আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অড্রে টোটু: এবং জা পিয়ারে জুওনেট-এর আ ভেরি লং এ্যানগেইজমেন্ট।

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ

অড্রে টোটু। এই মুখটি সম্ভবত আর এদেশেও অপরিচিত নয় । ফরাসী অভিনেত্রী অড্রে টোটু এদেশেও পরিচিত এবং জনপ্রিয়।

ড্যান ব্রাউনের ‘দা ভিঞ্চি কোড’ বইটি নিয়ে বেশ হইচই এদেশেও হয়েছিল ২০০৬-৭ সালে। অড্রে টোটু ‘দা ভিঞ্চি কোড’ ছবিতে অভিনয় করাতে অনেকেই তাঁকে চিনল। অবশ্য তার আগেই অনেকেই অড্রে টোটু-কে দেখে থাকবেন জা পিয়ারে জুওনেট পরিচালিত ভুবনবিখ্যাত ছবি: ‘অ্যামিলি’-তে। ফ্রান্সের ২৬টি প্রশাসনিক অঞ্চল রয়েছে। তার মধ্যে আউভার্নহি একটি।

অড্রে টোটু আউভার্নহি তে ১৯৭৬ সালের ৯ আগষ্ট জন্মগ্রহন করেন। মা স্কুলে পড়াতেন। বাবা দাঁতের ডাক্তার। কিশোরী বয়স থেকেই অভিনয় প্রতিযোগীতায় অংশ নিতেন টোটু। ২০০১ সালে জা পিয়ারে জুওনেট পরিচালিত ‘অ্যামিলি’ ছবিতে অভিনয় করে অড্রে টোটু সবার দৃষ্টি কাড়েন ।

ছবিটি এদেশেও জনপ্রিয় হয়েছে। অড্রে টোটু অভিনীত অ্যামিলি এবং দা ভিঞ্চি কোড ছবি দুটি আমি আগেই দেখেছি। সম্প্রতি, অড্রে টোট অভিনীত বেশ কটি ছবি দেখলাম। হাটিং অ্যান্ড গেদারিং; প্রাইসলেস; ডার্টি প্রিটি থিঙ্কস; হি লাভস মি হি লাভস মি নট। তবে সবচে ভালো লেগেছে- আ ভেরি লং এ্যানগেইজমেন্ট।

সেবাসটিয়েন জাপরিসটের উপন্যাস অবলম্বনে ‘আ ভেরি লং এ্যানগেইজমেন্ট’ ছবিটি নির্মান করেন প্রখ্যাত ফরাসী চলচ্চিত্র পরিচালক জা পিয়ারে জুওনেট। ছবিটির প্রেক্ষাপট প্রথম মহাযুদ্ধ। জা পিয়ারে জুওনেট নির্মোহ থেকে যুদ্ধের বিভীষিকা ফুটিয়ে তুলেন । ছবিটির রঙের ব্যবহার আপনাকে মুগ্ধ করবে। অনেকটা পুরনো পেইনটিংস-এর মতন।

হলুদাভ। চলচ্চিত্র বিষয়ে আমার জ্ঞান সামান্যই। তবে এটুকু বলতে পারি-যারা (যে কোনও ধরনের) ছবি নির্মান করতে চান-তারা যেন অন্যদের পাশাপাশি জা পিয়ারে জুওনেটও পাঠ করে, পাঠ করে- গভীর মনোযোগের সঙ্গে। এবার জা পিয়ারে জুওনেট সম্বন্ধে কিছু কথা বলি। জা পিয়ারের জন্ম ফ্রান্সে।

১৯৫৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। ১৭ বছর বয়েসে প্রথম ক্যামেরা পান জুওনেট । প্রথম প্রথম অ্যানিমেশন করতেন। করেছেন বিজ্ঞাপনচিত্র ও মিউজিক ভিডিও। তারপর তো ২০০১- এ ‘অ্যামিলি’ করলেন।

আ ভেরি লং এ্যানগেইজমেন্ট ও অড্রে টোটু এক তরুন যুদ্ধে গেছে। যুদ্ধশেষে সে আর ফিরল না। সবই বলে মরে গেছে। তরুণের দয়িতা (অড্রে টোটু) বিশ্বাস করে না সে বেঁচে নেই। মেয়েটি (অড্রে টোটু) খুঁজতে থাকে ... সবশেষে একটা বাগান।

তারপর বোঝা যায় -প্রেম আজও এক অব্যাখ্যাত এক বিষয়। আমার মতে ‘আ ভেরি লং এ্যানগেইজমেন্ট’ ছবিটি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ছবিগুলির অন্যতম। বলাবাহুল, অড্রে টোটু অভিনয় করেছেন দূর্দান্ত। কিংবা, জা পিয়ারে জুওনেট টোটুকে দিয়ে অভিনয় করিয়ে নিয়েছেন। যতটুকু বিষন্নতা দরকার ততটুকু বিষন্নতা অড্রে টোটুর মুখে, অবয়বে ছিল।

আ ভেরি লং এ্যানগেইজমেন্ট ছবিটি দেখে আমার মনে হয়েছে চলচ্চিত্র তার উৎকর্ষে পৌঁছে গেছে। এর চে ভালো করে কোনওকিছু আর দেখানো সম্ভব না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।