ক্লাস নাইনের ঘটনা।
বায়োলজি ল্যাব। ইনস্ট্রাক্টর হলেন শীল স্যার। উনার বাড়ি ঝিনাইদহ। পড়ানো শুরু করেন খুবি বিশুদ্ধ বাংলায়।
গিয়েছি, খেয়েছি টাইপ। পনের বিশ মিনিট পার না হতেই আস্তে আস্তে ঝিনাইদহের লোকাল ভাষা চলে আসে। প্রায়ই উনি পড়া থামিয়ে গলায় সন্দেহ নিয়ে জিজ্ঞাসা করেনঃ এই, পাদ মারল কিডা রে?
তো সেদিন আমরা ব্যাং কাটাকুটি করছিলাম।
আমাদের বিদ্যাপীঠে অনেক নিয়মের মধ্যে একটা নিয়ম হল ছোট বাথরুমকে বলা ‘শর্ট বিজনেস’ আর বড় বাথরুমকে বলা ‘লং বিজনেস’।
দীপের খুব বাথরুম লেগেছে।
স্যারের নিষেধ আছে এক ঘন্টার আগে কেউ বের হতে পারবে না। অনেক চাপাচাপির পর সহ্য না করতে পেরে দীপ গেল শীল স্যারের কাছে।
-স্যার
-কি হয়েছে বলো
-স্যার বাথরুমে যাব
-ক্যান? বাথরুম কি জন্যি যাবি?
-স্যার, শর্ট বিজনেস
-এই তুই কি ক’লি? আবার ক’
স্যারের জেরার মুখে দীপ হকচকিয়ে যায়। বলে, স্যার, শর্ট বিজনেস।
স্যার রেগে যান।
বলেন, ক’ মুততি যাবো। জলদি ক’ দিনি-
দীপ অতি মৃদুস্বরে বলতে বাধ্য হয় সে মুততে যাবে। আর আমরা বাকীরা যারা শুনছিলাম, অপেক্ষা করি কখন ক্লাস ছুটি হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।