প্রহরশেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস, তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ
এখন আমার কিছু বলতে কিছুই নেই
বিকারগ্রস্ত জোছনা নেই। ষোড়শীর নষ্ট,উর্বরা ফালি ফালি অর্ধচন্দ্র নেই।
বেলুন ভরা আশা নেই। হাতে জ্বলন্ত সিগারেট নেই।
মুখে চর্চার জল নেই।
প্যাকের পর প্যাক শেষে মাতলামো নেই।
ময়ূরের পেখমমেলা হাসি নেই।
মা’র স্তব্ধ মুখের মতন ক্রন্দন নেই। কর্ণফুলীর লোনতা ঢেউগুলো নেই।
আদিমতায় ভাষা নেই।
তরুণীর স্তনমাখা ভালবাসা নেই। কামের গ্রস্ততা নেই।
নেভাল একাডেমীর দেয়ালে বসে কর্ণফুলীর মোহনায় বঙ্গীয় হাওয়ায় হারিয়ে যাওয়া নেই।
পতেঙ্গা বিচে আঙ্গুলে আঙ্গুল রেখে উচুনিচু পাথরের খাঁজে খাঁজে কপোত কপোতীর মতন কামড়া কামড়ি নেই।
পশ্চিমের বিলে নিশিরাতে আকাশের তারা গুনে গুনে ক্লান্ত হওয়া নেই।
জীবনে প্রথম আলিঙ্গনের ঢোরে বাঁধা বলতে যা ছিল
প্রেম বলতে যা ছিল
মান অভিমান বলতে যা ছিল
রাগ অনুরাগ বলতে যা ছিল-
তার কিছুর কিছুই নেই।
একদিন আমার সব ছিল। আরেকদিন আমার সব হবে।
ভিতরের থেকে দরোজা খুলে দিতে কেউ একজন হবে।
ভোরের পাখির কিচিরমিচিরের সারাক্ষণ মাতিয়ে রাখতে ঘর ভরা বাচ্চাকাচ্চা হবে।
কবিদের মতন কাঁধ ঝুলানো চুল হবে। গাল ভর্তি এলোমেলো দাঁড়ি হবে। কাঁধের উপর কবিতার খাতার বস্তা হবে। ছফার মতন একখানি টিয়ে হবে।
আমার ভালো মন্দের চেতনা হবে।
আমার চোখে জল হবে। হৃদয়ে আঘাতগুলো অনুভূত হবে। কুমড়ার ফালার মতন দাঁত বের করে খেলখেলিয়ে হাসি হবে।
কারো বুকে আমার অধিকার রচিত হবে। হিংস্র হায়েনার মতন আমি কারো উপর হামলে পড়বো ইচ্ছা অনিচ্ছায়।
বেসামাল গতিতে চলবে রাতের ট্রেন।
আপাতত শূন্যে আছি। ভালোই আছি। এভাবে কাটলে ক্ষতি হোতো না।
তবে কাটে না।
তথাস্তু বিচ্ছেদ আর রিক্ততাই মৌলিক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।