i would like to read and write
আজ সকালে আকাশটা কি মেঘলা ছিল?
ঠিক মনে করতে পারেন না ইমরান। রোজকার মত আজও বই হাতে নিয়ে গাড়িতে চেপেছেন। মিলমত চরিত্র হলে তো কথাই নেই। ওর মাঝেই ডুবে যেতে হয়। তাই সকালের সোনার রবি নিয়ে তিনি কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেন না।
একবার ভাবেন, সহকর্মীদের কাউকে জিজ্ঞেস করবেন। পরে নিজেই উঠে যান বারান্দায়।
নাঃ আলো ঠিকঠাক মতন আছে। বরং অন্যদিনের চেয়ে তেজোদীপ্ত। আর সকালই তো বলে দেয় দিনটি কেমন যাবে।
নিশ্চয়ই সকালেও রোদ ছিল। তাহলে....?
আকাশের সঙ্গে মানুষের মনের সম্পর্কটা কোথায়-বুঝে উঠতে পারেন না ইমরান। আকাশ মেঘলা থাকলে নাকি অনেকের মাথায় কিছু খেলে না। মনটাও খারাপ থাকে। সব কিছুতেই এলোমেলো লাগে।
এ এক তাজ্জব ব্যাপার। বসদের যদি সে রকম হয়?
আজকালের বসদের হলে তা মেনে নিতে হয়। বসকে নিয়ে তো আর বাজে কথা বলা যায় না। আবার জানতে চাওয়াও বেয়াদবি। সকাল থেকেই মুডটা অফ হয়ে আছে।
সকালে সালাম দিতে গিয়েই বিরক্তি জম্মেছে। দ্বিতীয়বার সামনে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না আর। অন্যদিন হলে এ সময়ে এক কাপ কফি খেতে খেতে দু’জনের আলাপ ভালই জমতো। নানা বিষয়ে আলোচনা হতো। আজ সে রকম কোন লণ না দেখে ইমরান কিছু ফাইল দেখার চেষ্টা করলেন।
কিন্তু না- ভাল্লাগছে না। আজকাল জীবনটাকে বড় একঘেঁয়ে লাগে। দরজাটা লক করে দিয়ে তিনি চেয়ারে গা এলিয়ে দিলেন।
এই অফিসে বড় সা'বের পরই ইমরান। বছরখানেক পরে হয়তো তিনিই হবেন বড় সা’ব।
সে কথা মনে হতেই আরেক দফা বিরক্তি জন্মে তার। Ñলাভ কী তাতে। এই চেয়ার, টাকা পয়সা দিয়ে কি হবে? এই যে বসতো অনেক টাকা কামাচ্ছেন-পথে বেপথে। শান্তি কই? সেদিক থেকে বরং ঝামেলা কম ইমরানের। ঘর নেই, সংসার নেই-এখন শুধু দিনগুনতি দিনযাপনের পালা।
তবু মানুষের মন। কখনো কখনো অসহায় লাগে এই যা..। মনে পড়ে মা’র কথা। মৃত্যুকালেও মা বলেছিলেন-বাবা, তোকে একা রেখে গেলাম। শুধু এটুকু আমার কষ্ট।
আর কোন দুঃখ নেই। তুই ভাল থাকিস।
মা কথাগুলো বলতে গিয়ে চোখ দিয়ে পানি ঝরিয়েছেন। মা’র চোখে পানি দেখে সেদিন সত্যি সত্যিই অপূর্ণতার অনুভূতি পেয়ে বসেছিল। জীবদ্দশায়ও মা কম বলেননি।
-বুড়ো বয়সে তোকে কে দেখবে?
