আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হেক্টু মিয়ার প্রথম ডেটিং বিপর্যয় !!

আমার চোখে ঠোটে গালে তুমি লেগে আছো !!

হাউজিংয়ের এক নাম্বার গলির পাশেই বিশাল বড় একটা মাঠ । তিন দিক দিয়ে ঘেরা এই মাঠে এলাকার ছেলেরা বিকেল বেলা খেলাধুলা করে, অনেকই এখানে আড্ডা দিতে আসে । কয়েকটা ফুচকা ঝাল মুড়ির অস্থায়ী দোকানও দেখা যায় । মোটামুটি জমজমাট এলাকায় পরিনত হয় বিকেল বেলা ! কিন্তু দুপুর বেলাতে মাঠটা স্বাধারনত খাঁ খাঁ করে । প্রখর রোদের ভিতর মানুষ এই ছাঁয়া বিহীন মাঠের ধারে কাছেও আসে না ।

কিন্তু আজকে অবস্থা খানিকটা ভিন্ন মনে হচ্ছে । মাঠটির চারিপাশে বেশ কিছু কৌতুহলী মানুষকে দেখা যাচ্ছে মাঠের দিকে তাকিয়ে আছে । মাঝে মাঝে চিৎকার করে উঠতেছে । ক্রিকেট খেলার সময় ব্যাটস ম্যান যখন চার কিংবা ছয় মারে তখন দর্শক যেমন চিৎকার করে উঠে ঠিক তেমন । কি হচ্ছে কে জানে ? রমিজ মামার চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছি আর দুর থেকে দেখার চেষ্টা করছি ।

কিন্তু খুব বেশি লাভ হচ্ছে না । এমনিতেই আমার চোখ খারাপ, দুরের জিনিস খুব ভাল দেখতে পাই না আর তারপর মানুষ জনের ভীড় লেগে আছে । দৃষ্টি ভেদ করে মাঠের ভিতরে যেতে পারছে না । -মামা তোমার দোকানে লোক কই ? রমিজ মামার দোকানে আমি ছাড়া আর কেউ নাই । অন্য সময় হলে এখানে বসার জায়গা পাওয়া যেত না ।

আর আজকে বেঞ্চ গুলো কেমন শূন্য পরে আছে ! রমিজ মামার আমার কথার কোন উত্তর না দিয়ে কেবল মাঠের দিকে চোখ ইশারা করলো । বুঝলাম সবাই ঐ মাঠে গেছে খেলা দেখতে । আমিও চা শেষ করে মাঠের দিকে হাটা দিলাম । হেকটরের খোজ নিতে বের হয়েছিলাম ! একটু পরে নিলেও চলবে । ভিড় ঠেলে মাঠের সীমানার ভিতরে যেতেই আমার চোখ কপালে উঠল ।

এই তাহলে ব্যাপার !! মাঠের ভিতরে যেন কাবাডি খেলা হচ্ছে ! ঠিক মাঝখানে একটা ছেলেকে আরও পাঁচ ছয় জন লোক ধরার চেষ্টা করছে । যতবারই লোক গুলো ছেলেটাকে ধরতে এগিয়ে যাচ্ছে ছেলেটা আশ্চার্য দক্ষতায় পাশ কাটিয়ে অন্য দিকে চলে যাচ্ছে । আমি ছেলেটাকে ভাল করে দেখার চেষ্টা করলাম । কিন্তু স্পষ্ট ঠিক বোঝা যাচ্ছে না ছেলেটার চেহারা ! নাহ । চশমার পাওয়ার দেখতেছি বাড়ানই লাগবে ।

ছেলেটা বাহারী রংয়ের একটা পাঞ্জাবী পরেছে । এই রকম বাহারী লাল হলুদ আর চুমকি বসানো পাঞ্জাবী খুব একটা দেখা যায় না । সাথে মিলিয়ে কটকটে লাল রংয়ের পাজামা । মনে হচ্ছে ছেলেটার পাজামার নাড়া নাই কিংবা ফিতা শক্ত করে বাঁধা নাই । ছেলেটা এক হাত দিয়ে পাজামার কোমরের কাছে ধরে রেখেছে ।

এমন একটা ভাব যেন যে কোন সময় পাজামা খুলে পরে যেতে পারে । এই কথাটা মনে হতেই আমার মাথার ভিতর কারেন্ট প্রভাহিত হল । আরে হেকটরের তো একই সমস্যা ছিল । চোখের উপর জোর দিলাম । আর একটু ভাল করে তাকাতেই আমার চোখ আর একবার কপালে উঠল ।

