আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজা ও এক বিশাল হাতি মাপার গল্প

দেশকে ভালবাসি, কিন্তু দেশের জন্য কিছুই করতে পারি নাই বলে, নিজেকে খুব ছোটলোক ভাবি

অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক দেশে ছিল এক রাজা। তো সে দেশের মানুষ সুখে শান্তিতেই বসবাস করছিল। তেমন কোন ঝামেলাও ছিলনা। কিন্তু হঠাৎ দেশে দেখা দিল দুর্ভক্ষ।

প্রচন্ড দুর্ভক্ষ। খাদ্যাভাব ছড়িয়ে পড়ল সব খানে। এক মু্ঠ খাবারে জন্য মানুষের মধ্যে দেখা দিল হাহাকার। এই সব দেখে রাজা অনেক চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যের যত ৭০ বছরের বেশি বুড়া বুড়ি আছে সবাইকে কতল করা হউক। কারন এরা কোন কাজকাম করে না।

খালি বসে বসে খায়। এদের যে খাবারটা বাচবে তা দিয়ে অন্যদের খাবার দেয়া যাবে। যেমন হুকুম তেমন কাজ। রাজ্যের সব বুড়োবুড়িদের ধরে ধরে কতল করা শুরু হয়ে গেল। সারা দেশে কান্নাকাটির রোল উঠে গেল।

তো রাজার এক উজিরের বাবাও ছিলেন ৭০ বছরের বৃদ্ধ। তিনি আগেই জেনে যাওয়ায় সে তার বাবাকে লুকিয়ে রাখলেন। সবাই ভাবতে বসে গেল কি করে এই অত্যাচারের হাত থেকে তারা রেহাই পাবে? কোন উপায় না পেয়ে তারা সৃষ্টিকর্তার কাছে রাজার বিরুদ্ধে প্রার্থনা করতে লাগল। সৃষ্টিকর্তার দয়া হল তিনি ঝড়ের দেবতাকে পাঠালেন। ঝড়ের দেবতা রাজার কাছে গিয়ে হাজির হলেন।

বললেন, "সৃষ্টিকর্তা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ!!! মানুষ মেরে খাদ্য বাচানোর এই অদ্ভুত উপায় আমার আগে জানা ছিল না। তুমি মহাপাপ করেছ। এই পাপ মোচনের জন্য আমার কাছে তোমার জন্য একটি প্রশ্ন আছে। এক দিনের মধ্যে আমার এই প্রশ্নের উত্তর তোমাকে দিতে হবে! তা না হলে আমি তোমার সমস্ত রাজ্য হাওয়ায় ভাসিয়ে দিব! আর যদি পার তাহলে তোমার দেশ থেকে দুর্ভক্ষ দুর করার জন্য আমি নিজে সৃষ্টিকর্তারকে অনুরোধ করব!! প্রশ্নটি হল, মনে কর তোমার একটি বিশালাকার হাতি আছে। তুমি কিভাবে খুব সহজে ঐ হাতির ওজন বের করবা?!!" রাজমশাই দারুন চিন্তায় পড়ে গেলেন।

কিভাবে বের করবে সেই হাতির ওজন? রাজ্যের সব পন্ডিত-মহাপন্ডিতের খবর দেয়া হল। কিন্তু কেউই সঠিক কোন সমাধান বের করতে পারল না। কিন্তু ঐ যে এক উজির ছিল যে কিনা তার বাবাকে লুকিয়ে রেখেছিল সে তার বাবার কাছের গিয়ে বলল বাবা এই.. এই.. সমস্যা এর কি কোন সমাধান আছে? তো তার বাবা তখন তাকে বলল "শোন, তুমি রাজামশাইকে গিয়ে বলবা, হাতিটারে একটা বিশাল নৌকায় উঠাইতে। নৌকাটা যতটুকু পানিতে ডুবে যাবে সেইখানে দাগ দিয়ে রাখবা। তারপর হাতি নামায়ে ওজন-বাটখারা দিতে থাকবা যতক্ষন পর্যন্ত না ঐ দাগে গিয়ে পানি পৌছে।

ব্যাস !! এরপর ঐ ওজন গুলা গুনে ফেল্লেই বের হয়া গেল হাতির ওজন। " উজির রাজাকে গিয়ে বলল সেই অমুল্য সমাধান। রাজা নিজের সব ভুল বুঝতে পারল। সে সবার কাছে ক্ষমা চাইল। ঝড় দেবতাও সন্তুষ্ট হয়ে সৃষ্টিকর্তার কে অনুরোধ করল।

দেশের দুর্ভিক্ষ দূর হয়ে গেল। [মর্মার্থ:] সব বুড়াই বুড়া না তবে আপনারও কিন্তু লিখতে পারেন যার যার দৃষ্টি কৌনিক অবস্থানে থেকে উৎস: সংগ্রহ


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।