-সে চিন্তা করো না মা। আমি ভাল থাকব।
-অভিমান করে থাকিস না বাবা। বিয়ের েেত্র ছেলেদের বয়স কোন ব্যাপার নয়।
মা’র অনুরোধ রাখা সম্ভব হয়নি তার প।
ে তাতে কোন বাড়াবাড়ি ছিল না। ছিল না কোন অভিমান। বিয়েথা হয়ে ওঠেনি এই যা..ইমরান নিয়তির কাছে নিজেকে সঁপেছে। দিনতো চলেই যাচ্ছে।
দরজায় ঠক ঠক আওয়াজে বর্তমানে ফিরে এলন ইমরান।
দরজাটা খুলতেই পিয়ন একটা ভিজিটিং কার্ড এগিয়ে ধরলো। সেটি হাতে নিয়ে খুশি মনেই বললেন-কখন এসেছে?
-এই তো স্যার, এখুনি।
-নিয়ে আসো।
রুমে প্রবেশ করলো কুচকুচে কালো রঙের বিশালদেহী একজন।
-আসো বন্ধু।
এতদিন পর আমার কথা মনে হলো তোমার।
-হতেই হবে যে, সেই ছোট্ট বেলা থেকে একসঙ্গে বড় হয়েছি। একসঙ্গে মাস্টার্স পাস করেছি..
-হ্যাঁ, চাকরিতে এসে আর সেটা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি।
-পুলিশে চাকরি। নানা রকম ঝুটঝামেলাতো আছেই।
-হ্যাঁ, উপরিও আছে ভালই।
-লজ্জা দিয়ো না বন্ধু। টাকাইতো সবকিছুর নিয়ন্তা।
-ঠিক আছে। এখন বল চা না কফি?
-একটা হলেই হয়।
গল্প করতে এসেছি কিন্তু, তোমার সময় হবে তো?
বেল চেপে পিয়নকে দু’কাপ কফি দিতে বলেন ইমরান। তারপর বন্ধুর দিকে ফিরে তাকায়-এভাবে বলছো কেন রফিক। এতদিন পর দেখা। কমপে এক বছরতো হবেই।
-ঠিক বলেছ।
-এক বছরে তুমি অনেক বদলেছো।
-এক বছর মানুষের জীবনে অনেক সময়। দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন রফিক, বলেন-এবার নিয়মিত দেখা হবে।
-মানে? ঢাকায় বদলী হয়ে এসেছো?
-হ্যাঁ।
-ভালই হলো, ছুটির দিনগুলোতে চুটিয়ে আড্ডা দেয়া যাবে।
পুরনো দিনের বন্ধুকে পেয়ে ব্যক্তিগত বিষয়গুলো আপাতত ভুলে গেলেন ইমরান। অন্য বন্ধুদের কথাও এসেছে। সবাই কম বেশি টাকাকড়ির মালিক। শুনে ভালই লাগে ইমরানের। হঠাৎ রফিকের একটি কথায় কিছুটা অপ্রস্তুত হন তিনি।
তবে বুঝতে দেননা। স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করেন। রফিক বলছিলেন-তুমিতো বিয়ে করোনি। ছেলেমেয়ের ঝামেলাও নেই। ...অবশ্য ভালই করেছ।
-উপহাস করছো নাকি?
-তা নয় বন্ধু। তুমি সংসার না করে একা। আর আমি..সংসারী হয়েও আজ একা।
-সে আবার কি কথা?
-দু’মেয়ে বিয়ে দিয়েছি।
-বলো কি? ওরা কি এত বড় হয়েছিল?
-হ্যাঁ, মেয়েরা বড় হলে বাবামার যে কি টেনশন তা বুঝবা না।
-ভাবী?
