আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উদর পিন্ডি বুদর ঘাড়ে চাপিয়ে কোন লাভ হবে না।



লে কর্নেল ফারুক খানের আগাম মন্তব্য জাতিকে হতাশ করেছে। এসব থেকে বোঝা যাচ্ছে যে বিডিআর আফিসার হত্যা কান্ড তদন্ত সঠিক ভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। তিন তিন টি তদন্ত কমিটির রির্পোট কি হবে তা সহজেই অনুমান করা যায় এসব বক্তব্য থেকে। কারণ যিনি তিন তিনটি তদন্ত কমিটির একজন সম্মনয় কারী তিনি যদি এরকম বলগা হীন মন্তব্য করেন তাতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। যথেষ্ট তথ্য প্রমান নিয়ে এসব বিষয় সম্পর্কে মন্তব্য করা উচিত।

এসব বলার আগে বিডিআরের দরবার হলের কাহিনীটা পরিস্কার করে উদঘাটন করেন। যেখানে হাজার হাজার লোক উপস্থিত ছিল। তারা কে কি দেখল সেটা আগে বলেন। দরবার হলে কি নিয়ে তর্কা তর্কি হচ্ছিল তা না জানিয়ে জেএমবি মার্কা থিওরি নিয়া কি ফালতু মন্তব্য করছেন। এখন পযর্ন্ত ঘটনার সাক্ষী তিন মেজর দরবার হলে কাহিনী নিয়া তিন রকম বক্তব্য দিয়েছে।

এর মধ্যে কামরুজ্জামান নামক কোন এক অফিসার নাকি নিজেই তিন রকম বক্তব্য দিয়েছে। শুরুটা ই যদি এরকম হয় তাহলে তদন্ত করার আর দরকার নাই। জেএমবির সম্পৃক্ততায় চমকের কিছু নাই। জেএমবি যদি বিডিআরে ঢুকতে পারে তবে তারা সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনী,নৌবাহিনীতেও ঢুকার ক্ষমতা রাখে। কারণ যারা সুপারিশ করে ঢুকাতে পারে তারা সব খানেই জেএমবি সদস্যদের যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন বাহিনীতে রিক্রুট করাতে পারে ।

একটা নিউজের কথা মনে আছে যখন দেশব্যপী জেএমবি ধরা শুরু হয়েছিল। তখন স্পীকারের পিছনে পাহারাদার এক সিকুরিটির বাসায়ও জেএমবিদের বই পুস্তক পাওয়া গিয়েছিল। আর্শ্চয হই নাই তখন। জামাতই জেএমবি জেএমবিই জামাত। এটা প্রমান করার কি কোন প্রয়োজন আছে? শাহ হান্নান এর মত রাজাকার আমলা কি জেএমবির চাইতে কোন অংশে কম।

তাই জেএমবি আছে কি নাই । তারা ঘটনার সাথে যুক্ত কি যুক্ত না তা তদন্তের মাধ্যমেই বেড়িয়ে আসবে। ঘটনায় ডিজি শাকিল তার স্ত্রী সহ এবং তার স্ত্রীর সাথে যে অফিসারের বউ অতন্ত্য ঘনিষ্ট ছিল তিনিও মারা যান । এমনকি ডিজি শাকিলের বাড়িতে যারা কাজ করত যেমন বাগানের মালী ,ড্রাইবার, আয়া সহ অনেকে তারাও হত্যাকান্ডের শিকার হন। এসব থেকে প্রতীয়মান হয় যে হত্যাকরী চক্র যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা শাকিলকে ব্যক্তিগত ভাবে ঘৃনা করত।

শাকিলের ব্যক্তিগত শত্র“ কারা সেটা আগে তদন্তে আনেন। ব্যক্তিগত শত্র“ অনেকে হতে পারে। সে বিডিআরের মধ্যেও থাকতে পারে আবার সেনাবাহিনীর মধ্যেও থাকতে পারে আবার ব্যবসায়ী শ্রেনী যারা সীমান্তে চোরাকারবারের সাথে জড়িত তারাও হতে পারে। গোয়েন্দাদের ভুমিকা কি ছিল সে সব বলুন। তারা কেন ঘটনা ঘটার আগে ও পরে ব্যর্থ হল উচ্চ পর্যায়ে রিপোর্ট পাঠাতে সে সব প্রশ্নের উত্তর দিন।

খালেদা কি বলল? মইত্য রাজাকার কি বলল? এসবের খবর কে রাখে। তারা তো সুযোগ সন্ধানী । ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে পটু। ৭ই নভেম্বরের তথাকথিত সিপাই বিপ্লবের বেনিফিশারি। তারা তো সেনাবাহিনীকে উস্কানী দিয়ে যাচ্ছে যথারীতি।

তারা যে কি পারিমান উস্কানী দিয়েছে তার প্রমান তো সেনাকুঞ্জের সেই অডিও টেপ যা ইন্টারনেটে প্রকাশ হয়েছে। মনে রাখতে হবে তখন বলা হচ্ছিল ৭২ জন সেনা অফিসার নিখোজ। এসব বলগাহীন ভুয়া অভিযোগ নিয়ে সেদিন প্রধানমন্ত্রী তাদের সামনা সামনি হয়েছিলেন। পরে বলা হল ৬ জন নিখোজ। তাই তদন্ত করে এসব দিক গুলি খতিয়ে দেখার অনুরোধ করি।

সব দিক নিশ্চিত হয়েই রির্পোট প্রকাশ করুন। উদর পিন্ডি বুদর ঘাড়ে চাপিয়ে কোন লাভ হবে না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।