বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d
বাহুতে একগাদা কাপড় নিয়ে লন্ড্রির চিকন দরজা দিয়ে ভিতরে ঢুকতেই দোকানের ভিতর থেকে বের হওয়া এক লোকের সাথে হালকা ধাক্কা। ভদ্রলোকের বোধ হয় কোন তাড়া ছিল। কোনদিক না তাকিয়ে হনহন করে ছুটলেন। খেয়ালও করলাম না তার চেহারা।
ডেক্সের উপরে কাপড় গুলো রেখে লন্ড্রি ওয়ালাকে বললাম কতগুলো কাপড় আছে তা গুনে দেখার কথা বলে মোবাইলে কথা বলার দিকে মনযোগ দিলাম।
লন্ড্রিওয়ালা সেই লোকের দিয়ে যাওয়া কাপড়গুলো গুনছে। এমন সময় তার পায়ের কাছে নীচে কি যেন পড়ে গেলো। তোলার পর দেখা গেলো রাবার ব্যান্ড দিয়ে বাঁধা একগুচ্ছ টাকা। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবিহবল উপস্থিত সবাই।
কি করবে? কোথায় পাবে দোকানী এখন টাকার মালিককে? মালিককে পাওয়া গেলে টাকা ফিরিয়ে দেবার পর যদি সে লোক বলে বসে "এখানে আরো টাকা ছিল"? আবার আমি না দেখে ফেললে হয়ত টাকাটি ফেরতও দিতো না লন্ড্রিওয়ালা? বা যাইহোক..... এই প্রশ্নগুলো মাথায় কয়েক সেকেন্ড খেলে গেলো তখনকার সেই সময়ে।
সে দোকান থেকে বের হয়ে দেখলো ততক্ষনে সে লোক লাপাত্তা। অনেক খোঁজাখোজির পর তাকে ডাকা হলো পিছন থেকে। তার হাতে তুলে দেয়া হলো টাকার বান্ডিল। অবশেষে সে ব্যাক্তিও হতচকিত।
গুণে দেখলো সেখানে ১৫ হাজার টাকা। মানে ত্রিশটি পাঁচশ টাকার নোট। ফোন করলেন তার স্ত্রীর কাছে। ধোয়া কাপড় গুলো আলমারীতে ছিল আর ভাঁজের মধ্যে রাখা হয়েছিল সেই টাকার বান্ডিল। আর ওভাবেই চলে এসেছে ওগুলো লন্ড্রিতে কাপড়ের সাথে আইরন হতে।
ভদ্রলোক মুখে তখন রাগ, আনন্দ, ধন্যবাদ এর মিশ্র অনুভতি। সে এক দেখার মত ব্যাপার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।