এতণ ধরে যে কথাটা বলতে চেয়ে পারছিলেন না রফিক সাহেব-সে প্রশ্ন পেয়ে তার চোখ দুটি ছলছল করে উঠলো। বললেন-তোমাকে জানাতে পারিনি। ও আমাদের ছেড়ে চলে গেছে।
-ইন্নালিল্লাহে.....। ইমরান গম্ভীর হয়ে গেলেন মুহূর্ত কয়েক।
তারপর বললেন-কেন কি হয়েছিল ওঁর।
-হার্ট এ্যাটাক। ঢাকা পর্যন্ত আনার সুযোগ পাইনি।
কয়েক মিনিটের নিরবতা ভাঙলো ইন্টারকমের আওয়াজে। বড় সা’ব সালাম দিয়েছেন।
রফিককে বসিয়ে রেখে বড় সা'বের রুমে গেলেন ইমরান। না, বিরক্তিভাব অতো বোঝা যাচ্ছে না। তবে একেবারেই কেটে গেছে বলা যাবে না। একটা ফাইলের কয়েক বাক্যে আন্ডারলাইন দিচ্ছেন। ইমরানের উপস্থিতি টের পেয়ে বললেন-আজকাল হয়েছেটা কি? আপনি প্রায়শই ভুল লিখছেন।
-স্যার।
-একটু দেখেশুনে পাঠাবেন। ব্যক্তিগত সমস্যা থাকলে ছুটি নিয়ে কয়দিন ঘুরে আসেন।
-লাগবে না স্যার। এখন থেকে আর ভুল হবে না।
-আসল জায়গায়তো ভুল করেননি। বসুন, তাহলে একটি গল্প বলি।
বন্ধুকে রুমে বসিয়ে রেখে বসের গল্প শোনার ইচ্ছা হচ্ছে না। ফাইল ভুল করার নামে বস যেন তিরস্কারই করলেন। তবু তাকে শুনতে হবেই।
চেয়ারে বসলেন ইমরান।
-ঘটনাটা বলার আগে এক জাঁদরেল আমলার উক্তি শুনুন। একবার এক প্রশিণ কাশে তিনি আমাদের বলেছিলেনঃ স্ত্রীর প্রলোভনেও এখানে অনেকে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। আর এখনকার মেয়েরাতো আরো বেশি এমবিশাস।
মাথা নেড়ে সম্মতি জানান ইমরান।
এখানে বসে থাকতে আর ভাল্লাগছে না। তবু তাকে বসে থাকতে হচ্ছে।
ইমরানের বস আবার শুরু করলেনঃ ঘটনাটা বাস্তব। তুচ্ছ ঘটনা। কিন্তু মিনিংফুল।
গতরাতে আমার এক আত্মীয় মারা গেছেন। দুঃসম্পর্কের খালাত ভাই। কাস্টমসে চাকরি করতেন। আর দশজন কাস্টমস অফিসারের মত অঢেল কামাই করেননি ঠিকই, কিন্তু সৎ ছিলেন বলা যাবে না। দীর্ঘদিন ধরে ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
সঞ্চয় সব ফুরিয়ে গেছে ততদিনে। আগের মত ভোগ আহাদ করতে না পেরে তার স্ত্রী ্যাপা বাঘিনীর মত আচরন শুরু করলেন। মাঝে মাঝে প্রতিবাদ হয়নি যে তা নয়ঃ
-তুমি এমন করছো কেন?
-অনেক সইছি, আর পারব না।
-সমস্যাটা কোথায়?
-পেটে ভাত জুটবে কি দিয়ে? যা আয় করেছো সবতো ডাক্তারদের পেটে গেছে। আমার ছেলেমেয়ের কি হবে?
-তোমার ছেলে মেয়ে? ওরা কি আমার নয়?
-তোমার হলে তো ওদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করতে।
সামান্য কথা কাটাকাটির জের ধরে গতকাল সকালে স্ত্রী গেল সিলেটে, তার মায়ের কাছে। আমার আত্মীয় গেল হাসপাতালে। বিকেলে মৃত্যু হলো। তার এক ভায়রা শ্যালিকাকে ফোনে খবরটি দিল। উত্তর ছিলঃ ও আমাকে কি দিয়ে গেল? ওতো মরে বেঁচে গেছে।
আমাদের কি হবে?
