এক হাত না থাকার পরেও ভ্যান চালানোর মত কষ্টসাধ্য কাজের মাধ্যমে জীবিকার জন্য নিরমত্মর লড়াই করে চলেছেন প্রতিবন্দ্বী তোতা মিয়া। ভিক্ষাবৃত্তি বা পরমুখাপেক্ষী হয়ে টাকা বা সাহায্য চেয়ে জীবিকা নির্বাহের বদাভ্যাস গড়ে তোলেনি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ধুলিয়াপাড়া গ্রামের দারিদ্র তোতা মিয়া। বর্তমানে তিনি নিজেকে একজন অনুসরণীয় ব্যক্তি হিসাবে গড়ে তুলেছেন এলাকায়।
জীবন যুদ্ধে তোতা মিয়ার ৭ সদস্যের অভাবের সংসার চলছিল কোনমতে। দিনমজুরের কাজ করতেন আগে।
কিন্তু বিধি বাম, নিয়তির নির্মম পরিহাসে গত ৭ বছর পূর্বে আখ মাড়াইয়ের সময়ে ক্রাসারের ভিতর বাম হাত ঢুকে যায় তার। কোন রকমে প্রাণে বাঁচলেও হারাতে হয় এক হাত। দীর্ঘদিন ব্যয়বহুল চিকিৎসার পর সুস্থ হন তিনি। এদিকে সংসারে দেখা দেয় আরো টানাপোড়ন। কিন্তু এক হাত নিয়ে কি-ই-বা কাজ করা যায়।
এসব চিমত্মার সাথে সাথে তাই বলে ভিক্ষাবৃত্তিকে সম্বল করেননি। জীবিকা নির্বাহ করার জন্য বেছে নেন ভ্যান চালানোর মত কঠিন কাজ।
তোতা মিয়ার সংসারে ৩ মেয়ে ও ২ ছেলে। এক মেয়েকে ইতিমধ্যে বিয়ে দিয়েছেন। এক ছেলে দিন মজুরের কাজে যুক্ত হয়েছে, অভাব অনটনের সংসার তাদের।
অন্য ছেলে মেয়েরা উপার্জন শেখেনি। ৪৫ বছর বয়স্ক প্রতিবন্দ্বী তোতা মিয়া প্রতিদিন ভ্যানে করে নিজ গ্রাম থেকে ভাড়া যাত্রী নিয়ে শৈলকুপা শহরে আসেন। ব্যসত্মতম এলাকায় গাড়ি ঘোড়ার ভিড়ের মধ্যেও এক হাতে ভ্যান চালিয়ে চলেছেন জীবিকার তাগিদে। এভাবে প্রতিদিন ৮০-৯০ টাকা আয় হয় তার। দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির এই বাজারে যৎসামান্য আয়ের মধ্য দিয়েই সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন।
দিন রাত খেটে চলেছেন স্ত্রী, সমত্মানসহ পরিবারের ৬ সদস্যের সংসারে সবার মুখে এক মুঠো অন্ন তুলে দেবার জন্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।