জানি অনেক নিন্দা আর সমালোচনা জড়িয়ে আছে বিটিভি নামটির সাথে। আছে দলবাজি, চামচামির অভিযোগ। দীর্ঘদিন, বারবার এই বিষয়গুলো উঠে আসার পরেও লেজুরবৃত্তির বৃত্ত থেকে বেড়িয়ে আসার বদলে বিটিভি শুধু উল্টোপথেই হেটেছে। আমি স্বীকার মনে করি, দিনের পর দিন আলোর দিকে এগুনোর বদলে বিটিভি নামক প্রতিষ্ঠানটি শুধু অন্ধকারেই তলিয়ে যাচ্ছে। যুগোপযোগী হওয়ার বদলে অবনতি হয়েছে এর, নেমে গেছে অনুষ্ঠানের মান...সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে স্বাধীন অবস্থান দেখাতে পুরোপুরি ব্যর্থ ইত্যাদি, ইত্যাদি.....
তবুও বিটিভির'র রাত ৮টা ও ১০টার নিউজের ব্যাপারে কিছু নষ্টালজিক আছে আমার।
আশির দশকের শেষদিকের কথা। বাসায় নুতন সাদা-কালো ন্যাশনাল টেলিভিশন কিনে এনেছে আব্বা। তখন এমন বয়েস, রাত ১০টা বাজার আগেই ঘুমের কাছে আত্নসমর্পন করতে বাধ্য হতাম। টিভি আসার পর কষ্টে সৃষ্টে জেগে থাকতাম, এমনকি ১০টার খবরের পর উচ্চাংগ সংগীতের অনুষ্ঠানও মিস করতে চাইতামনা। ভাবতে অবাক লাগে, ছায়াছন্দ, বেশ কিছু ইংরেজী মুভি, (কোনো কিছু তেমন না বুঝলেও মুভি মিস হতো না) যেমন ফলগাই..ম্যানিমেল ইত্যাদি দেখার জন্যে তীর্থের কাকের মতো বসে থাকতাম!
বিকেলের আল কোরান তেলওয়াত ও বাইবেল টত্রপিটকের পর অনুষ্ঠানসূচীর দীর্ঘ গৌরচন্দ্রিকার পর কার্টূন থান্ডারকেটস থেকে শুরু করে খুব কম অনুষ্ঠানই মিস হতো।
তবে পড়াশুনার চাপে যখন পাশের ঘরে টেবিলে বইয়ের ওপর ঝুকে বসে থাকতাম,মশার কামড় খেতে খেতে পড়ার ঘরের জানালা দিয়ে দেখা যেতো টিভি। তাকিয়ে থাকতাম কখন বিটিভির খবর শুরু হবে।
৮টার সংবাদ শুরুর মিউজিকটা এখনো মনে গেঁথে আছে, ভিজুয়ালে কিছু চেঞ্জ এনে এখনো অবশ্য সেটাই আছে। এক সাগরও রক্তের বিনিময়ে......এই গানটা................আর রাত দশটার খবর সবকটা জানালা খুলে দাওনা...................খুব খুব ভালো পাই.....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।