জীবন েযখােন েযমন
আমার বাড়ি সুদুর বরিশালের শেষ মাথায়। স্বাভাবিক কারনেই আমাকে মাঝে মাঝে ওখানে যেতে হয়। তাছাড়া বিভিন্ন কর্মকান্ডের জন্য অথবা ভ্রমনে গেলে আবাসিক হোটেল গুলোতে কখন ও কখনও আশ্রয় হয়।
মনের আনন্দে যখন বরিশালের লঞ্চের টয়লেটে কোন আবাসিক হোটেলে অবস্থান করি স্বাভাবিক ভাবে ওদের দেয়ালে কিছু জঘন্য লেখাজোখ চোখে পড়ে।
ওই সকল নীরব জায়গাগুলোতে ও গুলো না পড়ে উপায় নেই।
তখন মনে মনে ভাবি মাসাঅল্লাহ লেখালেখি আজকাল কতইনা সহজ হইয়া গিয়েছে । মন চাইলেই যা খুশি তাই লেখা যায়। কারণ আমরা লেখা পড়া শিখিয়া কতই না শিক্ষিত হইয়া গিয়াছি, এত পড়া শোনা কোথাই বা রাখিব বরং কিছু টয়লেটে বা আবাসিক হোটেলের দেয়ালে লিখিয়া দিয়া যাই। যদি কোন ভাই ভাবিরা তাদের মা বাবা অথবা বাচ্চা গাচ্চা নিয়ে মনের অনন্দে এই হোটেলে বা লঞ্চে উঠে অনায়াসে যে এই ভদ্রলোকের বাচ্চা গুলান এই সব নোংরা লেখা পড়িয়া কিছুটা হইলেও অসভ্যের আভাস পেতে পারে অথবা তাদের সঙ্গে যারা আছেন তারা একটু বিপাকে পড়িতে পারেন।
সম্মানিত সুধীগন একটু ভাবিয়া দেখিবেন কি?
(১)আমি যদি আমার ছেলে/মেয়েকে নিয়ে লঞ্চে যাতায়াত করি স্বাভাবিক ভাবেই একস ঙ্গে টয়লেটে না ঢুকলেও এক সময় না এক সময় কোমলমতি বাচ্চা গুলো টয়লেটে ঢুকে ওই লেখাগুলো পড়বে।
সাধারণত ওদেরকে আমি কিভাবে সেফ করবো।
(২) যদি বাবা মা অথবা ছেলে মেয়ে নিয়ে একই হোটেলে উঠি ওই ধরনের লেখা গুলো সবার চোখে পড়বে।
এই গুলো কি আমাদের কাম্য?
এইসব ব্যাপারে আমাদের কোন কিছু কি করার নেই? বিবেক না হয় আমাদের নেই কিন্তু কিছু নিয়ম কানুন কি বেধে দিয়ে দেখা যায়না ফল লাভ হয় কি -না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।