কত ক্ষয়!
সাজ্জাদ রানা
হাজার হাজার লালনভক্ত, অনুসারী আর সাধারণ মানুষের পদচারণায় মুখর এখন কু®িদ্বয়ার বাউল সম্রাট লালন সাঁইয়ের আখড়াবাড়ি। একতারা, দোতারা আর নানা বাদ্যযšেúর সুরের তালে তালে গলা খুলে গাইছেন দেশের বিভিল্পু প্রাšø থেকে আসা বাউলরা। মাজারে ঢোকার রাস্টøায় পা ফেলতেই লালনের উদাসী গানের সুর কানে এসে ধরা দিচ্ছে। লালন এবং তার গানই মাজারে টেনে আনছে সবাইকে।
কোন সে উদাসী ডাক? কোনো দাওয়াত নেই, পত্র নেই, তবুও মানুষ ছুটে আসে দলে দলে, হাজারে হাজারে।
কু®িদ্বয়া শহরতলির ছেঁউড়িয়ায় গতকাল বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ৩ দিনব্যাপী লালন স্ট§রণোৎসব ও মেলা। লালন জীবিত থাকার সময় থেকেই দোল পহৃর্ণিমায় আসর বসাতেন তার শিষ্যদের নিয়ে। সেই থেকেই প্রতি বছর আয়োজন করা হয় এই অনুষ্ঠানের। প্রতি বছরের মতো এবারো সাধক লালনের আধ্যাÍি§ক দর্শন লাভের আশায় দহৃর-দহৃরাšø থেকে মানুষ প্রাণের টানে ছুটে আসছে। এই উৎসবকে ঘিরে ভক্ত ও অনুসারীদের আয়োজনের কোনো কমতি নেই।
তবে এবার দেশের সার্বিক অবস্ট’া বিবেচনায় নিরাপত্তা বেশ জোরালো। কয়েক স্টøরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে মাজার এলাকা এবং এর প্রবেশমুখে। এরপরও জনস্রোতের কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে আইন-শৃগ্ধখলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ছেঁউড়িয়ায় ঢোকার সব রাস্টøায় জনস্রোত। তীব্র যানজট ঠেলেই সবাই ধীরে ধীরে এগোচ্ছেন মাজারের দিকে।
ভিড় ঠেলে মহৃল বাজার এলাকায় পৌঁছে দেখা গেল বিশাল অনুষ্ঠানযজ্ঞ। নাটোর থেকে আসা লালন অনুসারী বিষারত ফকির জানান, সরকারিভাবে আজ (গতকাল বুধবার) থেকে অনুষ্ঠান শুরু হলেও পরিবার নিয়ে কয়েকদিন আগেই এসেছি। মহৃল মাজার চÍ^রে জায়গা না পাওয়ায় আসন পেতেছি সামনের বিশাল মাঠে তৈরি শামিয়ানার নিচে। বাউল আলসাল উদ্দিন জানান, গরম হওয়ায় এবার কিছুটা অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে ভিড়ের চাপে ছোট বাচ্চারা অসুস্ট’ হয়ে পড়ছে।
তবে একটি বেসরকারি
হাসপাতাল বিনামহৃল্যে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে লোকজনকে।
মাজার ও মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, একতারা, দোতারা, ঢোল ও বাঁশির সুরে মুখর লালনভূমি ছেঁউড়িয়া। দহৃর-দহৃরাšø থেকে আসা বাউলরা দরদভরা কণ্ঠে গেয়ে যাচ্ছেন লালনের রেখে যাওয়া সব আধ্যাÍি§ক গান। তাদের সঙ্গে তাল মিলাচ্ছেন ভক্তরাও। লালন একাডেমীর পরিচালনায় এবং সংস্ট‹ৃতি মšúণালয় ও গ্রামীণফোনের আর্থিক সহযোগিতায় ৩ দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে।
এবারকার মেলায় এত লোকের আগমন ঘটেছে, যা গত ৫ বছরের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন। লালন একাডেমীর সাধারণ স¤ক্সাদক তাইজাল আলী খান জানান, এবার আয়োজনে কোনো ঘাটতি রাখা হয়নি। লালন একাডেমীর সহ-সভাপতি আবদুর রশীদ চৌধুরী জানান, এ বছর মেলায় এত লোকের আগমন ঘটেছে যে, আয়োজক কমিটি এবং আইন-শৃগ্ধখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। পকেটমারদের উৎপাত বেড়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। বিপুল সংখ্যক বাউল ও সাধু এসেছেন।
তাদের জন্য সব ধরনের ব্যবস্ট’া করা হয়েছে। তবে দিন গড়িয়ে রাত নামার পরই শুরু হয় আসল উš§াদনা। রাত যতই গভীর হতে থাকে, ততই জমে ওঠে সঙ্গীতের আসর। বাড়তে থাকে ভিড়। একসময় সবাই হারিয়ে যান গানের রাজ্যে।
মেলার শতাধিক ¯দ্বলেও কেনাবেচা শুরু হয়েছে। বস্টú দোকান মালিক হারুন জানান, এ বছর বেচাকেনার অবস্ট’া খুবই ভালো। ইমিটেশনের গহনার দোকানগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। খাদ্যসহ খেলনার দোকানগুলোতে ভিড় করতে দেখা গেছে ত্রেক্রতাদের।
প্রতিদিন সল্পব্দ্যায় মেলামাঠের স্ট’ায়ী মঞ্চে সল্পব্দ্যায় থাকবে আলোচনা সভা।
এরপর শুরু হবে লালন গীতি। লালন একাডেমীর তালিকাভুক্ত শিল্কপ্পী ছাড়াও দেশের বিভিল্পু স্ট’ান থেকে আসা লালনভক্তরা গান পরিবেশন করবেন।
বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহর জীবনকর্ম, জাতহীন মানব দর্শন, মরমি সঙ্গীত ও চিšøা-চেতনা এখন আর এই ছেঁউড়িয়ার পলল্গীতে সীমাব™ব্দ নেই। দেশের সীমানা পেরিয়ে তা এখন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ^ময়। তার সঙ্গীত ও ধর্ম-দর্শন গবেষণার বিষয়বস্ট‘তে পরিণত হয়েছে।
তবে এসব নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই লালনভক্ত-অনুসারীদের। লালনের প্রতি এক উদাসী টান এবং আͧার শাšিøর জন্যই কোনো দাওয়াতপত্র ছাড়াই নিজেরা দিনক্ষণ ঠিক রেখে এই উৎসবে ছুটে আসেন।
লালন স্ট§রণোৎসব ২০০৯
¯ক্সন্সর করছে গ্রামীণফোন
কু®িদ্বয়ার ছেঁউড়িয়ায় লালন স্ট§রণোৎসব ¯ক্সন্সর করছে গ্রামীণফোন। খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইউনুসুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে এই উৎসবের উ™ে^াধন করেন। গ্রামীণফোনের এরিয়া ম্যানেজার (খুলনা) মোঃ মারুফ হোসেন চৌধুরী এ উপলক্ষে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্টি’ত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।