এই তো আমাদের হেকটর । প্রিন্স হেক্টর । কিন্তু হেকটরের এই অবস্থা কেন ? ও তো প্রিন্সেস আনিকার সাথে দেখা করতে গেছিল । এরা কারা ? প্রিন্সেসের রক্ষিবাহিনী ? আর হেকটরের পেছনে এরা এই ভাবে দৌড়াচ্ছে কেন ? সমস্যা কি ? -হ্যালো ! অপু ভাই ? -হুম ! -আপনে কই ? -ঘুমাই । কেন ? -আমারে একটু হেল্প করা লাগবে ! -কি হেল্প ? -আইসা বলি ? -কোথায় ? -আপনের বাসায় ! -আচ্ছা আসো ! সকাল বেলাতেই হেকটরে ফোন ! ব্যাপারটা ঠিক বুঝলাম না ! হেকটর ট্যালেন্ট পোলা ! একা একাই সব করে ।

এমন কি দরকার পড়ে গেল যে আমার দরকার পড়লো । তাও আবার ফোনে বলা যাবে না একদম সরাসরি বলতে হবে ! আধাঘন্টার ভিতরেই হেকটর এসে হাজির ! আমি তো প্রথমে ওকে দেখে খানিকটা টাস্কি খাইলাম ! গেট আপ একদম চেইঞ্জ ! মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি দিল আজকে একেবারে ক্লিনশেভ ! শেভ করাতে একেবারে বাচ্চাদের মত লাগছে ! চুল গুলো রাহুল কাট ইস্টাইলে ছাটা ! আর সব থেকে চমকের বিষয় হচ্ছে হেকটর আজকে পাঞ্জাবী পরেছে । তাও আবার বিচিত্র রংয়ের ! যতদিন ওকে চিনি এতো বিচিত্র রংয়ের পোষাক পড়তে কোন দিন দেখি নি ! পাঞ্জাবীটা হলুদ আর কটকটে লাল রংয়ের একটা মিশ্রন সাথে চুমকী বসানো !! তার উপর আবার পাজামা পরেছে আরো বিচিত্র ! মেয়েদের মত ঢোল্লা একপ্রকার পায়জামা বের হয়েছে বেশ কিছু দিন । সেলোয়ার পায়জামা মনে হয় নাম । লাল রংয়ের সেই পায়জামা পরে আছে ।

