একটু আগে বাড়ি ফিরলাম। সব ঝামেলা চুকে। দরোজায় দাঁড়িয়ে পিছন ফিরে দ্যাখি, এ-কী! আমার সমস্ত শরীর যেনো পুড়ে যাচ্ছে শারদীয় জোছনায়, তীব্র আলোয়।
সম্পূর্ণতার মাঝে অসম্পূর্ণতা কখনো কখনোই নির্মাণ করে অপ্রকাশে।
নির্মল আর নির্দোষ হয় চারিদিক।
ব্যাকুলতা তৈরি করে না, আগ্রহ সৃষ্টি করে না,
হয়তো এই নির্জলা বিরতি-ই আস্বাধন করে জীবনের প্রতিচ্ছবি।
চিত্রিত হই আমি আমার প্রতিবেদনে।
রঙ ছড়ায় আকাশে ...
আজ হাতে আমিও অসম্পূর্ণতা রাখলাম আমার অপ্রকাশ কিছুÑ
অভিযোগ নয় কিঙবা অনুযোগও নয়।
হতে পারে এ আমার বিবৃতি। কিঙবা ছিন্নপত্র।
নৈঃশব্দ্যের ডাকঘর আমি। অন্ধকার আছে, আলো নেই।
আমার বন্ধু, কবি সে, লিখেছিল আমাকে নিয়ে একটি কবিতা,
হয়তো আবেগের বশে লেখা সে কবিতা-
বাতিঅলা সেই কবিতার নাম। বাতিঅলা!
ভেঙে যায় অন্তহীন যাত্রা এ শব্দ - বেমানান অর্থহীন শব্দে
আমার সমাধির প্রসাধন অস্তাচলে নির্বাসিত হয়।
মনের অজান্তে আমি পত্র লিখি, পত্র’র প্রাপ্তি ঘটাই।
প্রাপক এবং প্রেরক আমি দু'টোই
এখন, অবশ্য এখন শব্দটি অনুচ্চারিত থাকাটা যথোচিত হবে। সবসময়-কে আমি বেছে
নিলাম।
একদা আমার খু-ব খেদ ছিলো প্রতিউত্তরের নিরাশায়। আজ হই না। বরং ভালো
লাগে।
আমার সীমাহীন কল্পনায় উত্তরগুলো আমার পড়া হয়। কিঙবা পাঠোদ্ধার করি।
অনুবাদ করি। এবঙ বিষ্টির সিনানে উদাসীন হই। আবার অতি শৈত্যে আমি কাঁথা
মুড়িয়ে মুড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ি।
জেগে উঠি ...
নৈঃশব্দ্যের মধ্যেও আমি একধরণের সুখ শব্দ খুঁজে পাই।
মনের কপচাড়ানো প্রাণ পাই। প্রণোদিত হই, আপন মোহে নেচে উঠি।
সম্পূর্ণতার মাঝে অসম্পূর্ণতা কখনো কখনোই মিলিত হয় অপ্রকাশে।
অÑপ্রাসঙ্গিক (?) প্রসঙ্গ
অনেকদিন ধরে আমি কিছুই লিখছি না।
লেখার মধ্যে আমি প্রাণ পাই না আমার ভেতর থেকে। ভেতর-বাহির এখন আমার মন্দ বায়ু। টের পাইনি কখন আমার মনের অজান্তে এ মন্দ বায়ু আমার ভেতরে অনধিকার চর্চা করছে।
তো আবার লিখছি। মন খুলে, প্রাণ খুলে আবার লিখলাম।
বোধিত করছি আমার স্বত্তা।
এ স্বত্তা জাগিয়ে তুলছেন একটি মানুষ। তিনি কবি-সাংবাদিক শামীম আজাদ। দূর থেকে-বিলেত থেকে প্রতিনিয়ত প্রণোদিত করছেন।
লেখা না হয়ে উঠা এ লেখাটি হয়তো কবি শামীম আজাদের জন্যে ...
নৈঃশব্দ্যের ডাকঘর-এ শব্দটি ধার করলাম সম্প্রতি প্রকাশনা সংস্থা ভাষাচিত্র থেকে প্রকাশিত কবি আবু হাসান শাহরিয়ার ও মৃণাল বসু চৌধুরী’ র পত্রালাপ গ্রন্থ শিরোনাম থেকে।
২৯ মার্চ ২০০৯, ঢাকা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।