"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার
হ্যাঙ্গারু নামের শব্দের একটা খেলা নিয়ে আমার ছোটবোন এক সময় বেশ ব্যস্ত থাকতো। ওটা যারা খেলেন নি তাদের জানার জন্য বলছি যে ওখানে কেউ সঠিক শব্দ মেলাতে না পারলে একটা ক্যাঙ্গারু বলে, are you stupid or something! এটা চানাচুরের হেব্বি পছন্দের ডায়লগ ছিলো। সে সবসময়ই কারণে অকারণে দিতে ভালবাসতো। একবার এক ক্লাসমেট ফান করে আমাকে কি কি জানো বলছিলো আমি তখন তাকে উপরোক্ত ডায়ালগ টা দিয়েছিলাম। তার রিএ্যাকশন ছিল দেখার মত! এত বড় অপমান সে জীবনে হয় নি! আমি বরাবরই ছিলাম ইংলিশে দূর্বল আর তিনি নিজেকে জাহাজ না উড়োজাহাজ ই ভাবতেন।
আমি স্টুপিডের অর্থ ডাল বলেই জানি। যাই হোক হঠাৎ পুরানো কথা মনে পড়লো তাই লিখলাম! আমি আজও তার হঠাৎ ক্ষেপে যাওয়ার কারণ বুঝতে পারি নি
ক্লাসে সারাজীবন লাস্ট বেঞ্চকে ভালবেসেছি। মাঝে মাঝে পিছনে বসে বিরক্ত হলে, ম্যাও ম্যাও করে বিড়ালের মত ডেকেছিও ভার্সিটিতে থাকতে। আজকে গোলমাল রিটার্নস এর গান শুনলাম বান্ধবীর বাসায় ওখানে ম্যাও একটা গান আছে দেখলাম এটা কেন আর একটা বছর আগে আসলো না তাহলে আমরা গানটা গাইতে পারতাম।
মাঝে একদিন জুনিয়রদের সাথে একটা ক্লাস করে আসলাম।
সেদিন একজন নতুন টিচারের ক্লাস করলাম। স্যার ভালই পড়ান তাই গল্প করার জন্য গেলেও পড়ার দিকে মনযোগ চলে গেল। স্যার বলছিলেন, এ্যাডভার্টিজিং এর সময় টার্গেট কাস্টমার এর কথা মাথায় রাখতে হবে। এক্ষেত্রে স্যারের উদাহরণ ছেলেদের কোন প্রোডাক্ট যেমন শেভিং ক্রিম বা আফটার শেভ নিশ্চয়ই মেয়েদের পত্রিকায় দিলে ছেলেদের নজরে পড়বে না। তখন একজন সত্যবাদী ছোটভাই চিৎকার করে প্রতিবাদ জানালো।
বলল, না স্যার ছেলেদের প্রোডাক্ট মেয়েদের পত্রিকাতেই ভাল চলবে কারণ ছেলেরা ছেলেদের পত্রিকা থেকেও মেয়েদেরগুলো বেশি আগ্রহী হয়ে পড়ে।
তাই বলছি, গাধাকে বেশি দাম দিতে নাই!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।