একজন ইউনুস খান বেঁচে থাকতে চান গণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যেগ গ্রহণের মাঝে।
যখন ব্লগার থাকবে তখনি একটি ব্লগ বেড়ে উঠার অক্সিজেন পাবে। যখন ব্লগ থাকবে তখন ব্লগাররা অনেক কিছুই লিখবে। সবসময় যে তা সৃষ্টিশীল, মননশীল বা ঘটনমূলক হবে তাও নিশ্চিত করা বলা যাবেনা, যায়না। কিন্তু এটা সত্যি যে ব্লগাররা সৃষ্টিশীল, ঘটনমূলক অনেক কিছু লিখতে পারে।
সেই সাথে গর্বিত করতে পারে ব্লগ অথরিটিকে। ঠিক তেমনি পারে নিজেরাও গর্বিত হতে।
আমি ব্যাক্তিগতভাবে শুধু মাত্র সামহোয়ারইনেই লিখি। কারন প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়েগিয়েছিলাম। আবার অন্যান্য ব্লগে লিখার মতো এতো সময়ও পাইনা।
আমার মতো হয়তো অনেকেই।
সামহোয়ারইনের কথায় আসি। আমি যতদূর জানি সামহোয়ারইন ব্লগটি গড়ে তুলতে যথেষ্ট শ্রম দিতে হয়েছে। হাঁটি হাঁটি পা পা থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এই ব্লগটি গড়ে তুলতে যত টাকা ব্যায় হয়েছে বলে আমি জানি তা শুনলে হয়তো অনেকেরই চোখ কপালে উঠবে। কিন্তু কিসের আশায় এতো এতো টাকা এই ব্লগটির পিছনে করা হয়েছে? হয়তোবা বিজনেসের আশায় (এখন পর্যন্ত কি বিজনেস হয়েছে আমি জানিনা)।
আমরা সবাই অবগত আছি যে এই ব্লগে কোন গুগল এ্যাডসেন্সের ব্যাপারও নাই যে হিট বা ক্লিকে পয়সা কামাই হবে।
আরেকটা ব্যাপার হতে পারে সেটা হলো ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার উদ্দেশ্যে। সেটা হয়তো অনেকটা সফলও। সবাই এক বাক্যে হয়তো স্বীকার করবেন যে সামহোয়ারইন ব্লগই বাংলা ব্লগের পথিকৃত।
বাংলা ব্লগ হিসাবে সামহোয়ারইনের গর্ব করার মতো অনেক ব্যাপার আছে।
এই যেমন বিভিন্ন তথ্য মিডিয়াতে আসার আগেই ব্লগাররা জানতে পারে। আমি উদাহরণ হিসাবে উল্লেখ করতে পারি ১৭ই আগস্টের সিরিজ হামলার কথা। বলতে পারি মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো বেশ কয়েকটি ঘটনা। বলতে পারি জাবির নারী নির্যাতন কারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে একাত্ন হওয়ার কথা। বলতে পারি রাহেলাদের মতো খুনীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কথা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে অনলাইন কমুনিউটিতে জনমত গড়ে তোলা। এরকম অনেক অর্জনই আছে এই ব্লগের।
তাছাড়া লিখার হাত আছে বা ডায়েরিতে নিয়মিত লিখি সেই সব অপ্রকাশিত লিখা লিখার একটা সুযোগও করে দিয়েছে আমাদেরকে এই ব্লগ। ফলে আমরা আমাদের লিখার একটা মানদন্ডও নির্ণয় করতে পারি।
ব্লগার মুকুল কোন এক পোস্টের কমেন্টে বলেছিলো এই ব্লগের শুরুর দিকে বইমেলাতে ব্লগাররা একটা বা তিনটা বই বের করেছিলো।
আর এইবার প্রায় চল্লিশ থেকে ষাট টা বই বের করেছে ব্লগাররা। নিশ্চয় খুব আশা জাগায় এইসব তথ্য।
একবার জানাপুকে বলতে শুনেছিলাম তিলে তিলে গড়ে তোলা ব্লগটাকে তারা সন্তানের মতো করে ভালবাসে। ব্লগে যখন কোন ঝামেলা হয় তখন সন্তানের অসুস্থতার মতো এটাও তাদেরকে খুব নাড়া দেয়। আরো বলেছিলো যখন কোন ইস্যুতে কোন ব্লগ বাতিল বা কোন ব্লগারের স্ট্যাটাস নামিয়ে দেওয়া হয় সেটাও নাকি উনাদের হৃদয়কে স্পর্শ করে।
শুনে খুবই ভালো লেগেছিলো।
কিন্তু অথরিটি কি এইটা জানে কোন ব্লগার যখন তার স্ট্যাটাসের অবনতি দেখে বা ব্যান খায়, তার ব্লগটি বাতিল হয়ে যায় সে কতটুকু কষ্ট পায়?
আমার মনে আছে আমি যখন প্রথমবার ব্যান খেয়েছিলাম সেটার শোক কাটিয়ে উঠতে আমার বেশ সময় লেগেছিলো। কিছুক্ষন পর পরই সামোতে ঢুকতাম আর দেখতাম আমি ব্যান। তখন কষ্টে বুকটা ফেটে যেতো। এখন অনেকটা সয়ে গেছে।
(সবটা লিখে শেষ করতে পারি নাই অফিসে আছি বলে কিন্তু এটাও ড্রাফট করতে ইচ্ছে করছেনা বলে পোস্ট করে দিলাম। বাকিটা রাতে বলবো। )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।