আর সব থেকে বড় ব্যাপার হল হেকটর পায়জামাটা মাঝার কাছে হাত দিয়ে ধরে রেখেছে । আমি যখন ছোট ছিলাম তখন কবীর নামে একটা ছেলে ছিল আমাদের পাশে । ছেলেটা সব সময় একটা ঢোল্লা প্যান্ট পড়তো ! আর আমরা যখন খেলা করতাম এক হাত সেই সেই ঢোল্লা প্যান্ট ধরে রাখতো ! হেকটরের অবস্থাও দেখলাম সেই একই রকম ! আমি ওর দিকে তাকিয়ে বললাম -একি অবস্থা তোমার ? আমার রুমে ঢুকতে ঢুকতে হেকটর বলল -আর বইলেন না ! একটু ঝামেলায় পরছি ! -তার আগে বল তোমার পায়জামার এই অবস্থা কেন ? -আরে সেইটাই তো ঝামেলা ! বিছানার উপর বসতে বসতে হেকটর বলল -আজকে আনিকার সাথে দেখা করার কথা ছিল ! আমি খানিকটা কৌতুহলী হয়ে বললাম -আনিকা মানে কে ? ফেসবুকে প্রিন্সেস আনিকা ? কদিন আগেই হেকটরের ফেসবুক রিলেশনশীপ স্টাটাস পরিবর্তন হইছে ! প্রিন্স হেক্টর ইজ ইন এ রিলেশনশীপ ইউথ প্রিন্সেস আনিকা ! তলে তলে এতো দুর ! একেবারে দেখা করতে চলে এসেছে ! কিন্তু দেখা করবে ভাল কথা আমার এলাকায় কি ? আমি বললাম -এতো দুর আগাইছো মিয়া আর জানাইলা না কিছু ? হেকটরের মুখে দেখলাম একটু লজ্জার আভা দেখা গেল ! বলল -আর ভাই কইয়েন না ! এমন ভাবে দেখা করতে চাইলো যে মানা করতে পারলাম না ! -তা তো বুঝলাম ! কিন্তু এই বাহারী রং য়ের পাঞ্জাবী কেন পরছো ? আর আমার এলাকায়ই বা কি কর তুমি ? -বাহারী ? আসলে ! -আসলে ? -আনিকার এই টাইপের পাঞ্জাবী খুব পছন্দ ! আমাকে ইনবক্সে ঠিক এই রকম একটা পাঞ্জাবীর ছবি পাঠাইছিল ! অনেক খুইজ্জা তারপর কিনছি ! বোঝেনই তো প্রথম বারের মত দেখা করতে যাচ্ছি ! -হুম ! -আর আনিকার বাড়ি আপনাদের এলাকায় ! -তাই নাকি ? -হুম ! এই জন্যই এলাম ! কিন্তু দেখেন কি একটা ঝামেলা হয়ে গেল ! -কি ? -আর বইলেন না ! বাসে করেই আসছিলাম ! সিটি হসপিটালের কাছে বাস থেকে নামতে গিয়ে কিভাবে যেন বাসের হ্যান্ডেলের সাথে লেগে পায়জামার ফিতাটা ছিড়ে গেল ! আর একটু হলে খুলেই পরে যেত ! -কি সর্বনাশের কথা ! তাই নাকি ! -হুম ! কোন রকমে হাত দিয়ে ধরে এসেছি ! -তো এখন কি করবে ? -কিছু দেন আগে পায়জামাটা ভাল করে বাঁধি ! -দড়ি দিবো ? -দড়ি ? -আর তো কিছু নাই ! অবশ্য বেল্ট আছে ! বেল্ট দিয়ে বাঁধতে পারো ! -দড়িতে বাঁধলে কেমন হয়ে যায় ! বেল্ট দিয়ে কাজ হবে ? -কেন হবে না ? বাহারী রংয়ের পাঞ্জাবীর সাথে বেল্ট দিয়ে পায়জামা পরে হেকটর চলে গেল ! যাওয়ার সময় বলে গেল ভাই দোয়া রাইখেন ! আমি আরও খানিকটা বিছানায় গড়াগড়ি দিতে লাগলাম ! হেকটরের জন্য একটু চিন্তা লাগছে ! প্রথম ডেটিং কেন এমন জায়গায় হবে ! ভাল কোন জায়গা কিংবা বড় কোন রেস্টুরেনটে হবে ! কথাটা জিজ্ঞেসও করেছিলাম হেকটর কে ! সে হেসে বলল -যে কোন সমস্যা নাই ! মেয়ের বাসায় নাকি কোন সসম্যা নাই ! আনিকা নাকি আজেকই তার বাবা মার সাথে তার পরিচয় রকিয়ে দিবে ! এই জন্য বাসায় দেখা করতে সরাসরি ! তাই বলে সরাসরিই ! নাহ ! আর বসে থাকা গেল না ! আনিকা নামে কোন মেয়ে আমার এলাকায় আছে আর আমি জানি না ! আমার এলাকার মেয়ে হেকটর নিয়ে গেল ! কেমনে ? শার্ট পরে বাইরে বের হয়ে এলাম ! দেখি কি খোজ খবর নেওয়া যায় ! হেকটর বলছিল আনিকাদের বাসা নাকি একনাম্বার গলিতে । দেখি একটু খোজ খবর নেওয়া যাক ! আমি এক নাম্বার গলির দিকে হাটতে লাগলাম ! -আর বইলেন না । পোলাডা মনে হয় ফাঁইসাই গেল ।

আমি যেখানে দাড়িয়ে আছে তার পাশেই একজন দেখছি কথাটা বলল ! মাঠের চারিপাশে লোকজন তখন তাকিয়ে আছে হেকটরের দিকে । আকলিমার পাঁচ ভাই ওকে যতবার ধরার চেষ্টা করছে হেকটর আশ্চার্য দক্ষতায় তাদের কে পাশ কাটিয়ে অন্য দিকে চলে যাচ্ছে । মাঠের অন্য দিকে যে যাবে তার উপায় নাই কারন উচু দেওয়াল দিয়ে মাঠটা ঘিরে দেওয়া । তারপর আবার বাড়ি ঘরের দেওয়াল দেওয়া । কেবল দুইটা গেট আছে মাঠ থেকে বের হওয়ার ।

সেই দুইটাতেও আকলিমার অন্য দুই ভাই পাহারা দিচ্ছে । আজকে কিছুতেই হেকটরকে পালিয়ে যেতে দিবে না । চারিপাশের কথা বার্তা শুনে যা বুঝলাম তা হল হেকটরের সাথে নাকি আকলিকার ফেসবুকে পরিচয় । সেখান থেকে মন দেওয়া নেওয়া । আজকে দেখা করতে এসে দেখে মেয়ে একটু চোখে ট্যারা ।

এই দেখে হেকটর চলে চাইলে আকলিমার সাত ভাই এসে হাজির হয় । আজকে আকলিমার সাথে হেকটরকে বিয়ে দিয়ে ই দিবে । তখনই হেকটর দৌড় দেয় । দৌড়ে এসে এই মাঠের ভিতর ঢোকে । এই হল মোটামুটি ঘটনা ! আচ্ছা তাইলে এই আকলিমাই হল হেক্টরের প্রিন্সেস আনিকা ! তাই তো বলি আমার এলাকায় আনিকা নামের কোন মেয়ে আছে আর আমি জানবো না ? এটা কেমন করে হয় ? আকলিমাকে আমি আগে থেকেই ।