স্বামীর মৃত্যুতে স্ত্রীর এমন প্রতিক্রিয়া কখনো শুনেছেন?-ইমরানের বস প্রশ্ন ছুঁড়লেন। আবার নিজেই উত্তর দিলেন-আরো কতো কি শুনবো। দিন দিন মানুষের মানবীয় গুনাবলী যেন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। -কি বলেন?
নড়েচড়ে বসেন ইমরান-ঠিক বলেছেন স্যার।
-তাহলে বুঝছেন তো, বিয়ে না করে বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন।
-স্যার আমার একজন গেষ্ট বসে আছে।
-হ্যাঁ, যান। ফাইলগুলো দেখার সময় একটু মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করেন।
-জ্বি স্যার।
যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন।
কারনে অকারনে তাকে খোঁচা দেয়া অনেকের পুরনো অভ্যেস। বসের কথা না হয় বাদ, জুনিয়র কলিগদের অনেকেও মাঝে মাঝে টিপ্পনি কাটে। আবার দু’একজন সুযোগমত হিতোপদেশ দিতে ভুলে না-বয়স বাড়লে বুঝবেন স্যার। বৃদ্ধ বয়সে সঙ্গীর প্রয়োজনীয়তা টের পাবেন...ইত্যাদি ইত্যাদি। বাজে মন্তব্যও চলে কখনো বা, তার অনুপস্থিতিতেই।
এই অফিসে তুলনামূলক কাজের চাপ কম। বিস্ফোরক জাতীয় বিষয়ে পরীা-নিরীা করতে হয়। কাজের গতিও ঢিলেঢালা। তাই অন্যকে নিয়ে সমালোচনারও সময় থাকে অনেকের। তবে দরদী হয়ে কেউ আবার তা শোনাতে আসে।
ওরা বলে স্যারের মন নেই। কেউ বলে-স্যারের এমনকি আর বয়স। প্রমোশনটা দ্রুত হয়েছে।
এমন বিড়ম্বনায় পড়তে হয় প্রায়ই।
রুমে ফিরে বার কয়েক সরি বলতে হল তাকে।
-ও কিছুই না। বসদের তো সময় দিতেই হবে। রফিক বললেন।
-শুধু শুধু সময় নষ্ট। কাজের কথার চেয়ে অকাজের কথাই বেশি হয়।
-আমি বরং উঠি আজ।
-তা কি করে হয়। একসঙ্গে লাঞ্চ করব ভাবছি।
-আজ না, আরেকদিন।
-কবে?
-খুব শীঘ্রই।
একটা চমকও দিতে পারি। সো গেট রেডি ফর এ সারপ্রাইজ।
বন্ধু রফিককে বিদায় দিয়ে কয়েকটি ফাইল নাড়াচাড়া করলেন। কিছুতেই মন বসছে না। মেজাজটাও আজকাল যেন তিরিি হয়ে গেছে।
বিয়ে, ঘরসংসারের প্রসঙ্গ এলে এরকমটিই হয় তার। এসব বিষয়ে পারতপে আলাপে যেতে চান না তিনি। আগে এসবে পাত্তা দিতেন না। পশ্চিামাকাশে সূর্যের ঢলে পড়ার মত বয়সের পাল্লা যখন ভারি হচ্ছে-তখন নিজের অজান্তেই কেন জানি শুণ্যতা অনুভূত হয়। অনেক সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না।
মাঝে মাঝে নিকটজনদের সঙ্গেও খারাপ আচরন করে ফেলেন। কেন এমন হয় বুঝতে পারেন না ইমরান। ভাবেন-বছর পাঁচেক আগেও বন্ধুদের আড্ডায় কেউ কেউ ্যাপাতে চাইতো। বিয়ে না করার কারনে নানা রকম কথা শুনিয়ে ওরা মজা পেত। তখনতো সবই হেসে উড়িয়ে দিয়েছি।
-স্যার, পিয়নের ডাকে ভাবনার জগত থেকে ফিরে আসে। আমার দু’দিনের ছুটি লাগবে স্যার।
-কেন?
