ব্রেকফাস্ট অ্যাট টিফানিস ছবিটা দেখতে গিয়ে বারবার ডিভিডি আটকে যাচ্ছিল। একবার সিডি রোম খুলি আবার বের করি। কিন্তু সমস্যা তো সিডি রোমে না। মূল ডিভিডিতেই। অনেক পুরনো এই ডিভিডি শেষ পর্যন্ত একবার ল্যাপটপ একবার ডেস্কটপ করে রাত সাড়ে তিনটায় মুভিটা দেখা শেষ করলাম।
এমন আহামরি কোনো ছবি না। কিন্তু সিনেমাটা দেখলাম অড্রে হেপবার্নের কারণে।
হেপবার্নের আরেকটি সিনেমা আগের দিন দেখেছিলাম-মাই ফেয়ার লেডি। ওটা দেখার পর মনে হল ব্রেকফাস্ট অ্যাট টিফানিসটাও দেখি।
এমন সাবলীল অভিনয়, এমন চমতকার নিষ্পাপ চেহারা।
মজার ব্যাপার হলো হেপবার্নের জন্মদিন ছিল দুদিন আগে। ৪ মে। ১৯২৯ সালে বেলজিয়ামে জন্মানো এই অভিনেত্রী বড় হয়েছেন লন্ডনে। আমি জানতাম না যে তার জন্মদিনেই তার কোনো সিনেমা প্রথম আমি দেখলাম। দেখলাম আর মুগ্ধ হলাম।
ব্যাঙ্কার বাবা আর ডাচ মায়ের ঘরে জন্মানো হেপবার্ন কিন্তু ছোটবেলায় বাবা-মাকে বেশিদিন একসঙ্গে পাননি। বাবার সঙ্গে মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর মার সঙ্গে লন্ডন চলে আসেন হেপবার্ন। বিশ শতকের অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেত্রী এবং ফ্যাশান আইকনের ছোটবেলা হল্যান্ডে কাটলেও লন্ডনে চলে আসেন আসলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। ১৯৪৮ সাল। একজন ফটোগ্রাফারেরর মডেল হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন হেপবার্ন।
ব্রিটিশ থিয়েটারে কোরাস গার্লের কাজ কিছুদিন করার পর বৃটেনে কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেন। তবে তার জীবনের মোড় ঘুরে যায় আসলে বিখ্যাত রোমান্টিক ছবি রোমান হলিডেতে অভিনয়ের পর। একই সঙ্গে অস্কার, গ্রেমি, এমি এবং টনি এওয়ার্ড। রোমান হলিডে ছাড়াও সাবরিনা, দ্য নানস স্টোরি, বিখ্যাত কমেডি ছবি দ্য চারার্ডস, ওয়েট আনটিল ডার্কের মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন। অভিনয় করেছেন ওয়ার অ্যান্ড পিসেও..।
লন্ডনের তরুণ শিল্পপতি জেমস হ্যানসনকে প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়েন হেপবার্ন। বিয়ে করেন তারা। তবে সেটা বেশি দিন টেকেনি। এভাবে একে একে প্রজোযক মাইকেল বাটলার, উইলিয়াম হোলডেন, অভিনেতা মেল ফেরার, ইতালিয়ান মনোবিদ আন্দ্রে ডট্টির সঙ্গে বিয়ে হলেও কোনোটাই টেকেনি। দুই ছেলে লুকা এবং সিন হলেও দু দুবার সন্তান নষ্ট হয়ে যায় হেপবার্নের।
সিনেমা জীবনের মাঝামাঝি সময়েই সমাজ সেবামূলক কাজে জড়িয়ে পড়েন হেপবার্ন। কাজ করতে থাকেন শিশুদের নিয়ে। শিশুদের স্কুল এবং তাদের উন্নয়নে ফান্ড গড়েন, যুক্ত হন ইউনিসেফের সঙ্গেও।
১৯৯৩ সালের ২০ জানুয়ারি মাত্র ৬৩ বছর বয়সে তলপেটের ক্যান্সারে মারা যান সুইজারল্যান্ডে নিজের বাড়িতে এই বিখ্যাত অভিনেত্রী।
মজার ব্যাপার কি জানেন! রবীন্দ্রনাথের কবিতা খুব প্রিয় ছিল হেপবার্নের!!!!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।