কিশোর উপন্যাসে একটা ভীতুর ডিম টাইপের চরিত্র থাকে। সেই চরিত্রটি সবসময় আমার সাথে সুন্দরভাবে মিলে যায়। আমি খুবই ভীতু প্রকৃতির একজন মানুষ। আমার ভীতু স্বভাব আমার বন্ধুবান্ধবদের কাছে বেশ উপভোগ্য। যাই হোক, বর্তমানে আমি যথেষ্ট ভয়ের মধ্যে দিন পার করছি।
ভয়ের কারঙুলি একে একে বলি। ঠিক বুঝতে পারছি না, কীভাবে কীভাবে যেন পরিস্থিতি আমার প্রতিকূলে চলে যাচ্ছে বার বার। রাস্তাঘাটে মানুষের মেজাজ সর্বদা চড়া থাকে আজকাল। কে কখন ঘাড়ে হাত দিয়ে দেয় বলা খুবই মুশকিল। বাসের হেলপার, রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে সাধারণ পথচারী একটু এদিকওদিক হলেই শার্টের হাতা গুটিয়ে ফেলছে।
দোকানে গেলে দোকানদার ঠিকমত ফিরেও তাকান না। মনে হয়যেন তিনি তার পণ্য বিক্রি করতে খুব একটা আগ্রহী নন। কিছুক্ষণ ডাকাডাকির পর এমনভাবে চোখ তুলে তাকান যে পিলে চমকে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে ভয় লাগে কখন দুই দলে গন্ডগোল লাগে আর পুলিশের লাঠির বাড়িটা আমার পিঠে এসে পড়ে। বই কিনতে নীলক্ষেতে গেলে তো আত্মারাম খাঁচাছাড়া হবার যোগাড় হয়।
বইয়ের দোকানীরা দামাদামি করতে গেলে মনে হয় একেবারে খেয়ে ফেলবে। সেদিন তো আমাকে একেবারে ধাক্কা দিয়ে বসলো আর আমি তো আগেই বলেছি আমি ভীতু মানুষ। বোঝেন তখন আমার অবস্থা। রাস্তাঘাটে কখন নিজের অতি মূল্যবান মানিব্যাগ আর মোবাইল সেটটি খোয়া যায় সে ভয়ে তো তটস্থ থাকতে হয় সর্বক্ষণ। বর্তমানে নতুন ভয় হয়েছে অজ্ঞান পার্টি আর মলম পার্টির উপর।
কখন যে তাদের শিকার হবো জানি না। তবে হলে যে কী অবস্থা হবে তা চিন্তা করে এখনই আমার কাঁটা দিয়ে উঠছে। যানযটে পড়ে কখন যে ক্লাসটা মিস হয়ে যায় সে চিন্তায় তো মাথার চুল পড়া শুরু হলো বলে। ক্লাসরুমে কোন সহপাঠী কোন দিক থেকে হটাৎ করে কোন কথার মারপ্যাঁচে ফেলে দেবে তা নিয়ে তো চিন্তা নিত্য। হলে কাগজপত্র জমা দিতে গেলে বা আনতে গেলে টেনশনে থাকি আংকেলের বখরা ঠিকমত দিতে পারব তো।
ভাইবোনেরা আমার, একবার চিন্তা করে দেখুন তো যে আমি কোন পর্যায়ের ভীতু? কী পরিমাণ ভয়ের মধ্যে দিন পার করছি আমি। আপনাদের সকলের পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করছি। আর হ্যাঁ, লেখাপড়া নিয়ে ভয় তো আছেই! দোয়া করবেন এ ঐতিহাসিক ভীতু ব্লগারের জন্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।