-ওয়াইফের শরীরটা ভাল যাচ্ছে না স্যার। ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
ছুটির দরখাস্তখানা হাতে নেয় ইমরান।
সই করবেন কি করবেন না, বুঝতে পারছেন না। -স্ত্রীর শরীর ভাল না, তাতেই দু’দিন ছুটি। কথায় কথায় ছুটি। একদিন দিলে হবে কি না-জিগ্যেস করতে চান তিনি। আবার থেমে গেলেন।
ভাবলেন-পিয়ন যদি বলে বসে, আপনারতো বউ নেই স্যার। বউয়ের দরদ বুঝবেন কি?
দ্রুত কলমের খোঁচায় ছুটি মঞ্জুর করে দিলেন। ঈষৎ হাসিতে পিয়নটি বলল-স্যার খাবার রেডি করবো?
-না, খেতে ইচ্ছে করছে না।
-তাহলে এক কাপ কফি দেব স্যার।
-দরকার নেই-তুমি এখন যাও।
বসের কথাটা তার কানে বিধতে লাগলো-বিয়ে না করে কি সত্যিই ঠিক কাজটি করেছি? ঘটনাটা আবার মনে করার চেষ্টা করলেন। ইমরান আপাতত এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন যে, তিনি তাহলে ভুল করেননি। তার বসও নিশ্চয়ই ভুল বলেননি। বস ইজ অলওয়েজ রাইট।
কয়েকদিন পরের ঘটনা।
অফিসে ঢুকতেই টেবিলে পেল একটি সৃদৃশ্য খাম। সহজেই বুঝা যায় বিয়ের দাওয়াত। বিয়ে উৎসবে এখন আর খাওয়া দাওয়ার রুচি নেই। যতটা সম্ভব এভয়েড করেই চলেন ইমরান। এধরণের পরিবেশ আনন্দের বদলে অস্থিরতা সৃষ্টি করে তার মনে।
দুর্বলতাকে প্রশ্রয় দেন না তিনি। তবু বিভ্রান্তিতে ফেলতে চান না নিজেকে। তাই খামটি খুললেন না। বরং অফিসের কাজে মনোযোগী হলেন।
বিকেলে অফিস থেকে বেরুবার মুহূর্তে ফোনটি বেজে উঠে।
-হ্যালো.
-ইমরান, রফিক বলছি।
-কেমন আছো বন্ধু।
-ভাল। তুমি আসছো তো?
-কোথায়?
-কেন, দাওয়াত কার্ড পাওনি?
-একটা খাম পেয়েছি, কিন্তু তুমিতো কিছু বলনি।
-বলছি না সারপ্রাইজ দেব।
খামটি খুলে দেখ।
এবার ইমরানের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল-তোমার বিয়ে? মজা করছো না তো?
-সত্যি, একাকী ভাল্লাগছিল না, তাই ডিসিশন নিয়ে নিলাম।
-বুড়ো বয়সে মতিভ্রম ঘটেনি তো?
-বুঝেশুনেই করেছি। যাকে বিয়ে করছি সেও আমার মত একা। তুমি এসো কিন্তু, বিস্তারিত বলব তখন।
-আচ্ছা।
-মিস করো না প্লিজ, সিলেকটিভ গেস্ট কিন্তু, লিস্টটা খুব ছোট।
-আচ্ছা। কণ্ঠস্বর ছোট হয়ে এলো ইমরানের। রিসিভারটা রেখে দিলেন।
দ্রুত অফিস থেকে বেরিয়ে গাড়িতে চেপে বসলেন। কিসের এক শুন্যতা যেন গ্রাস করতে চাইছে তাকে। তিনি চোখ দুটো বন্ধ করলেন এবং নিশ্চুপ থাকলেন। মৌনতা আরো বেশি অস্থির করে তুললো তাকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।