আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইহাদের চক্ষু যুগল দাও খুলে দাও............................

যে ছেলেটির মুখে আজ হাসির ছোঁয়া নাই, সে ছেলেটির মুখে মোরা একটু হাসি চাই।

ইহারা খান সাহেব। একজন গাফ্ফার খান আর অন্যজন আবেদ খান। নামের শেষেই শুধু তিনাদের মিল নহে বরং কাজ -কর্ম , বিশ্বাস-চিন্তা ,আদর্শ-চেতনা,দাদাবাবুদের পা ছাটা গোলামীতে আর নিত্যনতুন চমকপ্রদ ও মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে ও দারুন দুধ চিনির মিল রহিয়াছে তাহাদের মধ্যে। মুলত ইহাদের প্রতিষ্ঠা ও মিথ্যার উপরেই এবং এই কারনে তিনারা কেহ কেহ জনম জনম নির্বাস কাটিয়াছেন বটতলায়।

এ দেশের মানুষ যাহাকে লন্ডনের বটতলায় পাঠিয়েছেন দেশ বিরোধী লেখা লিখিবার অপরাধে, তিনি বিতর্কিত জনাব গাফ্ফার খান । তাহাতে ও তিনার দুঃখ বোধ নাহি বিন্দু মাত্র। কারন তিনি দেশে থাকিলেও কলমের আঁকিবুঁকির মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে যেমনি ভাবে একটি দেশের এস্যাইনমেন্ট নিয়ে কোন একটি দলের হয়ে ভাড়ায় চাটুকারিতা করতেন লন্ডনে গিয়ে ও তাহাই করিয়াছেন । পার্থক্য শুধু এতটুকু দেশে থাকিলে পাশ্ববর্তী দেশ থেকে আসা টাকাটা কোথাও ট্রানজিট না নিয়ে সরাসরি বঙ্গবন্ধু এভিনিও হয়ে তিনার দরবারে পৌছুতো কিন্তু লন্ডনের বটতলায় যাওয়ার ক্ষেত্রে সে টাকা বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ট্রানজিট নিয়ে চাটুকারিতার পরিমান মুল্যায়ন করে পার্সেন্টিজ হারে তাহা লন্ডনে গিয়ে পৌছত । অবশ্য বটতলা থেকে সদ্য বাংলার সবুজ ভুখন্ডে ফিরে এসেছেন তিনি ফেরারি জীবন থেকে।

তিনার চক্ষু দুটি খোলা থাকিলেও টাকার পর্দার দেয়ালের কারনে তিনি মিথ্যা ছাড়া সত্য দেখিতে পাননা। চোখের সামনে সত্য আসিয়া উপস্থিত হইলেও পাশ্ববর্তী দেশের টাকা তিনার চক্ষু যুগলকে আড়াল করিয়া সেখানে মিথ্যার প্রলেপ ছড়িয়ে দেয়। যার বাস্তব প্রমান যুবলীগের অনুষ্ঠানে তাহার প্রদেয় অখাদ্য। তিনি সেখানে বলিয়াছেন খালেদা,মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরীকে রিমান্ডে নিলে বিডিআর বিদ্রোহের কারন উদঘাটিত হইবে। বোধ করি তিনাকে তিনার টাকার মালিকরা পত্রিকা পড়িতেও নিষিদ্ধ আরোপ করিয়াছেন।

তাহাই যদি না হতো তাহা হইলে এত তথ্য প্রমান থাকা সত্বেও তিনি কি করিয়া নিজ্জলা মিথ্যাটাকে অত্যন্ত সদম্ভে ডেলিভারি দিলেন? ভাবিতেও অবাক লাগে । সেনা অফিসার হত্যার পিছনে যে কাহারো কাহারো সংশ্লীষ্টতার কথা দিবালোকের মত ফুটিয়া উঠিয়াছে খান সাহেবরা দাদাবাবু বলে বেমালুম তাহাদের কে দেখিতে পাননা এই যা । খান সাহেব আপনার চোখের পর্দা দিয়ে বিবেকের পর্দা খোলাসা করার জন্য কিছু কথা আলোকপাত করিবার প্রয়াস চালাইবো তাহাতেও যদি আপনার বিদেশীদের হাতে বিক্রি হ্ওয়া মাথাটা দেশীয় পন্যে পরিনত হয় তাহা হইলে এই ভঙ্গুর আত্না শান্তি পাইবে। আপনার জানার কথা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তনয় সজীব ওয়াজেদ জয়,যিনি একজন আমেরিকান সেনাকর্মকর্তার সাথে হাভার্ড রিভিউতে এক যৌথ থিসিসে উল্লেখ করিয়াছেন, বাংদেশে সেনাবাহিনীতে উল্লেখযোগ্যহারে মৌলবাদীদের প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে..এই কথার রেশ ধরিয়া যদি আমরা পিছনে ফিরিয়া তাকাই তাহা হইলে আরো পরিষ্কার হইয়া উঠিবে........এইতো নিকট অতিতে ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের মায়ের দল আমাদের প্রিয় সেনাবাহিনী নিয়ে নানাবিধ কটুক্তি ও রুচিহীন মন্তব্য করিয়াছেন এমনকি বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তাকে ও অস্বীকার করিয়াছেন বারংবার। তাহা হইলে আমরা কি বুঝিয়া লইবো সেনাবাহিনী থেকে জয় সাহেবদের তথাকথিত মৌলবাদের উত্থান ঠেকানোর জন্যই এই বিভৎস হত্যাযজ্ঞ ? বোধ করি গাফফার খানরা এখানে চুপ মারিয়া যাইবেন।

