বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার হস্তচালিত তাঁত শিল্পের সাথে জড়িত শিল্পীরা আজ মানবেতর জীবন যাপন করছে। বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পর কোন সরকারই অদ্যবধি তাঁতীদের প্রতি সুদৃষ্টিতে তাকায়নি। ১৯৭০ সালের পর থেকে ১৯৮৮সাল পর্যন্ত বাঞ্ছারামপুরে ৩৬ হাজার তাঁত ছিল। ১৯৮৮ সালে ভয়াবহ বন্যায় ২০ হাজার হস্থচালিত তাঁত ধ্বংস হয়ে যায়। রং সুতার দাম বৃদ্ধি পওয়ায় ১৯৮৩ সালে সরকার হস্তচালিত তাঁত প্রতি তিন হাজার তিন শত টাকা এবং জাপানী তাঁতে প্রতি চার হাজার টাকা ঋণ প্রদান করে।
১৯৮৮ সালে প্রলংকরী বন্যায় ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় সরকার সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করেন। যার জন্য ঋণ গ্রস্ত তাঁতীরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছিটিয়ে ছড়িয়ে পড়েন। তাদের তাঁতের কাজ ছাড়া অন্যান্য কাজ জানা ছিলনা। এমতবস্তায় তারা রিক্সা, ঠেলাগাড়ী, মুটে মজুর, মাটি কাটার মজুর, বাকী ১৬ হাজার তাঁত আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হয়। এ তাঁত শিল্পকে পুনঃজীবিত করতে হলে সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার করে তাঁত ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় সহ নতুনভাবে ঋণ প্রদান করে বাঞ্ছারামপুরে হস্তচালিত তাঁত শিল্পকে উজ্জবিত করে এ পেশার সাথে জড়িত তাঁতীদেরকে বাঁচানো যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।