সুন্দর সমর
আজ শিলা বৃষ্টির দিন।
ইদ্রিস আলি ওম্নি স্মৃতির গলি দিয়ে একমনে হাঁটতে থাকে,
শিলা বৃষ্টি হতে দেখলে
মা দরজার কাছে এসে দাড়াতেন।
ডাকতেন ঘরে আসার জন্য।
শিলা বৃষ্টি বা ব্রজপাত এ সবের কোনোটাই
শুভ ইংগিত নয়।
ঘরে আয় পোলাপান তোরা।
ইদ্রিসের মনে আছে একবার গ্রামের বাড়িতে হাঁটতে হাঁটতে অনেক
পথ চলে এসেছিল
তারপর আকাশ আন্ধার করে আরম্ভ হলো শিলা বৃষ্টির শেল বর্ষণ।
ইদ্রিস আলী দৌড়ে এক চাষীর ঘরের কোণায় দাঁড়ায়।
চাষীর বউ বের হয়ে আসে।
-ওমা মিয়া বাড়ির ছাওয়াল না আপনে?
ঘরে বসেন।
আখের গুড় দিয়ে বানানো চা আর মুড়ি দেয়
ইদ্রিসকে।
ইদ্রিস খায় আপন মনে। গুড়ের চা কখনোই মুখে দেয় নি।
কিন্তু আজ ভাল লাগে।
বৃষ্টি শেষ হয় অনেক দেরি করে।
খোকা নামের চাষী ওকে বাড়ি পৌছে দেয়।
মায়ের মুখ থেকে দুচিন্তার ঢেউ দূর হয়।
খোকাকে বাবা একটা পুরান জামা দিলেন।
খোকার বউয়ের জন্য শাড়ি আর টুকিটাকি কিছু।
দুই বছর পর আবার বাড়ি গেল ইদ্রিস আলি।
হাঁটতে হাঁটতে খোকার বাড়ির কাছে এসে চমকে উঠে
ভাংগা ভিটে, বেজি আর গুই সাপের বসতি!
বাড়িতে ফিরে মাকে জিজ্ঞাসা করে- কি হয়েছে?
মা ফিস ফিস করে বলে, রক্ষী বাহিনীর লোকদের গুলিতে মরেছে খোকা।
ওর বউকে ধরে নিয়ে গেছে ওরা।
বাড়িতে আগুন দেয়। তারপর আর কেউ কিছু জানে না।
শিল পড়ছে।
ইদ্রিস দেখতে পাচ্ছে খোকার বউয়ের মায়াময় মুখ আর খোকার পৌরুষ দীপ্ত চেহারা!
ইদ্রিস কার কাছে বিচার চাইবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।