তাহা হইলে আপনাকে আর একটু চুপ মারাইয়া দিই? আপনার দাদাবাবু ও সরকারের ভুমিকা নিয়ে আপনার কাছে খানিকটা জানতে চাই.................. ১. ঘটনার দিন বিডিআর প্রধান শাকিল হত্যা হয়েছে বলে আমাদের মিডিয়াগুলো না জানিলে ও ভারতের মিডিয়া কি করে জানলো? ইহা কি প্রমান করেনা যে আপনার দাদাবাবুরাই এই হত্যাকান্ডের মুল নায়ক? ২.বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে সে দেশের অতি উৎসাহির ভুমিকা কেন? বলবেন কি গাফফার চৌধুরী? ৩.ঘটনার দিন পিলখানার টাওয়ার থেকে পাশের দেশটির বিভিন্ন নম্বরে তিনশর ও বেশী কল এবং অসংখ্য এসএমএস আদান প্রদান কি প্রমান বহন করে মি. গাফফার খান? ৪. ইসলামপন্থীদেরকে ফাঁসানোর জন্য তাদের বিরুদ্ধে বিষোদাগার কি প্রমান করেনা যে. বাংলাদেশের সামরিক শক্তি ধ্বংস করার জন্য আপনার ক্রেতাদের সুদুর প্রসারি পরিকল্পনা? এবার আপনার দলের ভুমিকায় আসা যাক ১.ঘটনার কয়েকদিন আগে ডিএডি তৌহিদের সাথে একজন প্রতিমন্ত্রীর গোপন ফোনালাপ আবার কাকতালীয়ভাবে সেই মন্ত্রীকেই ঘটনার দিন সমঝোতার জন্য পাঠানো এবং রহস্যজনকভাবে যিনি রক্তক্ষয়ী গোলাগোলির মধ্যেও আটকে যাওয়া সেনা অফিসারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে তিনি নিজে নিরাপদে সমঝোতা প্রতিনিধি দলকে নিয়ে আসা কি প্রমান করেনা যে,তিনি ঘটনার ব্যপারে পূর্বেই ওয়াকিফহাল ছিলেন? অবশ্য ইতিপূর্বে ও তিনি চলন্ত বাসে গান পাউডার ঢেলে নারী ও শিশু হত্যার ঘটনাটি নিজ মুখেই স্বীকার করেছিলেন। ২. হত্যাযজ্ঞে অনেক সিভিল কিলারের অংশগ্রহন ছিল অথচ প্রধানমন্ত্রী বিডিআর ছাড়া কাউকে গ্রেফতার না করার নির্দেশ , সমঝোতার জন্য যাওয়া চৌদ্দ জন থেকে মাত্র পাঁচ জনকে আসামী করা, হত্যাকারীদের পালিয়ে যেতে হযোগীতা করা, ইলেক্ট্রিসিটি বন্ধ করে দেয়া,স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত সফরে আমেরিকা যাওয়া এবং এখন পর্যন্ত ফিরে না আসা , সর্বোদলীয় ও সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠনে সরকারের তিব্র অনীহা এসব কিছু কি প্রমান করে খাঁন সাহেব বলতে পারেন কি ? ইহাতেও যদি আপনার চক্ষু যুগলে ফাঁক সৃষ্টি না হয় তাহা হইলে আপনাকে জীবিত বলিব নাকি মৃত বলিব খানিকটা ভাবিয়া দেখিতে হইবে। তিনাদের অন্যজন আবেদ খাঁন.....তিনার মন্তব্য আরো চমকপ্রদ.................তিনি নাকি ঘটনার সাথে পাকিস্থানের গোয়েন্দা সংস্থার জড়িত থাকার গন্ধ পেয়েছেন। বলি তাহার এই মন্তব্যে শয়তান ও লজ্জা পেয়েছে এই ভেবে যে,মানুষ বুঝি এতটুকুন সত্য বিস্মৃত হতে পারে ? পাকিস্থান নিজেদের আভ্যন্তরীন স্থিতিশীলতা নিয়েই মহাব্যস্ত আর সে নাকি সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে এখানে আসবে আমাদের সেনা অফিসার হত্যা করতে। বোধ করি আবেদ খাঁন যেদিন এ মন্তব্য করেছিলেন সেদিন তাহাকে প্রদেয় টাকার গন্ধে মাতালতার পরিমান একটু বেশিই ছিল।

আসুন আজ সবাই মিলে তাহাদের জন্য দোআ করি..............হে আল্লাহ ইহাদের চক্ষু যুগল দাও খুলে দাও...................................................

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।