আমি কেন এলাকার সবাই চেনে । আর এরকম ছেলেদের দাবড়ানীর খেলা প্রায়ই দেখা যায় । আকলিমা বিভিন্ন নামে ফেসবুকে বিভিন্ন ছেলের সাথে টাংকি মারে । তাদের কে ডেকে নিয়ে আছে । কিন্তু ছেলে যখন আবিস্কার করে যে মেয়ে খানিকটা ট্যারা তখনই বাধে বিপত্তি ।

ঝামেলা শুরু হলে আকলিমা সাত ভাই এসে হাজির হয় । ছেলেকে প্যাদানি দেয় । কিন্তু বিয়ের প্রসঙ্গ এর আগে কানে আসে নি । নিশ্চই হেকটর কে আকলিমার খুব মনে ধরেছে তাই হয়তো হাত ছাড়া করতে চাচ্ছে না । সবার মত আমিও এই কাবাডি খেলা দেখতে লাগলাম ।

আকলিমার ভাইয়েরা যখনই হেকটরের কাছাকাছি চলে যায় তখনই চার পাশের লোকজন চিৎকার করে ওঠে ! হঠাৎ করেই খেলায় একটা নতুন মাত্রা যুক্ত হল । আকলিমার এক ভাই হঠাৎ করেই হেকটরের পা বরাবর লাফ দিল ! এবং ধরেও ফেলল ! পায়ের কিছুটা অংশ ! দেখলাম আমাদের দর্শকের মাঝেও তখন বিপুল উত্তেজনা দেখা গেছে ! কেউ কেউ তো বাজিই ধরে ফেলল ! এই ছেলেটা ধরা খেয়েছে ! কেউ বলছে না খাবে না ! ঠিক বেরিয়ে যাবে ! হলও তাই হেকটর ঠিকই বেরিয়ে গেল ঐ হাত থেকে ! এক ঝাকটাকয় নিজের পা টা ছাড়িয়ে নিল । জাকি খেয়ে আকললিমার ঐ ভাই উল্টে পরে গেল । এবার হেকটর আর দাড়ালো না ! সরাসরি পেছনের দিককার গেটের কাছে দৌড় দিল ! সবাই এক সাথে হেই হেই করে উঠলো ! হেকটর দৌড়াচ্ছে ! সবার চিৎকার করছে । হেকটর কে উৎসাহ দিচ্ছে ! কিন্তু.... আমা রকাছে কেমন যেন একটু অস্বাভাবিক লাগলো ! কিছু একটা তো মিশিং ! কি নেই ? কি যেন নেই ? ততক্ষনে আকলিমার সেই ভাই উঠে দাড়িয়েছে যে হেকটরের পা চেপে ধরে ছিল ! আমি কেবল অবাক হয়ে দেখলাম যে আকলিমার ঐ ভাইয়ের হাটে হেকটরে লাল রংয়ের পাজামাটা শোভা পাচ্ছে ! আসলে উত্তেজনায় ঠিক মত লক্ষ্য করতে পারি নাই ! আরে লাল রংয়ের পাজামা যদি এই লোকের হাতে থাকে তাহলে হেকটর কি পরে আছে ! আবার আমার চোখ চলে গেল হেকটরের দিকে ! হুম ! এবার বোঝা গেছে কি মিশিং ! সবাই আমরা হেটরের দিকে তাকিয়ে পাজামা ছাড়া বাহারী রংয়ের পাঞ্জাবী পরে তীর বেগে ছুটে চলেছে ! কি এক অদ্ভুদ কারনে দেখলাম গেটের কাছে পাহারায় থাকা লোকটা হেকটর কে থামালো না ! হেকটর পাশ কাটিয়ে চলে গেল ! আমাদের চোখের সামনে হেকটর সবার চোখের আড়ালে চলে গেল ! নাহ ! সবাই ! এতোক্ষন বেশ ইনজয় করছিল ! এভাবে খেলার শেষ হয়ে যাওয়াতে সবার একটু হতাশ ! যাই হোক আর এখানে বসে থেকে লাভ নেই ! হেকটর অবস্থাটা কল্পনা করতে করতে বাসার দিকে রওনা দিলাম ! না জানি ব্যাচারা কিভাবে কেবল বাহারী পাঞ্জাবী পরে বাড়ি পর্যন্ত যাবে ! দেখি ফোন দিতে হবে ! ওয়ার্ডপ্রেস


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।