। আমার সাথে যদি ১০০টা কথা বলে তবে তার ৯০টাই আমাকে ভরসা আর উৎসাহ দিয়ে বলবে। ============= বাপ্পি ভাই (আমি ও আমরা) আমার ‌"অন্ন" কবিতাতে আমাকে খুবই আবেগপ্রবণ করে তোলেন।

কবিতায় করা তার মন্তব্য আমি প্রতিটি দাড়ি কমা সহ মনে রেখেছি। সেই যে বুকে তুলে নিলেন আজো ছোট ভাইয়ের স্থানটি দখল করেই রেখেছি। তানজির ভাই (উত্তরাধিকার) আমার সাথে অফিস ফাঁকি দিয়ে অনেক চ্যাট করেছেন। আমার লেখালেখিতে তার অনেক নি:শ্বাস আছে। ভীষণ উৎসাহ পাই ওই লোকটা থেকে।

অনিক আন্দালিব (ছন্নছাড়ার পেন্সিল) দু:সমেই এই লোকটি আমাকে আলগে রাখার জন্য আসেন, আমার সুসময়ে আর খোঁজ নিই না (ভাইয়া আমি ভালো আছি)। ========== আমি এবার বলবো আমার পঞ্চরত্নের কথা। আমার পাঁচ বোন। যারা আমার মৃত বড়বোনের স্থানটি ভরাট করে দিয়েছেন। প্রথম পরিচয় হয় সাজি আপুর সাথে।

তারপর মিতু আপু, চিটি আপু, তাজীন আপু (রুখসানা তাজীন) এবং সর্বশেষ নাজনীন আপু। আমি ভীষণ আবেগপ্রবন। সাজি আপুর সাথে পরিচয়ের পর থেকেই লেখালেখির পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমাকে শাঁসাতে থাকেন। খুব শাসন করেন। আমাকে একজন লেখকে রূপান্তরিত করতে তার প্রচুর ঘাম ঝরছে।

তার স্বামীও আমাকে বেদম উৎসাহের কারণ। পাঁচ রত্নের একরত্ন মিতু'র সাথেই আমার যোগাযোগ খুব কম হয়েছে। কিন্তু তার সাথেই আমার প্রথম দেখা হয়েছে। মালিবাগে দেখা হওয়ার পর ওনার বাসায় গিয়েছিলাম। সাথে ছিলো আমার এক বোঝা আপু আমার সেই বোঝার ভার নিয়েছিলেন।

আমাকে নির্ভার করেছিলেন। আজও অবাক হই, শুধুমাত্র ব্লগে পরিচয়ের উপর ভিত্তি করে একটি মেয়ে কি করে মানুষের এতোবড় উপকারে আসে! চিটি আপু খলি বলবে, ভাইরে তোর জন্য কিছু করতে পারি না। খুব বিরক্ত লাগে আমার। দু:সময়ে সবার আগে চিটি আপুর থেকেই আমি ফোন পেতাম। কিন্তু এখনো দেখিনি।

তাজীন আপুর কথা বলছি। আমার জীবনের সবচেয়ে অবিশ্বাস্য কাজটি উনি করেছেন। একসময় জীবন নিয়ে চরম হতাশা ছিলো। কিন্তু তাজীন আপুর ওই আচরন আমাকে মানুষ চিনতে খুব সাহায্য করেছে। এরকম মানুষদের মনুষ্যত্বের কাঁধে ভর করেই বাঁকি জীবন কাটিয়ে দেবো।

আমার জীবনে তার অবদান আমি সোনার ফ্রেমে বাঁধিয়ে মনে গেঁথে রাখলাম। সবশেষে আসা আমার দেখা সবচে শক্তিশালী নারী কবি নাজনীন খলিল। আমার মায়েরও বড় এই আপুটি আমাকে একজন পরিণত মানুষে, শাণিত লেখকের রূপ দিতে প্রতিদিন ক্লাশ করিয়ে যাচ্ছেন। এমন কোনো দিন বাদ নেই যে আমাকে ফোন করেন না। আপুর মেয়ে মামনি আমাকে নতুন জীবন দিয়েছে।

আমি তাকে মা ডাকি। সেদিনের তার জ্ঞানগর্ভ কথাগুলো আমাকে জানান দিলো নাজনীন খলিল একজন রত্নগর্ভা মা। =========================== এই পোস্টটি লিখতে এসেই আমার ভয়ে গাত পা কাঁপছে। কিভাবে লিখবো? দুটো মেয়ের কথা বলি, ভীষন বান্দর। তানজু রহমান আর সাতিয়া মুনতাহা নিশা।

বান্দর দুইটারে খুব মিস করি। ================ বাঁকিটা ২য় এবং ৩য় কিস্তিতে দেবো.........

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.